চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

শ্রেষ্ঠ সিরাত গ্রন্থ প্যাকেজ (আর রাহীকুল মাখতূম ও রাহে বেলায়েত)

    রাসূল (স.) এর শ্রেষ্ঠ সীরাত গ্রন্থ: আর রাহীকুল মাখতূম: "রাসূল (স.) এর শ্রেষ্ঠ সীরাত গ্রন্থ: আর রাহীকুল মাখতূম"বইটির শেষের ফ্লাপের কিছু কথা: আল্লাহ তাআলা নিজেই যদি কারও কপালে সফলতার রাজটিক লাগিয়ে দিতে চান, তবে তাকে অসফল করার সাধ্য কার? আল্লাহ তাআলা যদি কাউকে প্রকাশ করতে চান, তবে তাকে ঢেকে রাখার সামর্থ্য কার? একদিন হিন্দুস্তানের এক মাদ্রাসার সংকির্ণ চৌহদ্দিই ছিল যার যাবতীয় কর্মকাণ্ডের সীমারেখা, আজ তার সবগুলি ছাঁপিয়ে উঠে গােটা পৃথিবীর মঞ্চে তিনি বরেণ্য, আলােচিত ও সমাদৃত। আজ তাঁর পরিচয় কালজয়ী সীরাতগ্রন্থ “আর রাহীকুল মাখতুম’ প্রণেতা শাইখ সফিউর রহমান মুবারকপূরী রহ সীরাতে রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইতিহাসে আর রাহীকুল মাখতুম’ কি যে এক বিস্ময়কর আন্দোলন ও আলােড়নের ঢেউ তুলেছিল তার সঙ্গে আজ কাউকেই আর নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়ােজন নেই। বস্তুত এটা ছিল বিশ্ব সীরাত ভাণ্ডারে বর্তমান সময়ের এক অনুপম ও অনবদ্য সংযােজনা। আর এ ক্ষেত্রে সকল কৃতজ্ঞতার উপযুক্ত মালিক হলেন মহান আল্লাহ তাআলা। গ্রন্থকার মাওলানা সফিউর রহমান মুবারকপুরী রহ. জন্ম গ্রহণ করেছিলেন ১৯৪৩ সনের ৬ জুন ভারতের উত্তর প্রদেশের মুবারকপূরের হুসাইনাবাদ নামক গ্রামে। কথিত আছে, তিনি ছিলেন ছাহাবী আবু আইয়ুব আনসারী রা. এর বংশধর। আপন পল্লী গাঁয়ে কুরআনে কারীমের মাধ্যমে তার শিক্ষা জীবনের অভিষেক হয়েছিল। পরবর্তীতে এক সুদীর্ঘ কাল পরে ১৯৭৬ সনে আরবি সাহিত্যে সর্বোচ্চ ডিগ্রী লাভ করার মধ্য দিয়ে উপসংহার টেনেছিলেন। এরই মাঝে ১৯৭৬ সনের মার্চ মাসে রাবেতায়ে আলমে ইসলামীর উদ্দ্যোগে আয়ােজিত আন্তর্জাতিক সীরাত প্রতিযােগিতায় ‘আর রাহীকুল মাখতুম নিয়ে তিনি বিশ্বের নাট্য মঞ্চে আবির্ভূত হন। এরপর জীবনে আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দাওয়াত, তাবলীগ ও তাসনীফাতের মধ্য দিয়ে খুব দ্রুতই অতিক্রম করে গিয়েছেন জীবনের প্রতিটি মনযিল । আরবি ও উর্দু ভাষায় তাঁর রচিত গ্রন্থ। সংখ্যা ত্রিশাের্ধ্ব। কর্মজীবনে তিনি মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ও সর্বশেষ রিয়াদের মাকতাবায়ে দারুস সালামে গবেষণার দায়িত্বে নিয়ােজিত ছিলেন। দল ও মত, মাযহাব ও দর্শনের বিবেচনায় যত মত-পার্থক্য থাক, মানুষ হিসেবে একান্ত জীবনে। তিনি ছিলেন সত্যিই উদার, সরল ও সাদা মনের একটি