চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

আবদুল কাদির জিলানি

    ইসলামের ইতিহাস যেসব ব্যক্তির জীবন ও কর্মের মাধ্যমে সমৃদ্ধ হয়েছে শায়খ আবদুল কাদির জিলানি তাঁদের অন্যতম। শায়খ জিলানি ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছেন ইসলামের প্রতি আহ্বান, সমাজ থেকে শিরক-বিদআত দূরীকরণ, দীনি শিক্ষার প্রসার ও উম্মাহকে জিহাদের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণে তাঁর আকর্ষণীয় পদ্ধতির কারণে। তাঁর ইসলামি বক্তব্যে হাজার হাজার মানুষ পাপ ও অন্যায় কাজ থেকে তাওবা করত; ইসলাম পালন ও টিকিয়ে রাখার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ত। আব্বাসি খিলাফতের সেই সময়টায় তাঁর এই কর্মযজ্ঞ বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। অনেকেই তাঁকে অনুসরণ করে দীনি দাওয়াত ও ব্যক্তিপরিশুদ্ধির কাজ করতে থাকে। তাঁর কাজ ও পদ্ধতির অনুসরণই একটা সময় ‘কাদিরিয়া তরিকা’ নামে প্রসিদ্ধি পায়। ভারত উপমহাদেশে যাঁরা ইসলাম প্রচারে কাজ করেছেন তাঁদের অনেকেই শায়খ আবদুল কাদির জিলানির পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন। ফলে উপমহাদেশে তিনি বড়পির হিসেবে সুপরিচিতি পেয়েছেন। তাঁর প্রতি অতি শ্রদ্ধা েথকে মানুষের মুখে মুখে জন্ম িনয়েছে নানা কল্পকাহিনি। তৈরি হয়েছে তাঁর বানোয়াট জীবনকথা। বিশ্বখ্যাত ইতিহাসবিদ ড. শায়খ আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি বিষয়টি লক্ষ করে রচনা করেছেন তাঁর বিশুদ্ধ জীবনচরিত। তথ্য ও বিশুদ্ধ বর্ণনার আলোকে তুলে ধরেছেন একজন সত্যিকার দায়ির কর্ম ও জীবনের উদ্দেশ্য। আমাদের দেশের সর্বসাধারণের মাঝে শায়খ আবদুল কাদির জিলানিকে নিয়ে যেসব মনগড়া কল্পকাহিনি প্রচলিত আছে; শায়খকে নিয়ে যেসব শিরক-বিদআতের ব্যবসা রমরমা হয়ে আছে, সে-সবের অসারতা ও বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পাঠককে পথ দেখাবে শায়খ আবদুল কাদির জিলানির এই জীবনীগ্রন্থ। সত্য ইতিহাসের বইতালিকায় এই গ্রন্থ সমৃদ্ধির ইট হিসেবে যুগ যুগ ধরে টিকে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি। ফকিহ, রাজনীতিক ও বিশ্বখ্যাত ইতিহাসগবেষক। ইসলামের ইতিহাসের উপর বিশ্লেষণধর্মী তাত্ত্বিক গ্রন্থ রচনা করে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছেন। এই মহা মনীষী ১৯৬৩ সনে লিবিয়ার বেনগাজি শহরে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা বেনগাজিতেই করেন।

যৌবনের প্রারম্ভেই গাদ্দাফির প্রহসনের শিকার হয়ে শায়খ সাল্লাবি আট বছর বন্দি থাকেন। মুক্তি পাওয়ার পর উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি সাউদি আরব চলে যান। মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়া ও উসুলুদ্দিন বিভাগ থেকে ১৯৯৩ সনে অনার্স সম্পন্ন করেন। তারপর চলে যান সুদানের উম্মু দুরমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে উসুলুদ্দিন অনুষদের তাফসির ও উলুমুল কুরআন বিভাগ থেকে ১৯৯৬ সনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ১৯৯৯ সনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল ‘ফিকহুত তামকিন ফিল কুরআনিল কারিম’।

ড. আলি সাল্লাবির রাজনৈতিক দীক্ষাগুরু বিশ্বখ্যাত ফকিহ ও রাজনীতিক ড. ইউসুফ আল কারজাবি। কারজাবির সান্নিধ্য অর্জনে তিনি ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে কাতার গমন করেন।

নতুন ধারায় সিরাত ও ইসলামি ইতিহাসের তাত্ত্বিক গ্রন্থ রচনা করে ড. আলি সাল্লাবি অনুসন্ধিৎসু পাঠকের আস্থা ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। নবিজির পুর্ণাঙ্গ সিরাত, খুলাফায়ে রাশিদিনের জীবনী, উমাইয়া খিলাফত, আব্বাসি খিলাফত, উসমানি খিলাফতের উত্থান-পতনসহ ইসলামি ইতিহাসের সাড়ে তেরোশ বছরের ইতিহাস তিনি রচনা করেছেন। তা ছাড়া ইসলামি ইতিহাসে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করা ব্যক্তিদের নিয়ে তিনি আলাদা আলাদা গ্রন্থ রচনা করেছেন।

ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবির রচনা শুধু ইতিহাসের গতানুগতিক ধারাবর্ণনা নয়; তাঁর রচনায় রয়েছে বিশুদ্ধতার প্রামাণিক গ্রহণযোগ্যতা, জটিল-কঠিন বিষয়ের সাবলীল উপস্থাপনা ও ইতিহাসের আঁকবাঁকের সঙ্গে সমকালীন অবস্থার তুলনীয় শিক্ষা। এই মহা মনীষী সিরাত, ইতিহাস, ফিকহ ও উলুমুল কুরআনের উপর আশির অধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর রচনাবলি ইংরেজি, তুর্কি, ফরাসি, উর্দু ও বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়ে পৃথিবীর জ্ঞানগবেষকদের হাতে হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। 

এই লেখকের আরো বই