চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

মারাক্কেশের বাতাস

    এই গ্রন্থের নাম ‘মারাক্কাশের বাতাস’-এ আমরা দেখতে পাই, প্রকৃতি প্রেমিক একজন সরকারি কর্মকর্তাকে। ২২তম জলবায়ু সম্মেলেনে অংশ নেয়ার জন্য সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে তিনি মারাক্কাশে গেছেন। সকালে হাঁটতে ভালোবাসেন তিনি। বাতাস তার খুব প্রিয়। তা স্বদেশ আর বিদেশ যে দেশের বাতাসই হোক না কেন। কারণ বাতাস মানুষের বেঁচে থাকার প্রধান অনুষঙ্গ। মানুষ না খেয়ে দু-চারদিন বাঁচতে পারে, কিন্তু বাতাস ছাড়া একদিন, এক ঘণ্টাও নয়। লেখকের ভাষাতেই বলি, ‘একটি জীবন্ত দেহের সাথে একটি মৃতদেহের পার্থক্য খুবই সামান্য। একটা দেহ বাতাস নিতে পারে, অন্যটা পারে না। বাতাস যোগাযোগের অনিবার্য মাধ্যমও বটে। বাতাস ছাড়া মানুষ কথা বলতে পারে না। বাতাসের কারণেই আকাশ পথে সুদূর বঙ্গদেশ থেকে আমাদের এই মারাক্কাশে আসা।’ এই কয়েকটি লাইনই মানব জীবনে বাতাসের প্রয়োজনীয়তা বোঝাবার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করি। একই রচনায় প্রবলভাবে তার দেশ-ভাবনাকে প্রত্যক্ষ করি আমরা। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দেশে পানির লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি, ‘গ্রীণ হাউস ইফেক্ট’ নিয়ে তিনি ভাবেন। এ ধরনের সম্মেলনে তো কত কর্মকর্তাই যান। তারা রুটিন দায়িত্বটুকু পালন করে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। কিন্তু তিনি সমস্যাটির গভীরে ঢুকেছেন। ভেবেছেন জলবায়ুর এই পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর। আর সে ভাবনার কথা প্রতিফলিত হয়েছে এই রচনায়। এ রচনায় একই সাথে উঠে এসেছে, জলবায়ু নিয়ে দেশের খেটে খাওয়া, নিরন্ন মানুষের মনোভাবের কথা। তারা স্বরাজ বোঝে না, জলবায়ু বোঝে না, ভাত বোঝে। তারা চায় দুটো ভাত, একটু নুন। এ লেখার মাধ্যমে আমরা একজন চিন্তাশীল উদ্যমী দরদী কর্মকর্তাকে প্রত্যক্ষ করি। যিনি দেশকে ভালোবাসেন প্রবলভাবে।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
রাশেদুল ইসলাম:
মোঃ রাশেদুল ইসলাম ০২ জুলাই, ২০২০ তারিখে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) পদে যোগদান করেন। তিনি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সম্মানিত সদস্য। তাঁর জন্ম তারিখ ০৫ জুন, ১৯৬২। জন্মস্থান যশোর জেলাধীন চৌগাছা উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামে। ইতোপূর্বে তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ, মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, রেলপথ বিভাগ এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগে বিভিন্ন ক্যাপাসিটিতে সুনামের সাথে চাকুরী করেছেন।

জনাব মোঃ রাশেদুল ইসলাম তাঁর নিজ গ্রামের মুক্তারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। বাল্যকাল থেকেই তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন। পার্শ্ববর্তী  গ্রামের ধুলিয়ানী সম্মিলনী উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে তিনি মাধ্যমিক স্কুল সনদ পরীক্ষায় (এসএসসি) উত্তীর্ণ হন। এসএসসিতে তিনি প্রথম বিভাগসহ যশোর শিক্ষাবোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় নবম স্থান অধিকার করেন। ১৯৮০ সালে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয় (এমএম কলেজ) থেকে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচএসসি) পাশ করেন। এইচএসসিতে তিনি প্রথম বিভাগে একই শিক্ষাবোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৭ম স্থান অধিকার করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে ১৯৮৩ সালে সম্মানসহ ব্যাচেলর অব সোশ্যাল সায়েন্স (বিএসএস) এবং ১৯৮৪ সনে মাষ্টার্স অব সোশ্যাল সায়েন্স (এমএসএস) সনদ অর্জন করেন। বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের এই কর্মকর্তা চাকুরীরত অবস্থায় ২০০৯ সালে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় (বাংলাদেশ) থেকে মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) সনদ এবং ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি ডিপ্লোমা অর্জন করেন।

জনাব মোঃ রাশেদুল ইসলাম চাকুরী সূত্রে ভারত, ভুটান, নেপাল, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, জাপান, দক্ষিন কোরিয়া,  মরোক্কো, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট, জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণ ও সভা সেমিনারে অংশগ্রহণসহ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি ‘ঢাকা অফিসার্স ক্লাব’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন’ এবং ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি’র আজীবন সদস্য।

মানুষকে ভালো কাজে উদ্ধুদ্ধ করার ব্রত নিয়ে জনাবইসলাম ২০১৫ সাল থেকে লেখালেখি শুরু করেন। তাঁর লেখা বইগুলোর মধ্যে ‘মারাক্কেশের বাতাস’ ‘চাঁদের পাহাড়’, ‘পাগলামামা’‘রোজকার টুকিটাকি’, ‘সাকুরা মৌসুমে’ উল্লেখযোগ্য। তিনি মনে করেন প্রত্যেক মানুষেরই ভাল কাজ করার সুযোগ রয়েছে। যথাযথভাবে উদ্ধুদ্ধ করা গেলে যে কোন মানুষই সৎকাজে অংশগ্রহণ করতে  পারেন। এ ধরণের উদ্ধুদ্ধকরণের কাজে তিনি আজীবন নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান।

জনাব মোঃ রাশেদুল ইসলাম বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী শারমিনা পারভীন কলেজের অধ্যাপক। কন্যা দোলনচাঁপা ইসলাম কলেজ ছাত্রী।

এই লেখকের আরো বই