চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

চার খলীফার জীবনী ৯খন্ড

    চার খলীফার জীবনী #খুলাফায়ে রাশেদীন ইসলামী ইতিহাস সিরিজ। #আবু বকর আস-সিদ্দীক রা.জীবন ও কর্ম । #উমর ইবনুল খাত্তাব রা. জীবন ও কর্ম । #উসমান ইবনে আফফান রা. জীবন ও কর্ম । #আলী ইবনে আবি তালিব রা. জীবন ও কর্ম । ———————————————————— ১- আবু বকর আস-সিদ্দীক রা.জীবন ও কর্ম । ইসলাম গ্রহণ করার দিন থেকে আমৃত্যু আবু বকর রা. জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অন্য সকল সাহাবী থেকে অগ্রগামী ছিলেন। রাসূল সা.-এর জীবদ্দশায় যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি ছিলেন একজন আদর্শ সৈনিক; আর রাসূল সা.-এর মৃত্যুর পরও তিনি একইভাবে ইসলামের উপর দৃঢ় থাকেন এবং আল্লাহর অনুগ্রহে মুসলিম জাতিকে একতাবদ্ধ রাখতে সক্ষম হন। তাকে অন্যান্য সাহাবীরা যেখানে উসামা রা.-এর সৈন্যদলকে ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দিচ্ছিলেন, সেখানে তিনি সঠিক ও দ্ব্যর্থহীনভাবে রাসূল সা.-এর ইচ্ছাকে অনুসরণ করে সেটা অব্যাহত রাখেন। যখন মুসলমানরা যাকাত দিতে অস্বীকার করল এবং যখন ভন্ড নবীরা পুরো মুসলিম জাতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াল, আবু বকর রা. তখন খুবই দৃঢ়তার পরিচয় দেন এবং তাদের বিরুদ্ধে চরম আক্রমণাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এরকম আরও অসংখ্য প্রাপ্তিতে সমৃদ্ধ ছিল আবু বকর রা.-এর জীবন। আমি সেগুলোকে পরিষ্কার এবং ক্রমানুসারে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি। তবে আমার মূল চেষ্টা ছিল এটা বর্ণনা করা যে, একজন মুসলমান এবং শাসক হিসেবে আবু বকর রা.-এর কর্তৃক গৃহীত নীতিসমূহ কিভাবে একটি শক্তিশালী, দৃঢ় এবং উন্নয়নশীল দেশ প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করে – যা মদীনা থেকে উপত্যকা ছাড়িয়ে বহির্বিশ্বে বিস্তার লাভ করে। ——————————— 2. উমর ইবনুল খাত্তাব রা. জীবন ও কর্ম । জীবন ও কর্ম উমর ইবনুল খাত্তাব (রা. ) : আমরা বর্তমানে এক বিশৃঙ্খল পৃথিবীতে বসবাস করছি। তবে তা উমর ‎রা.-এর সমকালীন যুগের বিশৃঙ্খলতা থেকে বেশি নয়। উমর রা.-এর ‎জীবন শুরু হয়েছিল জাহেলিয়াতের যুগে এবং শেষ হয়েছিল ইসলামের ‎‎স্বর্ণযুগে। শিক্ষা গ্রহণের জন্য ইসলামের দ্বিতীয় খলীফার জীবন-ইতিহাস ‎এক অমূল্য সম্পদ। তিনি এমন সব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিলেন ‎‎যেগুলো এর আগে কাউকে মোকাবেলা করতে হয়নি। আর তিনি এসব ‎চ্যালেঞ্জ ইসলামের সঠিক মূল্যবোধ এবং শরীয়তের সীমারেখায় থেকেই ‎সফলভাবে মোকাবেলা করতে সমর্থ হয়েছিলেন। ‎ যারা এ সমস্যাসঙ্কল পরিবেশে জাতিকে নেতৃত্ব দিতে চান, তাদের জন্য ‎এ গ্রন্থটিতে একজন আদর্শ মুসলিম নেতার দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করা হয়েছে ‎যিনি তার অধীনস্থ সৈন্য, মহিলা, শিশু, অমুসলিম জাতি-গোষ্ঠি এবং ‎এমনকি পশু-পাখিসহ সকলের ব্যাপারে আল্লাহর সামনে জবাবদিহিতার ‎ভয় করতেন। উমর রা. এমন একজন সফল ও দূরদর্শী নেতা ছিলেন ‎যিনি রাষ্ট্রের সকল বিষয়ে খোঁজখবর রাখতেন এবং যে কোনো কঠিন ‎সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে সমাজের বিজ্ঞ ও দক্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে পরামর্শ ‎করতেন। ‎ অন্য সকলের জন্য এ গ্রন্থ ইসলামী ইতিহাসের এক চমকপ্রদ এবং ‎তাৎপর্যপূর্ণ অংশকে জানার পথকে উন্মুক্ত করবে। একই সাথে এটি ‎এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাকেও তুলে ধরবে যে, প্রাচুর্য