চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

দ্বীনের প্যাকেজ

    ”প্রোডাক্টিভ মুসলিম: ‘প্রোডাক্টিভ মুসলিম’ একটি আত্মোন্নয়নমূলক বই। বইটির পাতায় পাতায় মুখর হয়ে উঠেছে—আত্ম-জাগরণ, আত্মনির্মাণ ও আত্মবিকাশের বিভিন্ন দিক নিয়ে জীবনঘনিষ্ট আলোচনার আসর। এতে আছে স্রষ্টার দেওয়া অমূল্য উপহার—আমাদের মেধা সময় ও শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগঠন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন এবং সামাজসেবামূলক কর্মোদ্যোগের মধ্য দিয়ে নিজেকে এক নতুন পৃথিবীর স্বপ্নদ্রষ্টা এবং একনিষ্ঠ কারিগর হিসেবে গড়ে তোলার বাস্তবধর্মী কর্মকৌশল। লেখক কুরআনের রত্নভান্ডার, নবিজির সুন্নাহর মুক্তো-প্রবাল থেকে শুরু করে Dr John Ratey, Graham Allcott সহ আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞান এবং ব্যবসায়িক কর্মকৌশলের অসাধারণ সব তথ্য ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন বইটিতে। ইসলামের শাশ্বত শিক্ষা এবং আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানের মিশেলে রচিত এই বইটিতে যে প্রোডাক্টিভ লাইফ-স্টাইলের মডেল তুলে ধরা হয়েছে, তা একজন মানুষকে পার্থিব জীবনের সাফল্যের শেকড় ছুঁয়ে দিয়ে নিজেকে পরকালীন জীবনের শিখরে পৌঁছে দিতে এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হয়ে পথ দেখাবে। বিশেষভাবে এই বইটি থেকে জানতে পারবেন : * কীভাবে স্পিরিচুয়াল প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি করবেন * কীভাবে ঘুম, পুষ্টি ও ফিটনেস নিয়ন্ত্রণ করবেন * কীভাবে ব্যক্তিগত জীবনের বাইরে সামাজিক পরিমণ্ডলেও প্রোডাক্টিভ হয়ে উঠবেন * কীভাবে ব্যক্তিজীবন, সামজিক জীবন, ক্যারিয়ার এবং দ্বীন-দুনিয়ার মাঝে ভারসাম্য রক্ষা করে চলবেন * মানসিক বিচ্ছিন্নতা এড়িয়ে কীভাবে আপন লক্ষ্যে ফোকাস ঠিক রাখবেন * কীভাবে প্রোডাক্টিভ হ্যাবিট গড়ে তুলবেন এবং ইফেক্টিভ রুটিন তৈরি করবেন * কীভাবে সময়ের সদ্ব্যবহার করে দুনিয়ার পাশাপাশি পরকালের জীবনকে সমৃদ্ধ করবেন * রমাদানে কী করে প্রোডাক্টিভিটি বজায় রাখবেন ইত্যাদিসহ আরও অনেক কিছু। এই বইটি কি কেবল মুসলিমদের জন্য প্রযোজ্য? * বইটি বিশেষত মুসলিমদের উদ্দেশ্য করে লেখা হলেও মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে এ থেকে উপকৃত হতে পারবে। এই বইয়ে আলোচিত—আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী? মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব; মানুষ, সৃষ্টিকর্তা এবং মহাবিশ্বের আন্তঃসম্পর্ক; মানবজাতির প্রতি আমাদের দায়বোধ; পৃথিবীর কাছে ঋণস্বীকার—এসব কমন ভ্যালুজ আমাদের প্রত্যেকের জানা দরকার, যেন বৃহত্তর মানবিক স্বার্থে একটি বসবাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ সবুজ পৃথিবী গড়ে তুলতে আমরা একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করতে পারি। * অন্যান্য প্রোডাক্টিভিটি বইয়ের তুলনায় এর বিশেষত্ব কী? * ‘দেহের একটি আত্মা আছে—বিষয়টি এমন নয়, আসলে আমাদের ‘আত্মার জন্য এ-দেহটি। সৃষ্টি হিসেবে মানুষ যতটা-না দৈহিক, তার চেয়ে বেশি আত্মিক। পশ্চিমা ধ্যানধ্যারণার আলোকে প্রোডাক্টিভিটি কিংবা পার্সোনাল ডেভেলপমেন্টের ওপর লিখিত যাবতীয় বইয়ের প্রধান দুর্বলতা—এই আত্মা ও আধ্যাত্মিকতার মতো একটি শাশ্বত সত্যকে এড়িয়ে যাওয়া । * আমাদের দেহ দুর্বল, ভঙ্গুর ও পঁচনশীল। পক্ষান্তরে