চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

জীবনের খোলা পাতা-১

    প্রকৃতপক্ষে প্রত্যেকটা মানুষের জীবনই একেকটা মহাকাব্য। জীবন যাপনের বাঁকে বাঁকে টানা পোড়নের মাঝে যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি তারই আলোকে গল্পগুলো লেখা। বাবা মা, বড় ভাই বোন আর স্কুল কলেজের শিক্ষকদের নীবিড় তত্ত্বাবধানের আওতা থেকে বেরিয়ে একজন মানুষ যখন নিজের পছন্দ অপছন্দ অনুযায়ী নিজেকে গড়তে প্রস্তুতি নেয় তেমনি সময়ে আমি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে জীবন শুরু করি। তারপর দীর্ঘ প্রায় ৩ যুগ ধরে চাকুরী কালে নানা ধর্মের, বর্ণের ও সংস্কৃতির শত কোটি মানুষের সান্নিধ্যে আসার অভিজ্ঞতার হয়। তাই সত্যি বলতে আমি আজ যা এবং যেখানে দাঁড়িয়ে আছি তার জন্য সেনাবাহিনীর কাছে ঋণী। সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ আমাকে আদেশ, নির্দেশ এবং লিখিত বিধিবিধান কোন রকম দ্বিধা বাদেই মেনে চলতে শিক্ষা দিয়েছে। সেভাবেই আদেশ নির্দেশ ও বিধিবিধানগুলো স্বতঃসিদ্ধ ধরে নিয়ে তা সঠিকভাবে বুঝবার প্রয়োজন বোধ না করে কেবল সঠিকভাবে প্রয়োগে মনোনিবেশ করি। বস্তত আমার মত সব প্রযুক্তি ব্যবহারকারী বৃহৎ কলেবরে বিজ্ঞানকে প্রাকৃতিক ঘটমান বিষয়গুলো বুঝবার উপায় হিসাবে বিবেচনা না করে এটাকে সংকীর্ণ দৃষ্টি ভঙ্গিতে শুধু ব্যবহারিক অর্থে গ্রহণ করে থাকে। বাস্তবিকই আমি মুক্ত চিন্তার মানুষ কিন্তু প্রযুক্তি ব্যবহারকারী হিসাবে মুক্ত চিন্তা থেকে কিছুটা সরে এসেছিলাম। কিন্তু এখন আমার নিজস্ব উপায়ে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে কিছু মূল সত্য উদ্ঘাটনে নিজেকে নিয়োজিত করেছি। আশাকরি সাহিত্যের সবচেয়ে বড় বিচারক সহৃদয় পাঠকগন তাদের সুক্ষè অনুভূতির মাধ্যমে গন্থটির সাহিত্য মূল্য বিচার করবেন। গল্পগুলো যদি আপনাদের ক্ষনিকের জন্যও নিজেকে দেখার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে তাহলে আমার প্রচেষ্টা স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করবো।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
কর্ণেল মেহের মহব্বত হোসেন (অব.):
বিধাতা বোধ হয় কিছু জীবন গল্পের কাহিনীর মত মানানসই করে সাজায়, যাতে করে মর্তের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্রকাহিনী কারেরা তাদের কাহিনী রচনা করার খোরাক পায়। লেখকের বয়স দুই বছরে পৌঁছানোরঅনেক আগেই তিনি তার মাকে হারান। আর তখন প্রযুক্তির অপ্রতুলতার  জন্যই হোক না কারো অমনোযোগিতার জন্যইহোকতার মায়ের কোন ছবি কেউ তখন তুলেরাখেনি। অর্থাৎ প্রকৃত অর্থে তিনি তার জন্মদাত্রী মাকে দেখে নি। অবহেলা আর বঞ্চনার মধ্যেইসৎ মায়ের সংসারে বড় হন তিনি। যশোহর সেনানিবাসের সাথে লাগোয়া ছাতিয়ানতলা নামকগ্রামে জন্ম হওয়াই এবং যশোহর ক্যান্টঃ পাবলিক স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা করার সুবাদেউন্নাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ধারণকারী পাকিস্থানীদেরকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ লাভ করে তিনিছোটকাল থেকেই তাদের সহ্য করতে পারতেন না। মুক্তিযুদ্ধের সময় বয়সে ছোট থাকা সত্ত্বেওদু’দুই বার ছুটে যান সীমান্ত পার হয়ে ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধে যোগ দেয়ার জন্য।
একদিকে ওই বয়সে যা কিছু পিছু টানে তেমনকিছুর  অভাব এবং অন্যদিকে পাকিস্তিনীদের প্রতিতীব্র অসন্তোষ তাকে যুদ্ধে যোগদানের জন্য অনুপ্রানিত করে। কিন্তু বয়স কম হওয়ার কারণেতাকে ক্যাম্প থেকে দুই বারই ফেরৎ দেয়া হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন তিনি শরণার্থী ক্যাম্পেঅবস্থান করে শতকোটি সবহারা মানুষের সান্নিধ্যে আসেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছর পরসেনাবাহিনীতে যোগদান করে কর্ম জীবন শুরু করেন। সেনাবাহিনীতে চাকুরীকালীন দেশেবিদেশে চাকরী আর ট্রেনিং এর সুবাদে অনেক জাতিগোষ্ঠীর মানুষ আর প্রকৃতি ও পরিস্থিতিরসম্মুখীন হওয়ার সুযোগ পান।
জীবন তাকে নিষ্ঠূরতা, নির্মমতা, ভালবাসা, হাসি,  কান্না ভরপুর স্মৃতির এক বিশাল ভাণ্ডার দান করে।সেনাবাহীনিতে দীর্ঘ চাকুরী শেষে তিনি একটা ছকে বাঁধা জীবন থেকে বের হয়ে মুক্ত জীবনেরসাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য নিজ জন্মভুমিতে অর্থাৎ নিজ গ্রামে ফেরত যান। এ সময়টুকু ছিললেখকের দুটো আলাদা জীবনের সন্ধিক্ষণ। পূর্বের জীবনটা ছিলো বুলেট প্রুফ স্বচ্ছ কাচেরদেয়ালের মধ্যে থেকে বাইরের পৃথিবী দেখা আর পরেরটা কাচের বাইরে এসে ধুলো, রোগজীবাণু, হাসি কান্নায় ভরা, মুক্ত দুনিয়াতে বসবাস। জীবনের এই দুটি ভিন্ন চিত্র লেখককেজীবনের স্বরূপ অনুসন্ধানে অনুপ্রানিত করে। তাই লেখক একদিকে যেমন মানুষের অতৃপ্ত মন ওআত্মার কাহিনী তুলে ধরতে চান অন্য দিকে এই সব ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র আত্মার কাছ থেকে মহাত্মারচাওয়া পাওয়ার স্বরূপটাও উদঘাটন করতে চান।
লেখক নিয়মিত ভাবে তার
website :www.human-humanity.com I www.humanity-human.comGes facebook.com/ allhumanity তে ছোটগল্প, উপন্যাস, মোরাল স্টোরী, ইত্যাদি প্রকাশ করে থাকেন। আশাকরি জীবন থেকে নেয়াএবং জীবন থেকে শেখা গল্পগুচ্ছ ‘জীবনের খোলা পাতা’ আপনাদের ভাল লাগবে এবং সব পাঠকই কোন না কোন চরিত্রে নিজেকে খুঁজে পাবেন।

এই লেখকের আরো বই