চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

তুমি ফিরবে বলে

    তুমি ফিরবে বলে (মেল ভার্সন):-- ভাই আমার! অনেক তো হলো। আর কত? মিথ্যে মোহ আর নাটুকেপনা ঝেড়ে ফেলে এবার ফিরে এসো। সুপ্ত প্রতিভাগুলোকে গলা টিপে হত্যা কোরো না নিজ হাতে। তোমার মধ্যে যে সুন্দর কুঁড়িটা লুকোনো আছে, সেটাকে অবহেলায় অনাদরে বিনষ্ট হতে দিয়ো না। তাকে পুষ্প হতে দাও। এমন পুষ্প, যেটা নীরবে-নিভৃতে বেড়ে উঠবে। যার সৌন্দর্য, সুরভিত কোমল হাওয়া—বিমোহিত করবে সবাইকে। হয়তো কেউ তার পাপড়ি ছিঁড়ে নেবে, কেউ-বা তার স্রষ্টার প্রশংসা করবে। হোক না, তাতে কী। প্রাপ্তি তো সব ওপারে। যত পারো সুবাস ছড়িয়ে দাও। স্নিগ্ধ করো বিষাক্ত ধরণিকে। সুরভিত করো দূষিত পবনকে। মানুষ নিশ্বাস নিক প্রাণখুলে। মনভরে। তুমি ফিরবে বলে ‌ব‌ই থেকে একটুখানি....... তুমি ফিরবে বলে নারীদের জন্য:-- তারুণ্যের জোয়ার তাচ্ছিল্যের সাথে ছুড়ে ফেলতে চায় ছকবাঁধা জীবন। দুনিয়াকে উপভোগ করার উদাত্ত আহ্বানে জাহিলিয়াতের স্রোতে ভেসে বেড়ায় তারা। ভাসতে ভাসতে কেউ কেউ ডুবে যায় ব্যর্থতা ও হতাশার অতল গভীরে। কেউ বা গিয়ে পড়ে তরীহীন গভীর সমুদ্রে। ভেসে বেড়ায় দিকভ্রান্ত পথিকের মতন। তবে ক্ষতি যা হওয়ার, তা তো হয়েই যায়। লেখক চেষ্টা করেছেন সেই ক্ষতে একটুখানি ওষুধের প্রলেপ দিতে। অগ্নিকুণ্ডের লাভার দিকে ঝাঁকবেঁধে ছুটে চলা কিশোরী-তরুণীদের শাসনের সুরে লেখক বলতে চেয়েছেন—ওরে বোকা! ওটা আলো নয়, আগুন। ওখানে সুখ নেই কোনো, আছে দগ্ধ হওয়ার রসদ। গদ্যে-পদ্যে-প্রবন্ধে অনবদ্য হয়ে উঠেছে বইখানি। আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত থেকে হইহই করে জ্বলন্ত আগুনের দিকে ছুটতে থাকা একঝাঁক তরুণীকে তিনি ফেরাতে চেয়েছেন। লাগাম টানতে চেয়েছেন তাদের পদযাত্রায়। কখনো অনুযোগে, কখনো অনুরোধে, কখনো বা ধমকের সুরে। বইয়ের প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি বাক্য, প্রতিটি পৃষ্ঠা যেন একেকটা জীবন্ত সত্তা। তারা কথা বলতে পারে। জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে উদাসীন, দুনিয়ার মোহে বুঁদ হয়ে থাকা, নাচ-গান নিয়ে মত্ত, ছন্নছাড়া, উচ্ছৃঙ্খল তরুণীদের উদ্দেশ্যেই এই বইখানা লেখা। যতটা উচ্ছৃঙ্খলই সে হোক না কেন, এই বই তাকে দু-দণ্ড স্থির হয়ে বসে ভাবতে বাধ্য করবে। তার মধ্যে কিঞ্চিত পরিমাণে হলেও অনুশোচনাবোধ জাগ্রত করবে। তার চোখ দুটো সামান্য হলেও অশ্রুসিক্ত করবে, ইন শা আল্লাহ। তোমাকেই বলছি:--- সবাই তো আল্লাহর প্রিয় হতে চায়, জান্নাত পেতে চায়। কিন্তু জান্নাত পাওয়ার জন্যে যে পথে চলা দরকার, সে পথ খুঁজে না। সে পথে চলে না আসলে জীবনকে নিয়ে আমরা ভাবি না। হেলায়-ফেলায় নিজেদের সময়গুলো নষ্ট করি। আল্লাহর দেওয়া নিয়ামতকে ভুলে যাই আমরা। গাফিলতিতে ডুবে থাকি। তাই সত্যের পথ আর খোঁজা হয়ে ওঠে না। কিছু বই আছে, যেগুলো পড়তে গেলে পাঠক একটা ধাক্কা খায়। সেই ধাক্কায় জীবনটা মোড় নেয় সীরাতে মুসতাকীমের পথে। জীবনকে তখন নতুনভাবে আবিষ্কার করা যায়। আল্লাহর রঙে নিজেকে সাজিয়ে নেওয়া যায়। ঠিক তেমনি একটি বই “তোমাকেই বলছি”।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
t

এই লেখকের আরো বই