চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

বেস্ট সেলিং আত্ম-উন্নয়ন প্যাকেজ

    দ্য কম্পাউন্ড এফেক্ট:- সফলতার কোনো শর্টকাট টেকনিক নেই। এমন কোনো আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ বা জাদুর কাঠি নেই যেটা আপনাকে রাতারাতি ব্যর্থ মানুষ থেকে সফল মানুষে পরিণত করবে। তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করে, সুনির্দিষ্ট কিছু বাস্তবিক প্রক্রিয়ায় জীবন পরিচালনা করে, নিজের জীবনাচরণে ছোটো ছোটো পরিবর্তন আনার মাধ্যমে সফলতার পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। বলার অপেক্ষাই রাখে না— ব্যর্থ মানুষ ও সফল মানুষের মধ্যে ব্যবধান মূলত পরিশ্রমে। তবে এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে, কেবল পরিশ্রমই শেষ কথা নয়; সফল হতে হলে পরিশ্রম করতে হয় নিয়মতান্ত্রিকভাবে, শৃঙ্খলা বজায় রেখে, কৌশলী হয়ে। 'দ্য কম্পাউন্ড এফেক্ট' আমাদেরকে এই শৃঙ্খলা ও কলাকৌশলই শেখায়, যা আমাদের যাবতীয় প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমকে সফলতায় বদলে দিতে পারে। দ্য মিরাকল মর্নিং:- এই বই থেকে আপনি জানবেন , অধিকাংশ সফল লেখক সকাল সকাল জেগে উঠে সারা দিনের সব কাজ শুরু করার পূর্বে তাদের লেখার কাজ সম্পন্ন করেন। আবার এমনও লেখক রয়েছেন যারা সন্ধ্যায় কাজ শুরু করেন, কেউ কেউ আবার যখন সময় পান তখনই লিখতে বসেন। তবে আপনি যদি পেশাদার লেখকদের অভ্যাসের দিকে নজর দেন , তবে দেখবেন অধিকাংশরাই সকালে জেগে উঠে লেখা শুরু করেন এবং বিকেল হওয়ার আগেই লেখা শেষ করেন। প্রতিদিন হাজার হাজার শব্দ লেখা তেমন কঠিন কিছু নয়। সেজন্য কৌশল হলো , প্রতিদিনের অভ্যাসপূর্ণ রুটিন মেনে চলা এবং এই লক্ষ্যে অটল থাকা। এই বইটির লক্ষ্য খুব সাধারণ: হল এলরড ও আমি স্টিভ স্কট আপনাকে শেখাবো কীভাবে ব্যক্তিগত জীবনে উন্নয়ন সাধন করবেন, কীভাবে ধারাবাহিকভাবে লিখবেন এবং লেখার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করবেন।একজন আকর্ষণীয় , টেকসই ও অসাধারণ সফল মানুষে পরিণত হতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই এর ধাপগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে লেখার অভ্যাস গড়ে তোলা , মহৎ আইডিয়াগুলো ধরে রাখা , ব্যবসায়ীক মডেল মেনে বিষয়বস্তু লেখা – এর সমস্ত কিছুই এই বইয়ে বর্ণিত হয়েছে। প্রতিটি অভ্যাস আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে মিলিয়ে নিন। লেখা সম্পর্কিত অন্যান্য বইয়ের তুলনায় ‘মিরাকল মর্নিং ফর রাইটার্স’ কে আলাদা হিসেবে খুঁজে পাবেন। কারণ লেখা থেকে অর্থ আয়ের খুঁটিনাটি এখানে যেমন রয়েছে , সেই সাথে বিভিন্ন কৌশলও বর্ণিত হয়েছে। ‘প্রতিদিন হাজার হাজার শব্দ লিখুন’ আমরা খুব সহজেই এটি বলতে পারি। তবে আমরা লেখক হিসেবে আপনাকে এই বইয়ে তা বলব না। আপনি কীভাবে হাজার হাজার শব্দ লিখবেন , আমরা সেই পদ্ধতিগুলো দেখিয়েছি। এমনকি লেখালেখি আপনার সব শেষের পছন্দ হলেও আপনি লিখতে সক্ষম। এবার আপনার পালা।আপনি যদি আগামীকাল সকালে ঘুম থেকে জেগে দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে মনে করেন , দিনটি চমৎকার যাচ্ছে, তাহলে কেমন হবে? আপনি যদি সকাল সকাল ঘুম থেকে জেগে ওঠাকে ভালোবেসে ফেলেন , তাহলে কেমন হয়? প্রতিটি সকালই যদি ঈদের সকালে পরিণত হয় , তাহলে কেমন হয়? ঈদের সকালগুলো মনে আছে? যখন আপনি ছোট বালক বা বালিকা , রাতে ভেবে রাখেন আগামীকাল সকাল চারটায় জেগে মা বাবাকে জাগিয়ে তুলবেন আর দেখবেন আপনার জন্য কত কিছু অপেক্ষা করছে। এমন দিনগুলোয় সকালে জেগে ওঠার উত্তেজনার পারদ উর্ধ্বমুখী থাকতো। আমি