চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
কর্ণেল মেহের মহব্বত হোসেন (অব.):
বিধাতা বোধ হয় কিছু জীবন গল্পের কাহিনীর মত মানানসই করে সাজায়, যাতে করে মর্তের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্রকাহিনী কারেরা তাদের কাহিনী রচনা করার খোরাক পায়। লেখকের বয়স দুই বছরে পৌঁছানোরঅনেক আগেই তিনি তার মাকে হারান। আর তখন প্রযুক্তির অপ্রতুলতার  জন্যই হোক না কারো অমনোযোগিতার জন্যইহোকতার মায়ের কোন ছবি কেউ তখন তুলেরাখেনি। অর্থাৎ প্রকৃত অর্থে তিনি তার জন্মদাত্রী মাকে দেখে নি। অবহেলা আর বঞ্চনার মধ্যেইসৎ মায়ের সংসারে বড় হন তিনি। যশোহর সেনানিবাসের সাথে লাগোয়া ছাতিয়ানতলা নামকগ্রামে জন্ম হওয়াই এবং যশোহর ক্যান্টঃ পাবলিক স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা করার সুবাদেউন্নাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ধারণকারী পাকিস্থানীদেরকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ লাভ করে তিনিছোটকাল থেকেই তাদের সহ্য করতে পারতেন না। মুক্তিযুদ্ধের সময় বয়সে ছোট থাকা সত্ত্বেওদু’দুই বার ছুটে যান সীমান্ত পার হয়ে ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধে যোগ দেয়ার জন্য।
একদিকে ওই বয়সে যা কিছু পিছু টানে তেমনকিছুর  অভাব এবং অন্যদিকে পাকিস্তিনীদের প্রতিতীব্র অসন্তোষ তাকে যুদ্ধে যোগদানের জন্য অনুপ্রানিত করে। কিন্তু বয়স কম হওয়ার কারণেতাকে ক্যাম্প থেকে দুই বারই ফেরৎ দেয়া হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন তিনি শরণার্থী ক্যাম্পেঅবস্থান করে শতকোটি সবহারা মানুষের সান্নিধ্যে আসেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছর পরসেনাবাহিনীতে যোগদান করে কর্ম জীবন শুরু করেন। সেনাবাহিনীতে চাকুরীকালীন দেশেবিদেশে চাকরী আর ট্রেনিং এর সুবাদে অনেক জাতিগোষ্ঠীর মানুষ আর প্রকৃতি ও পরিস্থিতিরসম্মুখীন হওয়ার সুযোগ পান।
জীবন তাকে নিষ্ঠূরতা, নির্মমতা, ভালবাসা, হাসি,  কান্না ভরপুর স্মৃতির এক বিশাল ভাণ্ডার দান করে।সেনাবাহীনিতে দীর্ঘ চাকুরী শেষে তিনি একটা ছকে বাঁধা জীবন থেকে বের হয়ে মুক্ত জীবনেরসাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য নিজ জন্মভুমিতে অর্থাৎ নিজ গ্রামে ফেরত যান। এ সময়টুকু ছিললেখকের দুটো আলাদা জীবনের সন্ধিক্ষণ। পূর্বের জীবনটা ছিলো বুলেট প্রুফ স্বচ্ছ কাচেরদেয়ালের মধ্যে থেকে বাইরের পৃথিবী দেখা আর পরেরটা কাচের বাইরে এসে ধুলো, রোগজীবাণু, হাসি কান্নায় ভরা, মুক্ত দুনিয়াতে বসবাস। জীবনের এই দুটি ভিন্ন চিত্র লেখককেজীবনের স্বরূপ অনুসন্ধানে অনুপ্রানিত করে। তাই লেখক একদিকে যেমন মানুষের অতৃপ্ত মন ওআত্মার কাহিনী তুলে ধরতে চান অন্য দিকে এই সব ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র আত্মার কাছ থেকে মহাত্মারচাওয়া পাওয়ার স্বরূপটাও উদঘাটন করতে চান।
লেখক নিয়মিত ভাবে তার
website :www.human-humanity.com I www.humanity-human.comGes facebook.com/ allhumanity তে ছোটগল্প, উপন্যাস, মোরাল স্টোরী, ইত্যাদি প্রকাশ করে থাকেন। আশাকরি জীবন থেকে নেয়াএবং জীবন থেকে শেখা গল্পগুচ্ছ ‘জীবনের খোলা পাতা’ আপনাদের ভাল লাগবে এবং সব পাঠকই কোন না কোন চরিত্রে নিজেকে খুঁজে পাবেন।

এই লেখকের আরো বই