চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

ইতিহাসের মুসলিম তিন মহাবীর

    ইতিহাসের মুসলিম তিন মহাবীর সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবী সুলতান সুলায়মান আরতুগরুল সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবী ৫৮৩ হিজরির ২৭ই রজব (২ অক্টোবর, ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দ) সম্মিলিত ক্রুসেড বাহিনীকে পরাজিত করে বাইতুল মুকাদ্দাসে বিজয়ীর বেশে প্রবেশ করেন মুসলিম জাতির মহান বীর সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়ুবী। যে রজব মাসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে মিরাজে গিয়েছিলেন, আল্লাহপাকের অপার মহিমায় সে রজব মাসেই মুসলমানরা বাইতুল মুকাদ্দাসে প্রবেশ করার সৌভাগ্য অর্জন করেন। মুসলিম বাহিনী শহরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানদের মাঝে এক অভাবনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ দিনের বন্দিত্ব আর সীমাহীন অত্যাচার থেকে মুক্তি পেয়ে আনন্দ বেদনার এক বিচিত্র অনুভূতিতে ভরে ওঠে তাদের হৃদয়। অপর দিকে জেরুজালেম শহরের খ্রিস্টান অধিবাসীদের মনের অবস্থা ছিল ভয়াবহ। তারা ভেবেছিল ৮৮ বছর ধরে মুসলমানদের উপর যে ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়েছে, মুসলিম বাহিনী তার প্রতিশোধ নেয়া শুরু করবে। কিন্তু না দৃশ্যপট ভিন্ন হয়। কিন্তু সুলতান সালাহউদ্দিন ইসলামের বৈশিষ্ট্যমন্ডিত উত্তম চারিত্রিক গুণাবলি, মহৎ স্বভাব, চিত্তের বিশালতা ও মনের উদারতার যে-পরিচয় পেশ করেন তার বিবরণ আমরা পাই খ্রিস্টান প্রাচ্যবিদ ও ঐতিহাসিক স্ট্যানলি লেন পুলের লেখায় : “খ্রিস্টানদের ঐতিহাসিক পরাজয় ও আত্মসমর্পণের দিন সালাহউদ্দিন নিজেকে যে-উদারচিত্ত ও মহানুভবরূপে উপস্থিত করেছিলেন সেটা ইতোপূর্বে কখনো করেন নি। দায়িত্বশীল আমিরদের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁর সৈন্যরা প্রতিটি সড়কে দাঁড়িয়ে শৃঙ্খলা বজায় রেখেছিলো : পরাজিতদের প্রতি সহিংস হতে ও অপদস্থ করতে লোকদের বারণ করেছিলো, এমনকি খ্রিস্টানদের প্রতি সামান্যতম দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলে শোনা যায় নি।” এভাবেই খ্রিস্টান ঐতিহাসিকেরা তাদের লিখিত গ্রন্থে সুলতান সালাহউদ্দিনের এমন মহানুভবতা ও উদারতার প্রশংসা করেন। এই মহানুভবতা থেকে যেমন বঞ্ছিত হয়নি খ্রিস্টান সম্রাট, তেমনি বঞ্ছিত হয়নি কোনো সাধারণ সৈনিক, খ্রিস্টান জনসাধারণ, নারী, শিশু কিংবা তরতাজা যুবক। সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবীকর্তৃক বাইতুল মুকাদ্দাস নিয়ন্ত্রণে নেবার প্রায় ৮০০ বছর পর এবং ইসলামী খিলাফাহ ধ্বংসের ৪৩ বছর পর মুসলমানরা প্রত্যক্ষ করে এক বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক ঘটনা। মুসলিম বিশ্বের পারস্পরিক অনৈক্য ও দুর্বলতার ফলে পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস আর মসজিদুল আকসা আবার চলে যায় বিধর্মীদের হতে। খ্রিস্টানদের মদদে সেখানে কর্তৃত্ব বিস্তার করলো অভিশপ্ত ইহুদী জাতি। ৮০০ বছর আগের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটল