চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

রাসুল ﷺ ও সাহাবিদের চোখে আমলি জিন্দেগি কাসাসুল হাদিস

    রাসুল ﷺ ও সাহাবিদের চোখে আমলি জিন্দেগি (ইলম ও আমলের সমন্বয়) #কাসাসুল হাদিস [রাসুল ﷺ বর্ণিত শ্রেষ্ঠ কাহিনী] ১.আমলি জিন্দেগি – কুরআনে কারিমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি সামান্য অনু-পরিমাণ নেক আমল করবে কিয়ামত দিবসে সে তা দেখতে পাবে। আর যে ব্যক্তি সামান্য অনু-পরিমাণ বদ-আমল করবে কিয়ামত দিবসে তাও দেখতে পাবে।” সহিহ হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আল্লাহ তাআলা তোমাদের বাহিক্য আকৃতি ও শারীরিক গঠনের দিকে লক্ষ্য করেন না। তিনি তোমাদের অন্তর ও আমলের দিকে লক্ষ্য করেন।” কুরআনে কারিম-হাদিস শরিফ যেমন ইলম অর্জনের তাগিদ প্রদান করা হয়েছে তেমনি বিশেষভাবে অমলেরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ‘ইলমের গ্রহণযোগ্যতা, সুরক্ষা, হাতিয়ার, ও সুন্দর্যতা হল আমল বা আমলে সালিহ’। হাশরের ময়দানে ইলম কি পরিমাণ অর্জন করা হয়েছে তা জিজ্ঞাসা করা হবে না, বরং ‘আমলে সালিহ’ কি পরিমাণ সম্পাদন করা হয়েছে তা অবশ্যই জিজ্ঞাসা করা হবে। আমাদের সমাজে বর্তমানে এমন মানুষ পাওয়া খুবই দুষ্কর যিনি কুরআন-হাদিস সম্পর্কে কিছুই জানেন না। সবাই অন্তত কিছু না কিছু হলেও মাসআলা-মাসাইল জানেন।আমাদের জ্ঞানের উন্নতি ঘটলেও আমলের অধঃপতন ঘটছে প্রতিনিয়ত। অথচ কুরআনুল কারিম-হাদিস শরিফ দু’টিকেই সমান গুরুত্ব দিয়েছে।ইলমহীন আমল যেমন গ্রহণযোগ্য নয়,ঠিক তেমনিভাবে আমলহীন ইলমও গ্রহণযোগ্য নয়। ‘আমলি জিন্দেগি’র এমন গুরুত্বের কারণে সালাফদের মাধ্যে সাহাবি, তাবেয়ি, ফকিহ ও মুহাদ্দিস সকলেই অর্জিত ইলম নিয়ে সংকিত ছিলেন। তারা সর্বদা চিন্তা করতেন এবং ভীতসন্ত্রস্ত থাকতেন-আল্লাহ তাআলার দরবারে কি জবাব দিবেন তাঁরা? অর্জিত ইলমের হক কতটুকু আদায় করতে পেরেছেন? কিয়ামত দিবসে কীভাবে ইলমের হিসাব দিবেন, নাকি এই ইলমের কারণে হিসাব দিবসে আটকে যাবেন? সালাফগণ ইলমের সাথে সাথে ‘আমলি জিন্দেগি’কে সমান গুরুত্ব দিয়েছেন। হিজরি পঞ্চম শতাব্দীর বিখ্যাত আলিম ইমাম আবু বকর খতিব আল-বাগদাদি রহ. তালেবুল ইলম সহ সকল শ্রেণীর মুসলিমদেরকে আমলের প্রতি আগ্রহী ও ‘আমলি জিন্দেগি’ গড়ে তোলার নিমিত্তে اقتضاء العلم والعمل / “ইকতেজাউল ইলম ওয়াল আমল” নামে একক একটি গ্রন্থ রচনা করেন। বাগদাদি রহ.এর বইটিতে নিজ বর্ণনাসূত্রে কুরআনে কারিমের তাফসির, হাদিস, সাহাবা রাযি. এর আছার ও তাবেয়ি রহ. এর বাণী সংকলন করেছেন। আরবি বইটি খুবই যত্নসহকারে অনুবাদ ও বিশ্লেষণ করেছেন মুফতি আবুল ওয়াফা শামসুদ্দিন আযহারী। বইটির অনুবাদক ‘গ্রন্থকার বাগদাদি রহ.’ পর্যন্ত ধারাবাহিক সনদ উল্লেখ করেছেন। তিনি আরবি গ্রন্থটির হাদিস ও আছারের তাখরিজ, টীকা সংযোজন ও সার্বিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে বাংলাভাষী পাঠকদের পাঠপোযুগী করে তুলেছেন। বইটির নাম দিয়েছেন, ‘আমলি জিন্দেগি’। আশা করছি, বইটির মাধ্যমে আমাদের সমাজের ছাত্র-শিক্ষক ও সকল মহলের পাঠকবৃন্দ উপকৃত হবেন।ইনশাআল্লাহ্‌। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের এ প্রচেষ্টাকে কবুল করুন।এবং সবাইকে আমলি যিন্দেগি দান করুন।আমিন। ২.