চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

রোজকার টুকিটাকি

    এই গ্রন্থ প্রসঙ্গে এ গ্রন্থের লেখাগুলোতে লেখকের সাহিত্যবোধ ও সামাজিক মূল্যবোধের প্রকাশ আছে। পড়তে গেলে বোঝা যায়, লেখক আন্তরিক তাগিদে লিখেছেন। লেখক অনুভব করেন যে, বাংলাদেশের মানুষ পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে সচেতন ও সচেষ্ট হলে, সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে, অনেক সুন্দর জীবন যাপন করতে পারে। কিন্তু মানুষ উদাসীন। লেখক উচ্চ পর্যায়ের একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি বিশেষ আগ্রহের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা অবলোকন করেন। তিনি উপলব্ধি করেন যে, শুভ ইচ্ছা ও সহানুভূতি নিয়ে স্বল্প চেষ্টাতেই অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব। যাঁরা ক্ষমতাবান, সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন, তাঁরা যদি তাঁদের দুর্বল অবস্থানের আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয় তাহলে দুর্বলরা অনেক কষ্ট থেকে রেহায় পেতে পারেন। লেখক উন্নত মূল্যবোধের অধিকারী। সমাজের অভ্যন্তরে মানুষের মধ্যে তিনি মূল্যবোধের উন্নতি কামনা করেন। সে জন্যই তিনি এসব লিখেছেন। নিজের অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণের কথা তিনি এমনভাবে লিখেছেন যে, এগুলো নীরস উপদেশ হয়ে যায়নি। পাঠক স্বত:স্ফুর্তভাবে জাগ্রত হোন, এটাই লেখকের কামনা। লেখক লিখেছেন আত্মকথা বলার রীতিতে। ভাষা ও রচনারীতিতে তিনি সুন্দর ও আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করেছেন। আমার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এ গ্রন্থের লেখাগুলো বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং রচনারীতির দিক দিয়ে সুন্দর ও সুখপাঠ্য। উন্নত প্রযুক্তির অভিঘাতে মানুষের প্রতি মানুষের আকর্ষণ কমে যাচ্ছে। এই অবস্থায় এ ধরণের গ্রন্থ পাঠকদের মনে মানুষের প্রতি আগ্রহ জাগাবে। আমরা চাই মানুষের প্রতি মানুষের আস্থা ও আগ্রহ বৃদ্ধি পাক। আবুল কাসেম ফজলুল হক প্রাক্তন অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
রাশেদুল ইসলাম:
মোঃ রাশেদুল ইসলাম ০২ জুলাই, ২০২০ তারিখে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) পদে যোগদান করেন। তিনি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সম্মানিত সদস্য। তাঁর জন্ম তারিখ ০৫ জুন, ১৯৬২। জন্মস্থান যশোর জেলাধীন চৌগাছা উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামে। ইতোপূর্বে তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ, মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, রেলপথ বিভাগ এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগে বিভিন্ন ক্যাপাসিটিতে সুনামের সাথে চাকুরী করেছেন।

জনাব মোঃ রাশেদুল ইসলাম তাঁর নিজ গ্রামের মুক্তারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। বাল্যকাল থেকেই তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন। পার্শ্ববর্তী  গ্রামের ধুলিয়ানী সম্মিলনী উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে তিনি মাধ্যমিক স্কুল সনদ পরীক্ষায় (এসএসসি) উত্তীর্ণ হন। এসএসসিতে তিনি প্রথম বিভাগসহ যশোর শিক্ষাবোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় নবম স্থান অধিকার করেন। ১৯৮০ সালে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয় (এমএম কলেজ) থেকে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচএসসি) পাশ করেন। এইচএসসিতে তিনি প্রথম বিভাগে একই শিক্ষাবোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৭ম স্থান অধিকার করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে ১৯৮৩ সালে সম্মানসহ ব্যাচেলর অব সোশ্যাল সায়েন্স (বিএসএস) এবং ১৯৮৪ সনে মাষ্টার্স অব সোশ্যাল সায়েন্স (এমএসএস) সনদ অর্জন করেন। বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের এই কর্মকর্তা চাকুরীরত অবস্থায় ২০০৯ সালে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় (বাংলাদেশ) থেকে মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) সনদ এবং ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি ডিপ্লোমা অর্জন করেন।

জনাব মোঃ রাশেদুল ইসলাম চাকুরী সূত্রে ভারত, ভুটান, নেপাল, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, জাপান, দক্ষিন কোরিয়া,  মরোক্কো, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট, জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণ ও সভা সেমিনারে অংশগ্রহণসহ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি ‘ঢাকা অফিসার্স ক্লাব’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন’ এবং ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি’র আজীবন সদস্য।

মানুষকে ভালো কাজে উদ্ধুদ্ধ করার ব্রত নিয়ে জনাবইসলাম ২০১৫ সাল থেকে লেখালেখি শুরু করেন। তাঁর লেখা বইগুলোর মধ্যে ‘মারাক্কেশের বাতাস’ ‘চাঁদের পাহাড়’, ‘পাগলামামা’‘রোজকার টুকিটাকি’, ‘সাকুরা মৌসুমে’ উল্লেখযোগ্য। তিনি মনে করেন প্রত্যেক মানুষেরই ভাল কাজ করার সুযোগ রয়েছে। যথাযথভাবে উদ্ধুদ্ধ করা গেলে যে কোন মানুষই সৎকাজে অংশগ্রহণ করতে  পারেন। এ ধরণের উদ্ধুদ্ধকরণের কাজে তিনি আজীবন নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান।

জনাব মোঃ রাশেদুল ইসলাম বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী শারমিনা পারভীন কলেজের অধ্যাপক। কন্যা দোলনচাঁপা ইসলাম কলেজ ছাত্রী।

এই লেখকের আরো বই