চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

নিজেকে অভিজাত মনে হয়

    পটভূমি: ‘নিজেকে অভিজাত মনে হয়’ বইটি লেখার শুরুতে আমার সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা ছিল না। আমি কবি বা সাহিত্যিক নই। তাই শুধু কল্পনা দিয়ে আমি কিছু লিখতে পারিনে । চারপাশে যা কিছু ঘটে, নিজে যা কিছু দেখি বা শুনি–সে সব দেখা বা শোনার মধ্যে যে চিন্তা আমার মাথায় ঘুরপাক খায়–আমি তাই নিয়ে লিখি। এ কারণে আমার লেখা একান্ত সাদামাটা। অসাধারণ কিছু নয়। তবে আপনার আমার সবার চিন্তার একটি সরল প্রকাশ আমার লেখায় পাওয়া যায় বলে আমার নিজের মনে হয়। শহুরে জীবনের একটি বড় অংশ আমি ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় থেকেছি। ২০২০ সালের আগস্ট মাসে আমি ইস্কাটনে বাসাবদল করি। এখানে আমার যাতায়াতের জন্য গাছের সবুজ ছায়ায় ঢাকা পাখি ডাকা রাস্তাটির নাম ইস্কাটন গার্ডেন। অদূরে ছায়া সুনিবিড় নয়নাভিরাম রমনাপার্ক। মানুষের থাকার জায়গা যে তার চিন্তাচেতনায় অনেক বড় প্রভাব ফেলে, তার প্রমাণ পাওয়া যায় আমার এখানকার লেখা থেকে। এখানে আসার এক মাসের মধ্যেই আমার লেখা ‘নিজেকে অভিজাত মনে হয়’-এর প্রথম পর্ব ফেসবুকে এবং অস্ট্রেলিয়ার সিডনী থেকে অনলাইন পত্রিকা বাংলাকথাডটকমে প্রকাশিত হয়। কয়েকটি লেখা প্রকাশিত হবার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র আমার সাথে দেখা করেন। তাঁরা আমাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার ইতিহাস লেখার জন্য অনুরোধ জানান। তাঁরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলেও, এখানকার কোনো ইতিহাস তাঁদের জানা নেই। এভাবে কোনো লেখা বইও তাঁরা পান না। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অবস্থিত ঐতিহাসিক তিন নেতার মাজারে কোন তিন নেতা সমাহিত হয়েছেন, সে কথাও তাঁদের অনেকে জানেন না। বলা যায়, তাঁদের অনুরোধেই বইটি ইতিহাস নির্ভর করার চেষ্টা করি আমি। কিন্তু আমি ইতিহাসের ছাত্র নই এবং ইতিহাস লেখার তেমন যোগ্যতাও আমার নেই। কেবল ইতিহাসের একজন পাঠক এবং সচেতন নাগরিক হিসেবে সাধারণ জ্ঞান দিয়েই বইটি লেখা শুরু করি। তবে এটি ইতিহাসের প্রমাণক কোনো গ্রন্থ নয়। তাই, কোনো স্পর্শকাতর বিষয় ছাড়া বইটিতে তেমনভাবে তথ্যসূত্র ব্যবহার করা হয়নি। বইটিতে বর্ণিত অনেক ঐতিহাসিক খুঁটিনাটি বিষয় আমার নিজেরও জানা ছিল না। ইন্টারনেট ঘেঁটে আমাকে জানতে হয়েছে। আমি মনে করি, কোনো পাঠক ঐতিহাসিক কোনো ঘটনা বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আগ্রহী হলে আমার মতো একইভাবে জানতে পারবেন। বাঙালি জাতিসত্তা বা বাঙালি গৌরবগাথার ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি তথা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে স্বীকৃত। নিজেই অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী তিনি। সংগত কারণেই বইটিতে শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের অনেক উদ্ধৃতি ব্যবহার করা হয়েছে। বাঙালির গর্ব এই অকুতোভয় দেশপ্রেমিক মহান নেতার প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা। মহান আল্লাহ তাঁকে বেহেস্তের সুউচ্চ মর্যাদায় আসীন করুন। শিক্ষা ব্যবস্থাপক, কবি ও গবেষক ড. সাঈফ ফাতেউর রহমান বইটির একটি পর্যালোচনা লিখে বইটিকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। বইটিতে প্রদর্শিত প্রায় সকল ছবিই আলোকচিত্রী সোহেল ইমরান নিজে তুলেছেন । তবে কয়েকটি ছবি কিনতে হয়েছে । এ প্রজন্মের তরুণ লেখক মিকসেতু মিঠু বইটির ছবি সংগ্রহ ও যথাযথ বিন্যাসে আন্তরিক সহযোগিতা দিয়েছেন। তাঁদের দুজনকেই ধন্যবাদ। ইছামতি প্রকাশনীর জনাব মোহাম্মদ রশিদুর রহমান বইটি প্রকাশের দায়িত্ব নিয়ে আমাকে চিন্তামুক্ত করেছেন। তাঁর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। সম্মানিত পাঠকগণের সুচিন্তিত মতামত এবং অনুপ্রেরণার ফসল এই ‘নিজেকে অভিজাত মনে হয়’ বইটি। তাই সম্মানিত সকল পাঠকের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। বইটি নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের নিজের দেশকে জানার আগ্রহ বাড়াবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে–এটাই প্রত্যাশা। বাংলাদেশ চিরজীবী হউক। রাশেদুল ইসলাম- লেখক
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
রাশেদুল ইসলাম:
মোঃ রাশেদুল ইসলাম ০২ জুলাই, ২০২০ তারিখে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) পদে যোগদান করেন। তিনি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সম্মানিত সদস্য। তাঁর জন্ম তারিখ ০৫ জুন, ১৯৬২। জন্মস্থান যশোর জেলাধীন চৌগাছা উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামে। ইতোপূর্বে তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ, মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, রেলপথ বিভাগ এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগে বিভিন্ন ক্যাপাসিটিতে সুনামের সাথে চাকুরী করেছেন।