আপনাকে বলে রাখি ,আমি প্রতিদিন সকালে এই আনন্দ উত্তেজনাটুকু বোধ করি। আমি প্রতিদিন বিছানায় যাই পরের দিনের কল্পনা করে , সকালে জেগে উঠে অনুমান করে নেই আজকের দিনটি আমাকে কতকিছু দিতে পারে। আমি কৃতজ্ঞ যে আমার অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করতে পেরেছি। আমি দারুণ কিছু করতে সক্ষম হচ্ছি। খুব সম্ভবত আপনি নিজের সম্পর্কে ভাবছেন , “আমি চেষ্টা করেছি কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। আমি সকালে জেগে উঠতে চেষ্টা করেছি। আমি আমার জীবন ও পেশাগত জীবনে উন্নয়নের চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমি অনেকবার ব্যর্থ হয়েছি। এখন আমি নতুন কিছু চেষ্টা করতে ভয় পাই। আমি কীভাবে আবারো সকালে জেগে ওঠার চেষ্টা করতে পারি? আমি কি পারবো? এই বই আমাকে সহায়তা করতে পারবে?” জি , পারবে। সকালে ঘুম থেকে জেগে অস্থির চিত্তে লিখতে বসতে ইচ্ছে হয় না, এই অনুভূতিটুকু আমার জানা। আবার সকালে জেগে খুব উদ্দীপনার সাথে লিখতে বসার আনন্দানুভূতিটুকুও আমার জানা। বিশ্বাস করুন, প্রতিদিনের শব্দসংখ্যা লেখা শেষ হয়েছে , এই অনুভূতি নিয়ে বিকেল শুরু করা অনেক আনন্দের ও ভালোলাগার। কীভাবে তেমন একটি বিকেল শুরু করবেন , এসবই বর্ণিত হয়েছে এই গ্রন্থে। সফল না হয়ে থাকলে এবার আপনি সফল হতে পারেন , আমার থেকেও বেশি সফল। আপনাকে শুধুমাত্র প্রতিটি সকাল নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে। প্রস্তুত তো? তবে চলুন এবার বিভিন্ন কৌশল জেনে নেই। দ্য 7 হ্যাবিটস অফ হাইলি এফেকটিভ পিপল:- বিশ বছর আগে যখন আমি এই বইটি লিখছিলাম, তখন পৃথিবী যে এভাবে বদলে যাবে, অথবা মানুষ যে এই অসাধারণ পণ্যের মাধ্যমে অসাধারণ পদ্ধতিতে “দ্য সেভেন হ্যাবিট্‌স অফ হাইলি ইফেক্টিভ পিপল” বইটি পড়তে পারবে, এই সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই ছিল না। তখন থেকে এই বইটিকে ‘সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যাবসায়িক বই’ বলা হয়ে থাকে (দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতে)। বইটি পাঁচ বছর ধরে নিউইয়র্ক টাইমসের বেস্টসেলার বইয়ের তালিকায় ছিল। বইটি ৩৮টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং প্রায় ২০ মিলিয়ন কপি মুদ্রিত হয়েছে (এবং যুক্তিযুক্তভাবে বিশ্বে সবচেয়ে বেশিবার পাইরেটেড ব্যাবসায়িক বই)। গুগলে ‘7 Habits’ লিখে সার্চ করলে ১২ মিলিয়নেরও বেশি হিট দেখতে পাবেন। এই বইটির বিশ্বব্যাপী পাঠকপ্রিয়তা দেখে আমি বিনীত এবং ধন্য হয়েছি। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজা থেকে শুরু করে কলেজছাত্র, নির্মাণশ্রমিক এবং রান্নার কাজের সাহায্যকারীরাও এই বইটি পড়েন। আমি সহস্রাধিক মানুষকে এই ধরনের কথা বলতে শুনেছি: • শুধু জরুরি জিনিস নয়, বরং সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আমি ফোকাস করতে শিখেছি। • প্রথমবারের মতো আমি অন্য মানুষের কথা শুনছি, সত্যিই শুনছি। • আমাকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে— এমন একটি চাকরিতে যখন আমি ‘জয়-জয়’ পদ্ধতিতে ভাবতে শুরু করেছি, তখন থেকে আমি আমার পেশাগত জীবনে একটি নতুন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য খুঁজে পেয়েছি। এই ৭টি অভ্যাস আপনাকে কীভাবে প্রভাবিত করবে? আমি আশা করি, আপনি আপনার জীবনে নতুন আশা, বৃহত্তর উদ্দেশ্য, মনের শান্তি এবং ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে আরও ফলপ্রসূ সম্পর্ক খুঁজে পাবেন। স্টিফেন আর. কোভি ডিসেম্বর ২০০৯
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
t

এই লেখকের আরো বই