চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

উমর ইবনুল খাত্তাব রা. (একত্রে)

    প্রথম খণ্ডের ব্যাক কভারে ‘বইটি কেন পড়বেন’ শিরোনামে খলিফাতুল মুসলিমিন হজরত উমর রা. সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু কথা বলা হয়েছে। এখানে আরও কিছু বিষয় বলা দরকার মনে করছি। * এই গ্রন্থটি সরাসরি মূল আরবি কিতাব থেকে অনুবাদ করা হয়েছে এবং সম্পাদনার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভার্সন সাথে রাখা হয়েছে। * কুরআনের আয়াত এবং হাদিসের অনুবাদের সাথে আরবি ইবারতও রাখা হয়েছে। তেমনিভাবে কিছু কবিতা, উদ্বৃতি বা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের বেলায়ও এমনটা করা হয়েছে—যাতে আরবি জানা পাঠকের জন্য বইটি অধিক উপকারী হয়। * অনুবাদক একজন প্রসিদ্ধ আলেম। সাথে সাথে তিনি ইংরেজিতেও সমান পারদর্শী। ইতোমধ্যে তার ত্রিশোর্ধ্ব মৌলিক ও অনুবাদগ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে এবং ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। * অনুবাদের ক্ষেত্রে বইয়ের মধ্যে কোনো বিষয় অস্পষ্ট বা দুর্ভেদ্য মনে হলে সেখানে প্রয়োজনীয় সংযোজন করা হয়েছে। সাথে সাথে প্রচুর টীকাও ব্যবহার করা হয়েছে। পাঠক বইটি পাঠ করলে এতে আলাদা একটা স্বাদ অনুভব করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। * বিজ্ঞ প্রুফরিডার দিয়ে প্রুফ দেখানো হয়েছে এবং একজন অভিজ্ঞ আলেম শরয়ি বিষয়গুলো দেখে দিয়েছেন। * ভাষা ও বানানের ক্ষেত্রে প্রচলিত রীতি অনুসরণ করা হয়েছে। * অক্ষরবিন্যাস অত্যন্ত সচেতনতার সাথে করা হয়েছে। বইগুলো হাতে নিয়ে পৃষ্ঠা উল্টালেই পাঠক বুঝতে পারবেন। এতে যদিও পৃষ্ঠাসংখ্যা বেড়েছে; কিন্তু আলাদা সৌন্দর্যও এসেছে। আমরা বইটি নিখুঁত, নির্ভুল ও আকর্ষণীয় করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি। ফকিহ, রাজনীতিক ও বিশ্বখ্যাত ইতিহাসগবেষক। ইসলামের ইতিহাসের উপর বিশ্লেষণধর্মী তাত্ত্বিক গ্রন্থ রচনা করে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছেন। এই মহা মনীষী ১৯৬৩ সনে লিবিয়ার বেনগাজি শহরে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা বেনগাজিতেই করেন।

যৌবনের প্রারম্ভেই গাদ্দাফির প্রহসনের শিকার হয়ে শায়খ সাল্লাবি আট বছর বন্দি থাকেন। মুক্তি পাওয়ার পর উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি সাউদি আরব চলে যান। মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়া ও উসুলুদ্দিন বিভাগ থেকে ১৯৯৩ সনে অনার্স সম্পন্ন করেন। তারপর চলে যান সুদানের উম্মু দুরমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে উসুলুদ্দিন অনুষদের তাফসির ও উলুমুল কুরআন বিভাগ থেকে ১৯৯৬ সনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ১৯৯৯ সনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল ‘ফিকহুত তামকিন ফিল কুরআনিল কারিম’।

ড. আলি সাল্লাবির রাজনৈতিক দীক্ষাগুরু বিশ্বখ্যাত ফকিহ ও রাজনীতিক ড. ইউসুফ আল কারজাবি। কারজাবির সান্নিধ্য অর্জনে তিনি ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে কাতার গমন করেন।

নতুন ধারায় সিরাত ও ইসলামি ইতিহাসের তাত্ত্বিক গ্রন্থ রচনা করে ড. আলি সাল্লাবি অনুসন্ধিৎসু পাঠকের আস্থা ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। নবিজির পুর্ণাঙ্গ সিরাত, খুলাফায়ে রাশিদিনের জীবনী, উমাইয়া খিলাফত, আব্বাসি খিলাফত, উসমানি খিলাফতের উত্থান-পতনসহ ইসলামি ইতিহাসের সাড়ে তেরোশ বছরের ইতিহাস তিনি রচনা করেছেন। তা ছাড়া ইসলামি ইতিহাসে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করা ব্যক্তিদের নিয়ে তিনি আলাদা আলাদা গ্রন্থ রচনা করেছেন।

ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবির রচনা শুধু ইতিহাসের গতানুগতিক ধারাবর্ণনা নয়; তাঁর রচনায় রয়েছে বিশুদ্ধতার প্রামাণিক গ্রহণযোগ্যতা, জটিল-কঠিন বিষয়ের সাবলীল উপস্থাপনা ও ইতিহাসের আঁকবাঁকের সঙ্গে সমকালীন অবস্থার তুলনীয় শিক্ষা। এই মহা মনীষী সিরাত, ইতিহাস, ফিকহ ও উলুমুল কুরআনের উপর আশির অধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর রচনাবলি ইংরেজি, তুর্কি, ফরাসি, উর্দু ও বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়ে পৃথিবীর জ্ঞানগবেষকদের হাতে হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। 

এই লেখকের আরো বই