চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

পতাকার অক্ষত ভূমি

    লেখকের কথা স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির এই স্বর্ণোজ্জ্বল সময়ে বাংলাদেশের প্রধানতম স্থলবন্দর বেনাপোল এর ভূমিকা অনন্য ; শুধু এই জন্য নয় যে, এটি প্রধান ও ব্যস্ত ট্রানজিট পয়েন্ট। বাংলাদেশ-ভরত সীমান্তের যশোর জেলার অন্তর্গত এলাকা বেনাপোলের বিরাট ভূমিকা রয়েছে আমাদের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে। পুরো নয় মাসের পুরোটা সময় পতপত করে উড়তে থাকা বাংলাদেশের পতাকা। হানাদার পাকিস্তানী শত্রু বাহিনীকে জানান দিয়েছে এদেশকে তারা দখল করতে পারবেনা। প্রথম স্বাধীন হওয়া জেলা হিসেবে যশোর তাই অনন্য এবং এক অনবদ্য অবিস্মরণীয় ইতিহাস। আমেরিকান কবি অ্যালেন গিন্সবার্গের বিখ্যাত যশোর রোড কবিতাটির মতই আজও আমাদের মন প্রাণ জুড়ে যশোর বেনাপোল সড়কটি আবেগের আরেক নাম। আমার জানা মতে, এই বিষয়ে কোন ইতিহাস গ্রন্থ না থাকায় একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সময় অস্ত্র কাঁধে তুলে নেবার মতো আজ কলম তুলে নিলাম নিজের হাতে সেই ইতিহাস লিখতে। ইতিহাস সংগ্রহ ও বিশিষ্টজনদের মতামত, সাক্ষাৎকার গ্রহণ করতে আমাকে বেশ শ্রম দিতে হয়েছে। সাক্ষাৎকারগুলো গ্রহণ করতে বারবার ছুটে যেতে হয়েছে সেইসব মানুষদের কাছে ; যা ছিল আমার জন্য কষ্টসাধ্য। তার পরেও আমি আনন্দচিত্তে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জিীবিত মন নিয়ে এ কাজ করার চেষ্টা করেছি। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বেনাপোলের বিভিন্ন স্থানের যুদ্ধের স্মৃতি গুলো আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে ফেরে। যেসব ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে অজানা। সেই সব ইতিহাস তাদেরকে উজ্জীবিত করতে পারত, কিন্তু আমরা পারিনি। এ ব্যর্থতা আমাদের। নতুন প্রজন্মের কাছে সেই ইতিহাস পৌঁছে দেয়া খুবই প্রয়োজন। তাই সেই সব দিনের প্রকৃত সত্য ইতিহাস তুলে ধরতেই ‘পতাকার অক্ষত ভূমি’ নামে বেনাপোল সীমান্তের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের এই লেখনী। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের জন্য বহুবার তাদের কাছে যেতে হয়েছে। এই নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাসই জানে না। যা খুবই দুঃখজনক। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের গর্ব , আমাদের চেতনা, ও আমাদের অহংকারের। আশা করি নতুন প্রজন্মের কাছে বেনাপোলের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন আশার বাণী হবে। তাদেরকে উজ্জীবিত করে তুলবে। সেখানেই আমি সার্থকতা খুঁজে পাবো।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
রুকুনউদ্দৌলাহ:
জন্ম -২০ মার্চ, ১৯৫৬। 
জন্মস্থান: পশ্চিমবঙ্গের বাদুড়িয়া থানা, জেলা ২৪ পরগানা।

রুকুনউদ্দৌলাহ’র শৈশব-কৈশোর কেটেছে নওগাঁয়। সেখানে থাকতেন অগ্রজ আসফউদ্দৌলা’র কাছে।
নওগাঁ কেডি স্কুলে পড়াকালীন বেজে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের দামামা।
রাজনৈতিক সচেতন রুকুনউদ্দৌলাহ পরিবারের সাথে চলে যান ভারতে।
সেখানে শিলিগুড়িতে প্রশিক্ষণ শেষে ফ্রিডমফাইটার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

নওগা সরকারি কেডি বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, সরকারী সিটি কলেজ,যশোর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং সরকারী এমএম কলেজ থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রী অর্জন করেন।
ধর্ম মানবতা।
সাংবাদিকতা ছাড়া অন্য কোনো পেশায় ঢোকেননি এক মুহূর্তের জন্যেও।
দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম দৈনিক সংবাদ এর সাথে জড়িত চার দশকের বেশি সময় ধরে।
‘সংবাদ’ এ তার নিয়মিত কলাম ‘গ্রাম-গ্রামান্তরে’ বেশ জনপ্রিয়।
তিনি চ্যানেল আই, রেডিও টুডেতে কাজ করেছেন।
যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্ফুলিঙ্গ, দৈনিক ঠিকানা, দৈনিক রানার, দৈনিক কল্যাণ’এ বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন।
বর্তমানে যশোর থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক যশোরের কাগজের সম্পাদক।
এ পেশায় সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি পেয়েছেন আইডিই পুরষ্কার, যশোর শিল্পী গোষ্ঠী পদক, জ্ঞানমেলা পদক 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে গ্রহণ করেন বজলুর রহমান স্মৃতিপদক।
শ্রাবণ প্রকাশনী থেকে ‘গ্রাম- গ্রামান্তরে’, নবযুগ প্রকাশনী থেকে ‘মুক্তিযুদ্ধে যশোর’ নবরাগ প্রকাশনী থেকে ‘আমার কৈশোর আমার মুক্তিযুদ্ধ’ ‘মানুষের ভাবনা মানুষের কথা’ এবং ‘ছোট ছোট কথা অচেনা মানুষ’ ‘জনতার গভর্নর’ ‘দেশ জনতার খণ্ডচিত্র’‘রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা’ গাঁও গেরামের কথা’ অরিত্র প্রকাশনী থেকে‘ যশোর রোড ১৯৭১’ হাতাহাতি যুদ্ধ ১৯৭১‘নামে বই প্রকাশিত হয়েছে।
একই সাথে ‘আমার কৈশোর আমার মুক্তিযুদ্ধ’ বইয়ের ইংরেজি ভার্সানও প্রকাশিত হয়েছে।

এই লেখকের আরো বই