চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

পাগলানামা

    ‘পাগলামামা’ বইটি ২০১৯ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় । বইটির শুরু তৎকালীন থানাশহর ঝিকরগাছার পটভূমিতে লেখা । হয়ত এই পটভূমির কারণেই বইটি সেখানে খুব পাঠকপ্রিয় । একজন তরুণ সংগঠক জানালেন, ঝিকরগাছার ১০০ জন তরুণ তরুণী বইটি কিনেছেন । বেশীরভাগ তরুণতরুণীর ক্ষেত্রে এই ‘পাগলামামা’ দিয়েই বইপড়ার হাতেখড়ি শুরু । সংগঠক তরুণটির হিসেব মতে, ‘পাগলামামা’ পড়ুয়ারা এ পর্যন্ত নিজেদের ৫ হাজার থেকে ২১ হাজার টাকার বই কিনে পড়েছে । তারা এখনও তাদের বইপড়া চলমান রেখেছে । এটাকে এক ধরণের বইপড়ার আন্দোলন বলা যেতে পারে । আমার জানামতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক ও সাহিত্যিক জনাব হোসেনউদদীন হোসেন ঝিকরগাছায় বসবাস করেন । তিনি সেখানকার ছেলেমেয়েদের বইপড়ার জন্য অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকেন । হয়ত একারনেই সেখানকার তরুণতরুণীদের মধ্যে বইপড়ার জোয়ার এসেছে- যা একটি মফস্বল শহরের ব্যতিক্রম চিত্র । আমার সৌভাগ্য যে, জনাব হোসেনউদ্দীন হোসেন হোসেন আমার ‘মারাক্কেসের বাতাস’ বইটির উপর একটি পর্যালোচনা লিখেছেন । লেখার গুণগতমান দিয়ে মফস্বল শহরের এক কোণায় থেকেও যে আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হওয়া যায়; তার বাস্তব উদাহরণ জনাব হোসেনউদদীন হোসেন । আমি তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন কামনা করি । মহান আল্লাহ্‌ কবুল করুন । আমিন । আমি বলছিলাম ‘পাগলামামা’র পাঠকসৃষ্টি গুণের কথা । ঝিকরগাছায় এই পাঠকসৃষ্টির মূলে যারা কাজ করেছেন আমি তাঁদের সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করি । হয়ত তাঁদের কারণেই এভাবে পাঠকের মুখে মুখে ফিরে ‘পাগলামামা’ একদিন তার নিজের বাজার খুঁজে নেবে ।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
রাশেদুল ইসলাম:
মোঃ রাশেদুল ইসলাম ০২ জুলাই, ২০২০ তারিখে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) পদে যোগদান করেন। তিনি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সম্মানিত সদস্য। তাঁর জন্ম তারিখ ০৫ জুন, ১৯৬২। জন্মস্থান যশোর জেলাধীন চৌগাছা উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামে। ইতোপূর্বে তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ, মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, রেলপথ বিভাগ এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগে বিভিন্ন ক্যাপাসিটিতে সুনামের সাথে চাকুরী করেছেন।

জনাব মোঃ রাশেদুল ইসলাম তাঁর নিজ গ্রামের মুক্তারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। বাল্যকাল থেকেই তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন। পার্শ্ববর্তী  গ্রামের ধুলিয়ানী সম্মিলনী উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে তিনি মাধ্যমিক স্কুল সনদ পরীক্ষায় (এসএসসি) উত্তীর্ণ হন। এসএসসিতে তিনি প্রথম বিভাগসহ যশোর শিক্ষাবোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় নবম স্থান অধিকার করেন। ১৯৮০ সালে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয় (এমএম কলেজ) থেকে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচএসসি) পাশ করেন। এইচএসসিতে তিনি প্রথম বিভাগে একই শিক্ষাবোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৭ম স্থান অধিকার করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে ১৯৮৩ সালে সম্মানসহ ব্যাচেলর অব সোশ্যাল সায়েন্স (বিএসএস) এবং ১৯৮৪ সনে মাষ্টার্স অব সোশ্যাল সায়েন্স (এমএসএস) সনদ অর্জন করেন। বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের এই কর্মকর্তা চাকুরীরত অবস্থায় ২০০৯ সালে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় (বাংলাদেশ) থেকে মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) সনদ এবং ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি ডিপ্লোমা অর্জন করেন।

জনাব মোঃ রাশেদুল ইসলাম চাকুরী সূত্রে ভারত, ভুটান, নেপাল, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, জাপান, দক্ষিন কোরিয়া,  মরোক্কো, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট, জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণ ও সভা সেমিনারে অংশগ্রহণসহ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি ‘ঢাকা অফিসার্স ক্লাব’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন’ এবং ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি’র আজীবন সদস্য।

মানুষকে ভালো কাজে উদ্ধুদ্ধ করার ব্রত নিয়ে জনাবইসলাম ২০১৫ সাল থেকে লেখালেখি শুরু করেন। তাঁর লেখা বইগুলোর মধ্যে ‘মারাক্কেশের বাতাস’ ‘চাঁদের পাহাড়’, ‘পাগলামামা’‘রোজকার টুকিটাকি’, ‘সাকুরা মৌসুমে’ উল্লেখযোগ্য। তিনি মনে করেন প্রত্যেক মানুষেরই ভাল কাজ করার সুযোগ রয়েছে। যথাযথভাবে উদ্ধুদ্ধ করা গেলে যে কোন মানুষই সৎকাজে অংশগ্রহণ করতে  পারেন। এ ধরণের উদ্ধুদ্ধকরণের কাজে তিনি আজীবন নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান।

জনাব মোঃ রাশেদুল ইসলাম বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী শারমিনা পারভীন কলেজের অধ্যাপক। কন্যা দোলনচাঁপা ইসলাম কলেজ ছাত্রী।

এই লেখকের আরো বই