সেই পবিত্র ভূমিতে। মুসলমানদের রক্তে নতুন করে ভিজতে শুরু করে ফিলিস্তিনের মাটি। যা এখনো অব্যাহত আছে। আজ শুধু ফিলিস্তিন নয়, পৃথিবীর সকল প্রান্তের মুসলমানের আত্মা ক্রন্দন করছে একজন সালাহউদ্দীন আইয়ুবীর জন্য। বিখ্যাত মনীষী সাইয়িদ আবুল হাসান আলী নদবীকর্তৃক রচিত মহাবীর সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়ুবীর বিশাল কর্মময় জীবনের স্বর্ণবিন্দুগুলো নিয়ে রচিত এ গ্রন্থটি পাঠকের সমাদর লাভ করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সুলতান সুলায়মান। কে ছিলেন তিনি? —ইতিহাসবেত্তারা তাকে ‘গ্রেট’ এবং ‘ম্যাগনিফিসেন্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি উসমানীয় সাম্রাজ্যের অনেক পুরাতন নিয়মকানুন নতুন করে তৈরি করেন। এর জন্য খ্যাতি পান ‘আল কানুনি’ বা নিয়ম তৈরিকারী হিসেবে। সুলতান সুলায়মান ছিলেন একাধারে দিগ্বিজয়ী বীর, বলিষ্ঠ প্রশাসক, সুচতুর কূটনীতিবিদ, একনিষ্ঠ জনসেবক ও নিষ্ঠাবান মুসলিম। ইউরোপের তুলনায় খিলাফত রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থা, আদালত ও শাসনব্যবস্থা ছিল অনেক বেশি উন্নত, নিরপেক্ষ, মানবিক, ন্যায়ানুগ এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারাবদ্ধ। ওই সময়কার ইউরোপীয় রাজনীতি-অর্থনীতি ছিল সুলতানের নখদর্পণে। তুর্কি ভাষাসহ তিনি মোট পাঁচ ভাষায় কথা বলতে পারতেন। রণাঙ্গনেও সুলতান সুলায়মান ছিলেন সমান পারদর্শী। তাঁর শাসনামলে সামরিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তির ব্যাপক প্রসার ঘটে। ইউরোপীয়রা সুলতান সুলায়মানকে নিয়ে হেরেমের যে মিথ্যা গল্পের পসরা সাজিয়েছে, বাস্তবে সুলায়মান হেরেমের নায়ক নন; বরং ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় ইতিহাসের এক মহানায়ক। তিনি উসমানি খলিফাদের মধ্যে সেই বিরল ব্যক্তিত্ব, যিনি একটানা ৪৬ বছর (১৫২০-১৫৬৬) খিলাফত রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকাসহ উসমানি খিলাফতের তখনকার বিস্তৃতি ছিল তিন মহাদেশের বিরাট অংশজুড়ে। আমাদের এ বইটি তার-ই কথা বলবে। কথা বলবে, সুলতান সুলায়মানের শাসনামলের নানা বিস্ময়কর দিক নিয়ে। #আরতুগরুল পৃথিবী জুড়ে তখন মোঙ্গলদের ত্রাস। মধ্য-এশিয়াও উথালপাতাল করে ফেলছে ওরা। ওদের ঠেকাবে, কারও সে সাধ্য নেই। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে পুরো পৃথিবী থেকে মুসলিমদের নাম-নিশানা মুছে যাবে; হারিয়ে যাবে খেলাফত। তখনই তিনি এলেন আনাতোলিয়ায়। গাঁথলেন—শুধু স্বগোত্রের ঠাঁই-ই নয়, খেলাফতরক্ষাকারী নতুন খেলাফত-ব্যবস্থার বীজও। . ভাবা যায়, খেলাফত-ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার আরও ছয়শ বছর আগেই বিলুপ্ত হতে পারত খেলাফত! কে রুখে দিলেন সেই অশনিসম্পাত? কে সেলজুকদের ধুঁকে-ধুঁকে-চলা সাম্রাজ্যের রাশ টেনে ধরলেন? উসমানি সাম্রাজ্যের স্বপ্নদ্রষ্টা আরতুগরুল সেই মহান নেতা। তারই শ্বাসরুদ্ধকর জীবনকাহিনী নিয়ে রচিত এই বইটি। তিনটি বইয়ের বিক্রয় মূল্য: ৮০০টাকা
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
t

এই লেখকের আরো বই