চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

প্রিয়তমা (নবীজির ঘরোয়া জীবন)

    আলোড়ন সৃষ্টিকারী বই ‘প্রিয়তমা’। আয়েশার সঙ্গে নবীজির দাম্পত্যজীবন কি অসুখী ছিল? একজন কেবলই কিশোরী, আরেকজন পঞ্চাশোর্ধ্ব প্রবল ব্যক্তিত্ববান মানুষ; কেমন ছিল অসম বয়সী এ দুজনের প্রেমময় সংসারের ছায়াছবি? ঝগড়া হতো? খুনসুটি? মান-অভিমানে কান্না হতো? খাদিজা কেন প্রৌঢ়ত্বের দ্বারপ্রান্তে এসে হাত বাড়িয়ে আগলে নিলেন যুবক মুহাম্মদের হাত? মুহাম্মদ (সা.) যেদিন নবী হলেন, ভয়ে কাঁপছিলেন তিনি; খাদিজা কেন তাঁকে বুকে জড়িয়ে বলেছিলেন, ‘আপনার কোনো ভয় নেই?’ নবীজি এবং তাঁর ১১ জন স্ত্রীর দাম্পত্যজীবনের অসংখ্য গল্পভাষ্য নিয়ে রচিত ইতিহাস-অনুসন্ধানী লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর-এর উপাখ্যানগ্রন্থ ‘প্রিয়তমা’। একদিকে নিরেট নির্মোহ ইতিহাসের বর্ণিল আয়োজন, আরেকদিকে উম্মুল মুমিনিনদের জীবনের অনালোচিত অধ্যায়ের অভিনব আবিস্কার। অনবদ্য ভাষাশৈলী ও প্রাঞ্জল গদ্যে নবীজির দাম্পত্যজীবনের পূর্ণ ছায়াছবি উঠে এসেছে এ গ্রন্থে। প্রিয়তমা নবীপত্নীদের জীবনীগ্রন্থ নয়; বরং তাঁদের জীবনের সুরম্য গল্পভাষ্য। জীবনের গল্পগুলো জীবনীর মতো নয়, বাঙময় হয়েছে গল্পের আদলে। জীবনের গল্প বলতে গিয়ে ওঠে এসেছে তাঁদের সঙ্গে নবীজির দাম্পত্য ভালোবাসা, সাংসারিক প্রেম, পারস্পরিক সৌহার্দ্য, জীবনযুদ্ধে লড়ে যাওয়ার সঞ্জিবনী, নারী অধিকার, নারীশিক্ষাসহ আরও অনেক অজানা কাহিনিকাব্য। আমাদের লৌকিক সমাজের প্রায় প্রতিটি পরিবারে আজকাল শোনা যায় স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য কলহ, মানসিক টানাপোড়েন, পরস্পরের বিশ্বাসহীনতা, সংসার ভাঙার করুণ সুর। দাম্পত্য কলহের বিষবাষ্প যেন ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিচ্ছে আমাদের চারপাশের সমাজ। কিন্তু আমরা নিজেদের কি কখনো নবীজি ও তাঁর স্ত্রীদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছি? কখনো কি তাঁদের সংসারের আদলে আমাদের সাংসারিক সমস্যাগুলো মোকাবেলা করার চেষ্টা করেছি? হয়তো কখনো করা হয়নি। অথচ তাঁদের জীবনে রয়েছে প্রেম আর ভালোবাসায় পূর্ণ এক সংসারের ছায়াছবি। তাঁদের দাম্পত্যজীবনের অসংখ্য অনুপম শিক্ষা সমগ্র পৃথিবীর জন্য শিক্ষণীয়। অনাগত সকল সভ্যতার জন্য তাঁদের সাংসারিক প্রেম নক্ষত্রের মতো জাজ¦ল্যমান। যে গ্রহণ করবে, তার জীবন আলোকিত হবে।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর
লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর বাবা মোঃ শওকত হোসেন পেশায় ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্য। শৈশবে তাই সেনানিবাসের লেফট রাইট আর স্যালুট এর শব্দ, কিংবা বিকেলবেলা বাজানো বিউগল এর করুণ সুর শুনতে শুনতেই মনের মাঝে সৈনিক হবার সুপ্ত বাসনা জেগেছিল তাঁর। এদিকে, মা জাহানারা বেগমের ইচ্ছে ছেলেকে হাফেজ বানানোর, যার জন্য রাইফেল-উর্দির স্বপ্নকে ছুটি দিয়ে তাঁকে ভর্তি হতে হয়েছিল হেফজখানায়। ঢাকা জেলার পশ্চিমে ধামরাই থানায় যে হেফজখানায় তিনি ভর্তি হয়েছিলেন, তার নাম বাসনা আমানুল্লাহ ফোরকানিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা, যে হেফজখানায় উন্মোচিত হয় তাঁর স্বপ্নের নতুন দুয়ার। হেফজখানায় বড় এক আলমারি ভর্তি ছিল নানা স্বাদের বই, যা সাধারণ ছাত্রদের পড়ার জন্য উন্মুক্ত ছিল। চেতনার বিকাশ ঘটানো বা লেখালেখির প্রথম রসদ যুগিয়েছিল সেই আলমারি। তিনি প্রাথমিক মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়েছেন ধামরাইয়ের জামিয়া ইসলামিয়া হাফিজুল উলুম ইসলামপুর থেকে। তারপর ঢাকায় আসেন ২০০২ সালে। মাধ্যমিক স্তর পড়েছেন মিরপুরে, মাদ্রাসায়ে দারুল উলুম এ। ২০০৭ সালে ধামরাইয়ের শরীফবাগ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করেন। ২০০৮ সালে দাওরায়ে হাদিস পাস করেন জামেয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ থেকে। তারপর দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরোজিতে অনার্স শেষ করে কর্মজীবনে সাংবাদিকতা এবং সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিছুদিন। বর্তমানে লেখালেখির সাথেই জড়িয়ে আছেন পুরদস্তুর। তাঁর আগ্রহের মূলবিন্দু ইতিহাস। ঐশ্বরিক যেকোনো জ্ঞান, মানবিক বিজ্ঞান, লৌকিক-অলৌকিক ধর্ম, আন্তর্জাতিক ধর্মদর্শন এবং ধর্মতত্ত্ব বিষয়েও তাঁর আগ্রহ প্রবল। সেই আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ ঘটে সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর বই সমগ্র-তে। ব্যক্তিগত পছন্দের কারণেই তিনি লেখেন মূলত ইতিহাস এবং ধর্মদর্শনের মিশেলে, যা প্রথাগত ধর্মীয় আবহের বাইরে গিয়ে নির্মাণ করেছে নতুন এক ভাষাভঙ্গি। 'প্রিয়তমা', 'মিরাতুল মামালিক : দ্য অ্যাডমিরাল', 'প্রিয় প্রেয়সী নারী', 'সেই হীরা', 'সিংহহৃদয়', 'বদরের বীর', 'ইতিহাসের জানালা', 'হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল', 'সোরাকার মুকুট' ইত্যাদি সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর বই সমূহ, যা বেশ ভালো মাত্রার পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।

এই লেখকের আরো বই