আমাদের আত্মা হলো শাশ্বত। তাই আত্মা ও আধ্যাত্মিকতাকে অস্বীকার করে যে কর্মকৌশল দাঁড় করানো হয়, তাতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু সফলতা অর্জিত হলেও, জীবনের বৃহত্তর সফলতার প্রশ্নে তা চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ। এ জন্য মানবসত্তার পূর্ণ বিকাশ এবং দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী সফলতার জন্য দরকার এমন এক অত্যুজ্জ্বল জীবনদৃষ্টি ও কর্মকৌশল, যা একজন মানুষকে দুনিয়াতে প্রেডাক্টিভ হওয়ার পাশাপাশি অনন্তকালের পরকালীন জীবনের ব্যাপারেও প্রোডাক্টিভ হতে সাহায্য করতে পারে। এই এখানটাতে প্রোডাক্টিভ মুসলিম বইটি এই ইন্ডাস্ট্রির পশ্চিমাধারার আর-সব বই থেকে আলাদা এবং এক অপার্থিব স্বকীয়তায় উজ্জ্বল। ”ম্যাসেজ: ইসলাম এক নক্ষত্র, যার সংস্পর্শে সমস্ত আঁধার বিলীন হয়ে যায়, ঘোর অমানিশাও তাতে নিজেকে সঁপে দিয়ে আলোকোজ্জ্বল হয়। ইসলাম তো এমন এক জ্যোতিষ্ক, যা উৎসারিত হয়েছে আরশে আজিমের মহিমান্বিত রওশন থেকে। জাহেলিয়াত পরাজয় কবুল করেছিল ইসলামের বুকে আশ্রয় পেয়ে। এই পবিত্র দ্বীন আত্মাকে করেছে প্রশান্ত, চরিত্রকে করেছে নিষ্কলুষ, জীবনকে করেছে সার্থক, মানবতাকে দিয়েছে মুক্তি। এর আলোকচ্ছটা যে জমিনে পড়েছে, সেখানে অঙ্কুরিত হয়েছে শান্তির সবুজ তরু। এই রওশনের ঝলক যে হৃদয় ধারণ করেছে, সে হৃদয় হয়েছে দারাজ দিল। যে যুগ ধারণ করেছে, তা হয়েছে খইরুল কুরুন বা সর্বোত্তম যুগ। কিন্তু হায়! অজ্ঞতা ও অবহেলার কালো মেঘে সেই সূর্য আজ মেঘ লুপ্ত। আলোহীন এ ধরায় উঠে না প্রাণের জোয়ার। তোলে না কেউ আর মানবতার জয়োধ্বনি। অধিকার হারিয়ে মুমূর্ষুপ্রায় মানবতা। নব্য জাহেলিয়াতের এই গাঢ়-কালো মেঘপুঞ্জ চুর্ণ করতে দরকার একটি নির্ভেজাল ঈমানি দমকা হাওয়া; যে হাওয়ায় জ্ঞানের সৌরভ মিশে মোহিত করবে প্রতিটি হৃদয়। সেই মোহনীয় দক্ষিণা হাওয়ার গুঞ্জন তুলতেই আমাদের আয়োজন-‘ম্যাসেজ’। ”মুসলিম চরিত্র” বইয়ের কিছু পিছনের কভারের লেখা: দীর্ঘ সময় ধরে তামাম দুনিয়ায় তাদের ঘোড়ার খুর ছুটত। গৌরবান্বিত মুসলিম জাতির আজকের দিনে ক্রমান্বয়ে ক্ষয়িষ্ণু শক্তিতে পরিণিত হওয়ার অন্যতম মৌলিক কারণ নৈতিক চরিত্রের চরম অবনতি। মুসলিম জাতিসত্তার অতীত শৌর্যবীর্য ও নেতৃত্বের প্রধান হাতিয়ার ছিল এক আল্লাহতে বিশ্বাস আর দৃঢ় চারিত্রিক শক্তি। একঝাঁক নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষের চারিত্রিক ছোঁয়ায় অসভ্য পৃথিবী সভ্য হয়ে উঠেছিল; পুরো দুনিয়া তাদের বরণ করে নিয়েছিল। কালের আবর্তে পার্থিব মোহে ঢিলে হয়ে যায় এই শক্তির বাঁধন, ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে মুসলিম উম্মাহ। সেখানে জন্ম নেয় নানান চারিত্রিক রোগ-জীবাণু আর তাতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে মুসলিম বিশ্ব। এক সময়ের প্রতাপশালী জাতি ক্রিড়নক হয়ে পড়ে অধঃপতিত জাতিসমূহের বাহুডোরে। বিশৃঙ্খলতার সমুদ্রের মাঝে ডুবে থাকা সত্ত্বেও আমরা অতীতের সোনালি অধ্যায় ফিরে পাওয়ার লড়াই করতে চাই। এই লড়াইয়ের মোক্ষম অস্ত্র চরিত্র। নৈতিক চরিত্রে বলিয়ান হওয়া ছাড়া আমাদের ঘুরে দাঁড়ানো একেবারেই অসম্ভব। আমাদের চরিত্র মডেল সাইয়্যেদুল মুরসালিন রাসূলুল্লাহ (সা.) এবং সাহাবা আজমাইন। এই গ্রন্থে আমরা সুন্নাহর চোখে চরিত্র গঠনের অবকাঠামো দেখব।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
t

এই লেখকের আরো বই