চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

৩১৩ : বদরযুদ্ধের ঐতিহাসিক গল্পভাষ্য

    বইটি বদর যুদ্ধের গল্পভাষ্য হলেও গল্পটি শুরু হয়নি বদরের প্রান্ত থেকে কিংবা বদরের দিকে ধেয়ে আসা সেই মদিনার প্রান্ত থেকে কিংবা যে লগ্নে বদরযুদ্ধ সংঘটিত হয়, সেই ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ মার্চ থেকে৷ গল্পটি শুরু হয় “আলোর ফোয়ারা” শিরোনাম দিয়ে৷ এই শিরোনামে উদ্ধৃত হয় মদিনার ছয় যুবককে ঘিরে প্রথম আকাবার ঘটনা৷ যে ঘটনাটি মক্কার, ৬২০ খ্রিষ্টাব্দের৷ যে ঘটনায় নিহিত আছে, কীভাবে নবিজী মক্কায় থেকে মদিনায় ইসলামের বীজ বপন করেন৷ এরপর ধারাবাহিক ঘটনাগুলো বিবৃত হতে থাকে “বিশ্বাসের সূর্যোদয়”, “নতুন উষা”, “আকাবার প্রতিজ্ঞা”, মধ্যরাতের গুপ্তঘাতক”, “নবীর শহরে”, “চারিদিকে শত্রু”, “শক্তি প্রদৰ্শন”, “মরুশাৰ্দূল”, “বাজিছে দামামা”, “স্বপ্নসংবাদ”, “বার্তাবাহক” ও “বদর প্রান্তরে” দিয়ে৷ এই শিরোনামগুলোতে খুবই ক্ষুদ্র পরিসরে তিনি আলোকপাত করেছেন মক্কায় মুসলিমদের অৰ্বাচীন নিৰ্মমতার বেদনা, প্রথম হিজরত, দ্বিতীয় হিজরত এবং চূড়ান্ত হিজরত; মদিনার কথা৷ কীভাবে মহানবী মদিনায় ভাতৃঘাতী ভেদাভেদ দীৰ্ণ করে সবাইকে দাড় করিয়েছেন পারস্পরিক সহোদরার মমত্ব সাড়িতে— সেটাও আলোচনা করেছেন৷ আরো আলোচনা করেছেন, বদর যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার পূৰ্বে মহানবি কয়টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দল মক্কার কাফিরদের তাড়া করতে পাঠান৷ এবং এটাও আলোকপাত হয় যে, বদর যুদ্ধে মুসলিমরা যুদ্ধের জন্যই মদিনার বাহিরে আসেন, নাকি অন্য কোন রহস্য এখানে অাবৃত৷এই বদর যুদ্ধ নিয়ে কাফেরদের মাঝে কী সংশয় দেখা দেয়, এবং শেষতক কী হয়, কী কী মোজেযা প্রকাশ পায় এই যুদ্ধে, এই যুদ্ধে কে প্রথম শহিদ হন, কাফেরদের মধ্যে কে প্রথম ভূতলে লুটায়, কাফেরদের সৈন্যদলে; তবু তাকে হত্যার নিষেধাজ্ঞা আসে, কে সে? কেন এমন নিষেধাজ্ঞা? এমন অনেক অনেক অাবৃত পাঠ পরবর্তী শিরোনাম থেকে পাঠকের কাছে স্বচ্ছ কাঁচের মতই ধরা দেবে৷এটি গতানুগতিক গল্পের বই নয়৷ বরং হাদিস আর কোরআন এবং বিশুদ্ধ বিধৌত ইতিহাস গ্রন্থের বিক্ষিপ্ত বৰ্ণনাগুলোকে তিনি মূলত গল্পমাল্যে অচ্ছেদ্য উপায়ে আর সাড়িবদ্ধ শৃঙ্খলায় পরিয়েছেন৷ তাই বলা যায়, বইয়ের গল্পকে পর্যাপ্ত শব্দ ও নিবিড় বাক্য দিয়ে বেণী করা হয়েছে আর বিশুদ্ধ বর্ণনা ও বিমুগ্ধ ঘটনাগুলো দিয়ে গল্পটির হার নির্মাণ করা হয়েছে— ফলত ঐতিহাসিক গল্পভাষ্যটি পুষ্পময়ী গ্রন্থে রূপ নিয়েছে৷ আশাবাদী, এই ফুলের ঘ্রাণ ও সুপেয় রস তৃপ্ত করবে সকল পাঠককে৷
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর
লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর বাবা মোঃ শওকত হোসেন পেশায় ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্য। শৈশবে তাই সেনানিবাসের লেফট রাইট আর স্যালুট এর শব্দ, কিংবা বিকেলবেলা বাজানো বিউগল এর করুণ সুর শুনতে শুনতেই মনের মাঝে সৈনিক হবার সুপ্ত বাসনা জেগেছিল তাঁর। এদিকে, মা জাহানারা বেগমের ইচ্ছে ছেলেকে হাফেজ বানানোর, যার জন্য রাইফেল-উর্দির স্বপ্নকে ছুটি দিয়ে তাঁকে ভর্তি হতে হয়েছিল হেফজখানায়। ঢাকা জেলার পশ্চিমে ধামরাই থানায় যে হেফজখানায় তিনি ভর্তি হয়েছিলেন, তার নাম বাসনা আমানুল্লাহ ফোরকানিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা, যে হেফজখানায় উন্মোচিত হয় তাঁর স্বপ্নের নতুন দুয়ার। হেফজখানায় বড় এক আলমারি ভর্তি ছিল নানা স্বাদের বই, যা সাধারণ ছাত্রদের পড়ার জন্য উন্মুক্ত ছিল। চেতনার বিকাশ ঘটানো বা লেখালেখির প্রথম রসদ যুগিয়েছিল সেই আলমারি। তিনি প্রাথমিক মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়েছেন ধামরাইয়ের জামিয়া ইসলামিয়া হাফিজুল উলুম ইসলামপুর থেকে। তারপর ঢাকায় আসেন ২০০২ সালে। মাধ্যমিক স্তর পড়েছেন মিরপুরে, মাদ্রাসায়ে দারুল উলুম এ। ২০০৭ সালে ধামরাইয়ের শরীফবাগ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করেন। ২০০৮ সালে দাওরায়ে হাদিস পাস করেন জামেয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ থেকে। তারপর দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরোজিতে অনার্স শেষ করে কর্মজীবনে সাংবাদিকতা এবং সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিছুদিন। বর্তমানে লেখালেখির সাথেই জড়িয়ে আছেন পুরদস্তুর। তাঁর আগ্রহের মূলবিন্দু ইতিহাস। ঐশ্বরিক যেকোনো জ্ঞান, মানবিক বিজ্ঞান, লৌকিক-অলৌকিক ধর্ম, আন্তর্জাতিক ধর্মদর্শন এবং ধর্মতত্ত্ব বিষয়েও তাঁর আগ্রহ প্রবল। সেই আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ ঘটে সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর বই সমগ্র-তে। ব্যক্তিগত পছন্দের কারণেই তিনি লেখেন মূলত ইতিহাস এবং ধর্মদর্শনের মিশেলে, যা প্রথাগত ধর্মীয় আবহের বাইরে গিয়ে নির্মাণ করেছে নতুন এক ভাষাভঙ্গি। 'প্রিয়তমা', 'মিরাতুল মামালিক : দ্য অ্যাডমিরাল', 'প্রিয় প্রেয়সী নারী', 'সেই হীরা', 'সিংহহৃদয়', 'বদরের বীর', 'ইতিহাসের জানালা', 'হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল', 'সোরাকার মুকুট' ইত্যাদি সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর বই সমূহ, যা বেশ ভালো মাত্রার পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।

এই লেখকের আরো বই