কাসাসুল হাদিস- কাসাস। গল্প শুধু গল্প নয়। হৃদয় গলে, জীবন গড়ে এবং পথ দেখায় অনন্দের অফুরন্ত হায়াতের দিকে। এটি-ই সত্যিকারের কাসাস-গল্প। আর এই গল্প যদি হয় সহিহ হাদিসের শব্দে, বহুল নির্বাচিত ও বিশ্বনবি হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুখ-নিঃসৃত তাহলে পাঠক মাত্রই উপকৃত হবেন -এটি একেবারে সোজা কথায় বলা যায়।পৃথিবীর সূচনা থেকে মানুষ গল্প-কাহিনি বলতে ও শুনতে ভালবাসে। এর প্রধান কারণ হল, গল্প থেকে সহজে উপদেশ গ্রহণ ও বাস্তব জীবনে তা সহজে প্রয়োগ করা যায় । তাই প্রত্যেক জাতি, ধর্ম, সমাজ ও ইতিহাস-ঐতিহ্যকে নির্ভর করে নানা গল্প-কাহিনি সৃষ্টি হয়েছে। রোমান, পারসিক, হিন্দি ও আরবিসহ নানা সভ্যতার গল্পের সমৃদ্ধ বই রয়েছে। তেমনি ইসলামি সভ্যতার মাঝে রয়েছে গল্প-কাহিনির সম্ভার। এগুলো ব্যক্তি গঠনে, সমাজ বিনির্মাণে ও রাষ্ট্র গঠনে এবং পরিচালনায় বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল কালের আবর্তনে ও বিভ্রান্তির বেড়াজালে সেই গল্প-কাহিনি আজ কোন দিক-দর্শন দেয় না, বরং অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়। কুসংস্কারের পাহাড় তৈরি করে, সত্যকে আড়াল করে এবং প্রকৃত আকিদা-বিশ্বাসে ভ্রান্তির প্রলেপ দেয়। রেফারেন্সহীন অশংখ্য বানোয়াট কেস্সা-কাহিনি এখন ওয়াজ-মাহফিল ও জুমার খুৎবায় সরব রয়েছে।মুসলিম সমাজের সমাজিক প্রেক্ষপটে ও বাংলা ভাষাভাষিদের জন্য বিশুদ্ধু হাদিসের বর্ণনায়, কাহিনি থেকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা-শিষ্টাচার সংগ্রহ করে এবং প্রয়োজনীয় যথাযথ বিশ্লেষণ করে একটি গল্প-কাহিনির নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ ইসলামি পাঠাগারে সংযোজন করা খুবই জরুরি ছিল। এমন পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে “কাসাসুল হাদিস” গ্রন্থটি একটি সংস্কারমূলক ভূমিকা পালন করবে।বিশেষ করে দ্বিনের দাঈ, ওয়ায়েজ-বক্তা ও ইমাম-খতিবগণের ইসলামি আদর্শ প্রচারে বইটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি আশা করি। – সহিহ আকিদা-বিশ্বাসের প্রচারের ক্ষেত্রে এবং আখেরাতে অনন্ত জীবন লাভের জন্য কুরআনুল কারিম-হাদিস শরিফের বিকল্প নেই। আর এই বইটি গল্পে-গল্পে আপনাকে সেই পথের দিকে অগ্রসর করবে-এমনটি আমরা প্রত্যাশা করছি। ইসলামি কেস্সা-কাহিনির নামে মিথ্যা-বানোয়াট, কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও বিভ্রান্তির থেকে আমরা বেরিয়ে আসব। আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে ‘কাসাসুল হাদিস’ পাঠের মাধ্যমে সঠিক পথের দিশা প্রদান করব।ইনশাআল্লাহ। – বইটি সংগ্রহ করুন, পড়ুন, উপহার দিন। . বইটি আজই সংগ্রহ করুন… ১) বই : রাসুল ﷺ ও সাহাবিদের চোখে আমলি জিন্দেগি লেখক : ইমাম আবু বকর খতিব আল-বাগদাদি রহ. অনুবাদক : আবুল ওয়াফা শামসুদ্দিন ইবনে সাআদ উদ্দিন আযহারী পেজ : ৩২০ মুদ্রিত মূল্য:৫৯৮৳ বিক্রয় মূল্য: ৩২৯৳ (৪৫%ছাড়ে) ২) বই : কাসাসুল হাদিস [রাসুল ﷺ বর্ণিত শ্রেষ্ঠ কাহিনী] লেখক : শাইখ ড. মুস্তফা মুরাদ আযহারী পেজ : ৪৫০ মুদ্রিত মূল্য:৭৯৮৳ বিক্রয় মূল্য: ৪৩৯৳ (৪৫%ছাড়ে) মোট দুইটি বইয়ের মুদ্রিত মূল্য: ১৩৯৬৳ মোট দুইটি বইয়ের বিক্রয় মূল্য: ৭৬৮৳ ডেলিভারি চার্জ:৬০৳ ঢাকার ভেতর এবং বাইরে ১০০৳
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
t

এই লেখকের আরো বই