মানুষ। কারও সঙ্গেই তাঁর সম্পর্ক কখনােই সাংঘর্ষিক ছিল না। আর তাঁর অমর গ্রন্থ ‘আর রাহীকুল মাখতূম’ অধ্যয়ন করলেও বােঝা যায়, ব্যক্তিগত জীবনের দর্শনের লেশমাত্র ছাপও তিনি পড়তে দেননি। বরং ইলম ও ইখলাসের সবটুকু * রস ও মাধুরী মিশিয়ে তিনি সীরাতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আরাইহি ওয়া সাল্লাম কে যথাযােগ্য মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। নিরবিচ্ছিন্ন মেহনত ও পরিশ্রমের ফলে জীবনের শেষ দিকে এসে তিনি মারাত্মক ভগ্নস্বাস্থ্য ও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সনের মাঝামাঝি সময়ে ধীরে ধীরে তিনি আরও নেতিয়ে পড়েন। পরিশেষে একই বছর পয়লা ডিসেম্বরে পবিত্র জুমুআর দিন বেলা ২ টার সময় তিনি মাওলা পাকের সান্নিধ্যে পরপারে পাড়ি জমান। পৃথিবীতে আপন কীর্তির স্বাক্ষর স্বরূপ রেখে যান কালজয়ী অমর গ্রন্থ ‘আর রাহীকুল মাখতুম। রাহে বেলায়েত: রাহে বেলায়াত-এর বিষয়বস্তু পাঁচটি অধ্যায়ে বিভক্ত ছিল। এবার নতুন দুটি অধ্যায় সংযোজন করে গ্রন্থটিকে সাত অধ্যায়ে বিভক্ত করা হয়েছে। সকল অধ্যায়েই কমবেশি পরিবর্তন, সংশোধন বা সংযোজন করা হয়েছে। বিশেষ করে “সালাত ও বেলায়াত” নামে নতুন একটি অধ্যায় তৃতীয় অধ্যায় হিসেবে সংযোজন করা হয়েছে। এ অধ্যায়ে সালাত বিষয়ক ‘রাহে বেলায়াতের’ পূর্ববর্তী সংস্করণের যিকর ও দু‘আ গুলোর সাথে আরো কিছু যিকর ও দু‘আ সংযোজন করা হয়েছে এবং সহীহ হাদীসের আলোকে সালাত আদায়ের মাসনূন পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে। “রোগব্যাধি ও ঝাড়ফুঁক” শিরোনামের ষষ্ঠ অধ্যায়টি সম্পূর্ণ নতুন সংযোজন। রোগব্যাধি জীবনের সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। দীর্ঘদিন যাবত অগণিত পাঠক বিভিন্নভাবে তাদের বিভিন্ন সমস্যা, রোগব্যাধি, বিপদাপদ ইত্যাদির জন্য সুন্নাতসম্মত দু‘আ যিকর ও চিকিৎসা পদ্ধতি জানতে চাচ্ছেন। কারণ তাবীয-কবয ইত্যাদির শিরক সম্পর্কে অনেক আলিমই কথা বলছেন। আমি আমার ‘ইসলামী আকীদা’ গ্রন্থেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। পাঠকগণ তাবিয-কবয বর্জন করতে চান। কিন্তু বিকল্প সুন্নাত পদ্ধতি তো তাদের জানতে হবে। আর এজন্যই এ অধ্যায়টি সম্পূর্ণ নতুন সংযোজন করা হলো। মহান আল্লাহর কাছে আমরা সকাতরে দু‘আ করি, তিনি যেন এ সকল সুন্নাত-নির্দেশিত দু‘আ ও ঝাড়ফুঁকের ব্যবহারকারীদেরকে পরিপূর্ণ উপকার ও কল্যাণ প্রদান করেন। বিস্তারিত জানতে বইটি পড়ুন।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
t

এই লেখকের আরো বই