চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

রাসূল, সাহাবি, তাবিয়ি ও সালাফদের চোখে দুনিয়া

    রাসূল, সাহাবি, তাবিয়ি ও সালাফদের চোখে দুনিয়া (কালজয়ী ৪টি অসাধারণ গ্রন্থ)। রাসূলের চোখে দুনিয়া (কিতাবুয যুহদ)- ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) দুনিয়া এক রহস্যঘেরা জায়গা। এখানে মানুষ আসে। শৈশব, কৈশোর আর তারুণ্যের সিড়ি বেয়ে বার্ধক্যে পৌঁছে। তারপর হঠাৎ একদিন চলে যায়। এই স্বল্পতম সময়ে দুনিয়াবি সফলতার সিঁড়ি বেয়ে উপারে উঠার জন্য মানুষের কি নিরন্তর চেষ্টা। অথচ সে জানে না উপরে উঠতে গিয়ে সে কতটা নিচে নেমে যাচ্ছে।দুনিয়ার সাথে আমাদের সত্যিকার সম্পর্ক কী? দুনিয়ার ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হওয়া উচিত? প্রকৃত সফলতা কিসে? নবী রাসূলদের জীবন ও বক্তব্য থেকে এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে পড়ুন ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) রচিত এক কালজয়ী গ্রন্থ ‘কিতাব যুহুদের’ অনুবাদ এই ‘রাসূলের চোখে দুনিয়া’ সাহাবিদের চোখে দুনিয়া - ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) কুরআনে সবচে’ বেশী আলোচিত হয়েছে বনী ইসরাইলের ঘটনা। বনী ইসরাইলকে যখন মুসা (আ) আল্লাহর নির্দেশে ফিরআউনের যুলুম থেকে উদ্বার করলেন, আল্লাহ তা’আলা তাদের প্রতি নেয়ামত স্বরূপ ‘মান্না- সালওয়া’ নামক এক প্রকার পাখি পাঠান। তাফসীর গ্রন্থ থেকে জানা যায়, এই পাখিগুলো জমিনে এসে হাতের নাগালেই বসে থাকতো। মানুষ যখন ইচ্ছে সেগুলোকে ধরে খেতে পারতো। কিন্তু জীবনের একটা দীর্ঘ সময় ফিরআউনের দাসত্বে কাটানোর ফলে তাদের অন্তর যেন বার বার পূর্বের জীবনের দিকে ফিরে চলছিল। তারা আল্লাহর এই নেয়ামতকে বেশীদিন পছন্দ করতে পারলো না, ফেলে আসা দাসত্বের সময়কার খাবারের চাহিদা তাদের মাঝে জাগ্রত হল। চেয়ে বসলো সেই ডাল-পেয়াজ খাবার। এরকম অকৃতজ্ঞতার ফলে আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি হারাম করে দিলেন মান্না সালওয়া। দুর্ভাগা এই জাতি বঞ্চিত হল আসমানি তোফা। . বনী ইসরাইল অভিশপ্ত জাতিতে পরিণত হওয়ার পিছনে কারণগুলোর ভিতর একটা অন্যতম কারণ ছিল, দুনিয়ার প্রতি এ্যাটাচমেন্ট এবং নেয়ামতের প্রতি অকৃতজ্ঞতা। প্রত্যেক যুগে নবি রসুল এসেছিল জাতিকে এই দুনিয়া পুজা থেকে মুক্ত করে আল্লাহর উবুদিয়াতের দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য। ‘যুহুদ’ বা দুনিয়াবিমুখতা নবি এবং আল্লাহ ওয়ালাদের অন্যতম একটি আমল। কিন্তু “দুনিয়াকে কতটুকু নিতে হবে?” এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে এক শ্রেণীর মানুষ হয়েছে সংসার বিরাগী। ইসলামে বৈরাগ্যবাদের কোনো স্থান নেই; তবে যুহুদ-এর গুরুত্ব অপরিসীম। কীভাবে দুনিয়াতে অবস্থান করেও দুনিয়া বিমুখ জীবনযাপন করতে হয়, সেই শিক্ষা হাতে কলমে শিখিয়ে গেছেন রসূল ﷺ, আর তাঁর শেখানো পদ্ধতিতে আমল করে গেছেন সাহাবা রদিয়াল্লাহু আনহুম আজমাইন। . নববী যুগের নিকটতম সময়ে যুহুদ নিয়ে যেসব সহী হাদীসের গ্রন্থ সংকলন করা হয়েছিল, সেসবের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন গ্রন্থ হচ্ছে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহ. এর ‘কিতাবুয যুহুদ।’ তাবিয়িদের চোখে দুনিয়া- ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) তাহকীক: মুহাম্মাদ আহমাদ ঈসা, হামিদ আহমাদ আত-তাহিরপ্রথম তিন প্রজন্ম (সালফে সালেহীনগণ) দুনিয়াকে যেভাবে দেখেছেন, সেটাই ছিল সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি। একজন মুসলিম যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় রেখে এই দুনিয়াকে দেখবে, ততক্ষণ যে নিরাপদ থাকবে। কিন্তু যখন তার দৃষ্টি পাশ্চাত্যের দিকে, অবিশ্বাসীদের দিকে কিংবা নিজ প্রবৃত্তির দিকে ঝুঁকে যাবে, তখন সে বিপদের সম্মুখীন হবে। তার দুনিয়াও বরবাদ হবে, আর আখিরাতেও সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই দুনিয়ার ব্যাপারে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি কোনটা, সে বিষয়ে জ্ঞান রাখাটা জরুরি। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল তাঁর “কিতাবুয যুহ্‌দ” গ্রন্থে দুনিয়ার ব্যাপারে সালফে সালেহীনদের দৃষ্টিভঙ্গি কী ছিল, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। নিঃসন্দেহে কিতাবটি মুসলিম উম্মাহর অমূল্য সম্পদ। কিন্তু দুঃখজন হলেও সত্যি, কিতাবটির বাংলা কিংবা ইংরেজি অনুবাদ এত বছরেও প্রকাশিত হয়নি। দুনিয়ার ব্যাপারে ইসলামের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি কী হওয়া দরকার, সে বিষয়টা মাথায় রেখেই “মাকতাবাতুল বায়ান” বইটি বাংলায় অনুবাদ করার সিদ্ধান্ত নেয়। আলহামদুলিল্লাহ, ইতোমধ্যেই বইটির দু-খণ্ড “রাসূলের চোখে দুনিয়া” ও “সাহাবিদের চোখে দুনিয়া” নামে প্রকাশিত হয়েছে।সেই ধারাবাহিকতায় কিতাবটির শেষ খণ্ড ‘তাবিয়িদের চোখে দুনিয়া।’ সালাফদের চোখে দুনিয়া- ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়া -এই দুনিয়া মরিচীকার। দু-দিনের। দুনিয়া এক রঙিন স্বপ্নের নাম। ক্ষণস্থায়ী জীবনের নাম। দু-দিনের দুনিয়া নিয়ে মানুষ আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন দেখে। জীবনের স্বপ্ন পূরণে ছুটে চলে প্রান্তর থেকে প্রান্তর। তবুও স্বপ্ন পূরণ হয় না। ক্রমেই দুনিয়া নিয়ে হতাশা বাড়তে থাকে। কারণ দুনিয়া কখনো মানুষের সব স্বপ্ন পূরণ করে না। একদিন জীবনের সুতোয় টান পড়ে, জীবন বাতি নিভে যাওয়ার উপক্রম হয়, ওপারে পাড়ি জমানোর সময় চলে আসে। মৃত্যুর বিছানাতে এই ধূসর দুনিয়া নিয়ে আফসোস হয়। কিন্তু! সেদিনের শত আফসোস কোনো কাজে আসে না।দুনিয়া হলো পরজনমের পাথেয় অর্জনের একমাত্র স্থান। এখান থেকেই পরকালের পাথেয় জোগাতে হবে। দুনিয়ার যশ-খ্যাতি, সাফল্য-ব্যর্থতার হিসাব কষতেই কেটে যায় আমাদের দিন-রাত্রিগুলো। দিকভোলা হয়ে এই দুনিয়াতে আমরা হেঁটে চলছি। দুনিয়ার রূপ-রস, গন্ধে আমরা ভুলে যাই পরজনমের পাথেয় সংগ্রহ করার কথা। ধূসর দুনিয়ার মোহের হাতছানিতে আমরা ভুলে যাই রবকে। আখিরাতকে।দুনিয়া কী? দুনিয়ার সাথে আমাদের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত? এখানে মানুষ কেন আসে? আবার কেনই-বা ক’দিন পরে চলে যায়? আমাদের রব, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবা রাদিয়াল্লাহু আনহুম এবং সালাফগণ দুনিয়াকে কোন চোখে দেখতেন। তারা দুনিয়ার মোহ থেকে বেঁচে থেকে কীভাবে যুহুদ অবলম্বন করতেন এই বিষয়টি নিয়েই তৃতীয় হিজরি শতকের মহান একজন প্রসিদ্ধ সালাফ ইমাম ইবনু আবিদ দুনিয়া রহিমাহুল্লাহু রচনা করেছেন কিতাবুয যুহুদ নামক একটি পুস্তিকা। তারই অনূদিত রূপ—সালাফদের চোখে দুনিয়া।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
t

এই লেখকের আরো বই