কিংবা অর্থ-বিত্তের ‎মাধ্যমে আমাদের শক্তি ও সাহস অর্জিত হয় না, বরং সেটি আসে ‎আল্লাহর নিকট পরিপূর্ণভাবে নিজেকে সমর্পণ এবং ইসলামের রজ্জুকে ‎‎দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরার মাধ্যমে। ———————————- 3. উসমান ইবনে আফফান রা. জীবন ও কর্ম । আজকের সমস্যা- সঙ্কুল পৃথিবীতে, যেখানে ভেতর এবং বাহির থেকে ‎ইসলামের উপর নানাবিধ আক্রমণ করা হচ্ছে, মুসলমানগণ সত্যিকার ‎অর্থেই একজন দৃঢ় ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে ভুগছে। তবে ‎সবসময়েই এ অবস্থা ছিল, তা কিন্তু নয়। ইসলামী ইতিহাসে প্রথম ‎‎শ্রেণির তালিকাভুক্ত নেতার সংখ্যা অনেক।‎ ড. আলী মুহাম্মাদ সাল্লাবীর জীবন ও কর্ম : উসমান ইবনে আফফান ‎রা. কিতাবে একজন অনুসরণীয় নেতার চরিত্র বিস্তারিতভাবে বর্ণনা ‎করা হয়েছে। এর সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে তার প্রশংসনীয় গুণাবলীও। ‎খুলাফায়ে রাশেদীনের তৃতীয় খলীফা উসমান ইবনে আফফান রা. ‎কীভাবে ইসলামী সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটিয়েছিলেন, কুরআনের একক ‎প্রতিলিপি তৈরি করেছিলেন এবং পরিশেষে এক জটিল পরিস্থিতিতে ‎উদ্ভূত ফিতনাকে কীভাবে মোকাবেলা করেছিলেন —তা খুবই ‎হৃদয়গ্রাহী করে উপস্থাপন করেছেন।‎ এতদসঙ্গে যুন্নুরাইন (উসমান রা., দুই নূরের অধিকারী)-এর খলীফা-‎পূর্ব জীবনের উপরও লেখক সারগর্ভ আলোচনা করেছেন। তার এই ‎বর্ণনা এতই সাবলীল যে, রাসূল সা.-এর প্রতি তার একনিষ্ঠতা, ‎কুরআনের সাথে তার গভীর সম্পর্ক এবং ইসলামী রাজ্যগঠনে তার ‎উদাত্ত দানশীলতা সহজেই পাঠকের দৃষ্টিতে এক অনাবিস্কৃত সম্পদ ‎বলে মনে হবে। ————————– ৪. আলী ইবনে আবি তালিব রা. জীবন ও কর্ম । রাসূল সা.-এর উত্তরাধিকার…উসমান রা.-এর হত্যাকারী এবং ‎সুবিচার অন্বেষণ…উষ্ট্রযুদ্ধ…আহলে বাইত…খলীফা এবং ‎ইমাম…সংযম এবং বাড়াবাড়ি…।‎ এই কিতাব কেবল একটি জীবনীগ্রন্থ নয়; বরং এতে ইসলামের ‎প্রথম যুগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ‎আলোচনা করা হয়েছে—যুগপরম্পরায় যার প্রভাব এখনো ‎বিদ্যমান। এখানে ড. আলী মুহাম্মাদ সাল্লাবী হাদীস ও বিশ্বস্ত ‎বর্ণনার সূত্র ধরে পাঠককে এমন এক ঐতিহাসিক সত্য ও ‎নির্ভরযোগ্য তথ্যের সন্ধান দিয়েছেন যা যুগ যুগ ধরে ইসলামের ‎শত্রুরা কলঙ্কিত করতে চেয়েছে। এখানে খুলাফায়ে রাশেদীনের ‎যুগে প্রথম যে বড় ধরনের বিপর্যয় মুসলমানদের চিন্তা-চেতনা ও ‎মুসলিমবিশ্বকে বেদনাভারে আচ্ছাদিত করে ফেলেছিল এবং তখন ‎কীভাবে সাহাবায়ে কেরাম রাসূল সা.-এর শিক্ষাকে আঁকড়ে ধরে ‎তা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করেছিলেন—সেটি উল্লেখ করা ‎হয়েছে। ‎ আধুনিক মুসলমানদের অনেকে ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ‎নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন। মূলত তাদের সচেষ্ট হয়ে ইসলামের ‎‎গৌরবময় ইতিহাস জানার এখনই শ্রেষ্ঠ সময় এবং একইসঙ্গে ‎সাবধান থাকা উচিত, ইসলামের শত্রুরা যেন আমাদের এ ‎ইতিহাস শেখানোর সুযোগ না পায়। ইসলামের ইতিহাসের এক ‎‎গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তুলে ধরার জন্য এ কিতাবের গুরুত্ব ‎অনস্বীকার্য। ইসলামের শুরুর দিকে মুসলমানগণ যেসব বড় বড় ‎বিপর্যয় ও ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন, তা জানার জন্য এ ‎কিতাবটি সকলেরই অধ্যয়ন করা উচিত।‎ মুদ্রিত মূল্য: ৬০০০৳ (মোট ৯ খন্ডের বই) বিক্রয় মূল্য: ৩২০০৳ (৪৭%ছাড়) ——————
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
t

এই লেখকের আরো বই