চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

চাঁদের পাহাড়

    ‘চাঁদের পাহাড়’-এর প্রথম লেখা ‘চাঁদের পাহাড়’ অনুসরণেই গ্রন্থের নামকরণ। অকালপ্রয়াত দুই শিশুপুত্রের ইতিবৃত্ত ও প্রাসঙ্গিকতা বর্ণনে বিষয়টি আর ব্যক্তি-পারিবারিক শোকাবহতা থাকে না, সামগ্রিক বিস্তৃতিতে তা এক আদিগন্ত ক্রন্দনে পর্যবসিত হয়। সংগ্রাম মুখরতার মধ্য দিয়ে পূর্ণ সাফল্যে নিজ জীবন বিনির্মাণ, অকালপ্রয়াত দুই শিশুপুত্রের স্মৃতি প্রবলভাবে আলোড়িত করেছে তাঁকে। সুজীবনের প্রত্যয়ে স্ব-অঙ্গীকারাবদ্ধতায় তাঁর সকল কর্মপ্রয়াসকে তিনভাবে ভাগ করে প্রাপ্ত জীবন দৈর্ঘ্যরে এক-তৃতীয়াংশ কেবলমাত্র সমাজ ও মানুষের জন্য পূর্ণ নিবেদনে সংরক্ষিত রাখার প্রত্যয় আর প্রয়াত পুত্রদের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার আকুতিতে সুকর্মে আত্মনিয়োগ ও নিজেকে উৎসর্গের প্রভা গ্রন্থটিকে আদ্যন্ত অসামান্য চন্দ্রপ্রভায় মহিমান্বিত করে রাখে। এমনিভাবে সবকটি লেখায় জীবন বাস্তবতা, সমাজ সমীক্ষণ, দৈশিক আবহে নানাবিধ টানাপড়েন, শুভ-অশুভের দ্বা›িদ্বকতার চমৎকার উপস্থাপন সুপাঠ্য করে তুলেছে গ্রন্থটিকে। বিচিত্র সব চরিত্রের আগমন ঘটেছে। আমাদের চেনা পরিধিতিতেও অসামান্য ব্যতিক্রমী চরিত্রাবলি নিয়ত সঞ্চারণশীল। আমরা তা হয়তো দেখেও দেখি না। লেখক রাশেদুল ইসলাম-এর অন্তর্ভেদী চোখকে এড়াতে পারে না এসব। তাই অপার মহিমাময় প্রভায় আলোকিত চরিত্র ‘পাগলামামা’ উঠে আসেন জীবন জগৎ সমাজ মানুষের বিচিত্র বিভ্রান্তি নিয়ে। অবলীলাক্রমে গ্রামীণ পটভ‚মির রহস্যাবৃত চরিত্র পাগলা মামা গ্রাম জনপদ নগরী ঢাকা ছাড়িয়ে বিশ্ব পরিধিতে বিস্তৃত হয় পড়েন। সৃষ্টি সভ্যতা সমাজ দর্শনের সকল বলয় অতিক্রমী সক্ষমতার অনন্যতায় তার মুখ দিয়ে বর্ণিত হয়, উন্মোচিত হয় সকল গ্রন্থিল জটিলতা।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
রাশেদুল ইসলাম:
মোঃ রাশেদুল ইসলাম ০২ জুলাই, ২০২০ তারিখে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) পদে যোগদান করেন। তিনি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সম্মানিত সদস্য। তাঁর জন্ম তারিখ ০৫ জুন, ১৯৬২। জন্মস্থান যশোর জেলাধীন চৌগাছা উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামে। ইতোপূর্বে তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ, মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, রেলপথ বিভাগ এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগে বিভিন্ন ক্যাপাসিটিতে সুনামের সাথে চাকুরী করেছেন।

জনাব মোঃ রাশেদুল ইসলাম তাঁর নিজ গ্রামের মুক্তারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। বাল্যকাল থেকেই তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন। পার্শ্ববর্তী  গ্রামের ধুলিয়ানী সম্মিলনী উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে তিনি মাধ্যমিক স্কুল সনদ পরীক্ষায় (এসএসসি) উত্তীর্ণ হন। এসএসসিতে তিনি প্রথম বিভাগসহ যশোর শিক্ষাবোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় নবম স্থান অধিকার করেন। ১৯৮০ সালে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয় (এমএম কলেজ) থেকে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচএসসি) পাশ করেন। এইচএসসিতে তিনি প্রথম বিভাগে একই শিক্ষাবোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৭ম স্থান অধিকার করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে ১৯৮৩ সালে সম্মানসহ ব্যাচেলর অব সোশ্যাল সায়েন্স (বিএসএস) এবং ১৯৮৪ সনে মাষ্টার্স অব সোশ্যাল সায়েন্স (এমএসএস) সনদ অর্জন করেন। বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের এই কর্মকর্তা চাকুরীরত অবস্থায় ২০০৯ সালে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় (বাংলাদেশ) থেকে মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) সনদ এবং ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি ডিপ্লোমা অর্জন করেন।

জনাব মোঃ রাশেদুল ইসলাম চাকুরী সূত্রে ভারত, ভুটান, নেপাল, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, জাপান, দক্ষিন কোরিয়া,  মরোক্কো, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট, জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণ ও সভা সেমিনারে অংশগ্রহণসহ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি ‘ঢাকা অফিসার্স ক্লাব’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন’ এবং ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি’র আজীবন সদস্য।

মানুষকে ভালো কাজে উদ্ধুদ্ধ করার ব্রত নিয়ে জনাবইসলাম ২০১৫ সাল থেকে লেখালেখি শুরু করেন। তাঁর লেখা বইগুলোর মধ্যে ‘মারাক্কেশের বাতাস’ ‘চাঁদের পাহাড়’, ‘পাগলামামা’‘রোজকার টুকিটাকি’, ‘সাকুরা মৌসুমে’ উল্লেখযোগ্য। তিনি মনে করেন প্রত্যেক মানুষেরই ভাল কাজ করার সুযোগ রয়েছে। যথাযথভাবে উদ্ধুদ্ধ করা গেলে যে কোন মানুষই সৎকাজে অংশগ্রহণ করতে  পারেন। এ ধরণের উদ্ধুদ্ধকরণের কাজে তিনি আজীবন নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান।

জনাব মোঃ রাশেদুল ইসলাম বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী শারমিনা পারভীন কলেজের অধ্যাপক। কন্যা দোলনচাঁপা ইসলাম কলেজ ছাত্রী।

এই লেখকের আরো বই