জনাব মোঃ রাশেদুল ইসলাম তাঁর নিজ গ্রামের মুক্তারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। বাল্যকাল থেকেই তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন। পার্শ্ববর্তী  গ্রামের ধুলিয়ানী সম্মিলনী উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে তিনি মাধ্যমিক স্কুল সনদ পরীক্ষায় (এসএসসি) উত্তীর্ণ হন। এসএসসিতে তিনি প্রথম বিভাগসহ যশোর শিক্ষাবোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় নবম স্থান অধিকার করেন। ১৯৮০ সালে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয় (এমএম কলেজ) থেকে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচএসসি) পাশ করেন। এইচএসসিতে তিনি প্রথম বিভাগে একই শিক্ষাবোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৭ম স্থান অধিকার করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে ১৯৮৩ সালে সম্মানসহ ব্যাচেলর অব সোশ্যাল সায়েন্স (বিএসএস) এবং ১৯৮৪ সনে মাষ্টার্স অব সোশ্যাল সায়েন্স (এমএসএস) সনদ অর্জন করেন। বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের এই কর্মকর্তা চাকুরীরত অবস্থায় ২০০৯ সালে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় (বাংলাদেশ) থেকে মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) সনদ এবং ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি ডিপ্লোমা অর্জন করেন।

জনাব মোঃ রাশেদুল ইসলাম চাকুরী সূত্রে ভারত, ভুটান, নেপাল, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, জাপান, দক্ষিন কোরিয়া,  মরোক্কো, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট, জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণ ও সভা সেমিনারে অংশগ্রহণসহ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি ‘ঢাকা অফিসার্স ক্লাব’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন’ এবং ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি’র আজীবন সদস্য।

মানুষকে ভালো কাজে উদ্ধুদ্ধ করার ব্রত নিয়ে জনাবইসলাম ২০১৫ সাল থেকে লেখালেখি শুরু করেন। তাঁর লেখা বইগুলোর মধ্যে ‘মারাক্কেশের বাতাস’ ‘চাঁদের পাহাড়’, ‘পাগলামামা’‘রোজকার টুকিটাকি’, ‘সাকুরা মৌসুমে’ উল্লেখযোগ্য। তিনি মনে করেন প্রত্যেক মানুষেরই ভাল কাজ করার সুযোগ রয়েছে। যথাযথভাবে উদ্ধুদ্ধ করা গেলে যে কোন মানুষই সৎকাজে অংশগ্রহণ করতে  পারেন। এ ধরণের উদ্ধুদ্ধকরণের কাজে তিনি আজীবন নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান।

জনাব মোঃ রাশেদুল ইসলাম বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী শারমিনা পারভীন কলেজের অধ্যাপক। কন্যা দোলনচাঁপা ইসলাম কলেজ ছাত্রী।

এই লেখকের আরো বই