চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

মুসলিম জাগরণের ব্যক্তিত্ব (হার্ডকভার)

    মুনশী মেহেরউল্লাহ মুনশী মেহেরউল্লাহ। জোছনার ছায়া নয়, গোলাপের ঘ্রাণ নয়, সমুদ্রের ফেনা নয়; বরং তিনি ছিলেন পরিপূর্ণ জোছনা, ছিলেন প্রস্ফুটিত গোলাপ এবং একটি সুবিশাল সমুদ্রের প্রতীক। বস্তুত বিপুল বিস্ময়কর সমুদ্রই তো! মুনশী মেহেরউল্লাহ মানেই এক সংগ্রামমুখর জীবন। একজন নির্ভীক সংগ্রামীর নাম। সাম্রাজ্যবাদীদের দৌরাত্ম্য থেকে বাংলার মুসলমানদের বাঁচাতে জ্ঞান ও যুক্তির হাতিয়ার নিয়ে তিনি রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। রুখে দাঁড়িয়েছিলেন অসীম সাহসে। মুনশী মেহেরউল্লাহ খ্রিষ্টান মিশনারিদের চক্রান্ত থেকে বাংলার সরলমনা মুসলিমদের রক্ষা করেছেন। তাদের জাগিয়ে তুলেছেন। আত্মবিশ্বাসের বলে তাদের বলীয়ান করেছেন। হতাশার সাগর থেকে তাদের তুলে এনেছেন আশার সাম্পানে। আমাদের ইতিহাসের কীর্তিমান কিংবদন্তি মুনশী মেহেরউল্লাহকে জানতে আমন্ত্রণ বইটির হরফের বাগানে। মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী এক সংগ্রামী নাম। দুই শতাব্দীকাল ইংরেজ শাসনে ও শোষণে নিষ্পেষিত বাংলার মুসলমানদের পুনর্জাগরণে অনবদ্য ভূমিকা রেখে গেছেন তিনি। তিনি ছিলেন একজন বিপ্লবী আলিম, জাগরণের অগ্রসেনানী ও কীর্তিমান সাংবাদিক । ইসলামাবাদী আজীবন জনহিতকর এবং জাতীয় উন্নতিমূলক নানা কাজে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে গেছেন। তাঁর জীবন নানা দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়েই কেটেছে। কেটেছে কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। ইচ্ছা করলে তিনি সুখে, আরামে-আয়েশে দিনাতিপাত করতে পারতেন। পারতেন প্রচুর অর্থসম্পদের মালিক হতে। কিন্তু দুঃখীদের ক্রন্দন ও জাতির হতাশা তাঁকে চিরদিন অস্থির রেখেছিল। তিনি সমস্ত আত্মসুখ ত্যাগ করে পরদুঃখ লাঘবে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। মানুষ চলে যায়, কিন্তু থেকে যায় তাঁর কীর্তি। থেকে যায় তাঁর কর্ম ও ইতিহাস। মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীও চলে গেছেন প্রায় পৌনে শত বছর আগে। তবে বেঁচে আছে তাঁর সংগ্রামী জীবনের আলোকিত ইতিহাস। তিনি বেঁচে আছেন অসংখ্য মানুষের হৃদয়ে। মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার আবর্তে তিনি বেঁচে থাকবেন চিরকাল। ইতিহাসই অমর করে রাখবে এই সংগ্রামী সাহসী পুরুষ মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীকে। চলুন, সেই সংগ্রামী ইতিহাসের পাঠ নিতে সফর শুরু করি এই বইটির সদর-অন্দরে। হাজী শরীয়তুল্লাহ হাজী শরীয়তুল্লাহ ছিলেন বাংলার মুসলমানদের জন্য এক অসীম সাহসী পুরুষ! হাজী শরীয়তুল্লাহ যেমনি ছিলেন ইসলামপ্রচারক ও সমাজসংস্কারক, তেমনি তিনি ছিলেন ব্রিটিশবেনিয়া ও অত্যাচারী জমিদারদের শোষণ থেকে বাংলার গণমানুষের মুক্তিসংগ্রামের মহানায়ক। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ফরায়েজি আন্দোলন ধর্মীয় সংস্কারের উদ্দেশ্যে সূচিত হলেও পরবর্তী সময়ে সেটি কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের মুক্তির আন্দোলনে রূপ লাভ করে। সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ ও অত্যাচারী জমিদারদের নিপীড়নে নিষ্পেষিত মুসলমানদের চরম দুঃসময়ে হাজী শরীয়তুল্লাহ ছিলেন একজন নির্ভরযোগ্য অভিভাবক। ছিলেন সত্যের সৈনিক। তাঁর হৃদয়ে ছিল ইসলামের জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা। দেশের জন্য ছিল অঢেল প্রেম। মানুষের জন্য ছিল পরম মমতা। আর তাই বাংলার মানুষকে আঁধার থেকে আলোয় আনার জন্য হাজী শরীয়তুল্লাহ সারাটি জীবন আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন। শহিদ তিতুমীর সাইয়িদ নিসার আলী তিতুমীর। আমাদের বিপ্লবী পূর্বপুরুষ। বাংলার মানুষের ওপর স্থানীয় জমিদার ও ইউরোপীয় নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান তিনি। রুখে দাঁড়ান অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের সেনাপতি হয়ে। বাংলার মানুষকে মুক্ত করার জন্য, তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য নিসার আলীকে একই সাথে অত্যাচারী জমিদার, নীল কুঠিয়াল ও ইংরেজ দস্যুদের মোকাবিলা করতে হয়েছে। তিনি যে সংগ্রাম করেছিলেন, তা পরবর্তীকালে মুসলমানদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় আজাদির পথে এক অসামান্য আলোকবর্তিকার কাজ করেছে। নিসার আলী তিতুমীরের উদ্যোগটি আদৌ সহজ ছিল না। পথটি ছিল না মসৃণ। বরং তা ছিল অত্যন্ত কঠিন। কঠিন ও দুঃসাধ্য। এই দুঃসাধ্য কাজটি করতে করতে বাংলার মুসলমানদের বুকে স্বপ্ন ও সংগ্রামের আগুন উসকে দিয়ে দুঃসাহসী অগ্রসেনানী একদিন শহিদ হয়ে গেলেন। সাইয়িদ নিসার আলী তিতুমীর ছিলেন বাংলার মুসলমানের জন্য সংগ্রাম, শাহাদাত ও আজাদি আন্দোলনের এক অসাধারণ স্বপ্নপুরুষ।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
t

এই লেখকের আরো বই