এ এফ এম আমিনুল ইসলাম
জন্ম : ৪ নভেম্বর, ১৯৫৪ খ্রি. তারিখে নড়াইল শহরের আলাদাতপুরে ঐতিহ্যবাহী মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মৌলভী দাউদ আহমেদ নড়াইলের বিশিষ্ট আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক ছিলেন। মাতা মরহুমা মোসাম্মাৎ শাহজাদী বেগম আতোশপাড়া গ্রামের সকলের প্রিয় আম্মা ছিলেন।
শিক্ষাজীবন:
নড়াইল দিলরুবা গার্লস স্কুলে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত (বর্তমানে নড়াইল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়), নড়াইল শহর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণী, নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে মধ্যমিক, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে উচ্চ মাধ্যমিক, ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.জুর সম্মানসহ ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে এম.জুর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি নড়াইল ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গন্ধুর ডাকে নড়াইল ট্রেজারি ভোগ অ নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
কর্মজীবন :
১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল হতে লাইসেন্স প্রাপ্তে নড়াইল জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যভুক্ত হয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত হয়ে সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করেন। ২০-৪-১৯৮৩ খ্রি. তারিখে বিসিএস বিচার বিভাগে মুনসেফ (সহকারী জজ) পদে যোগদান করেন। তিনি বিভিন্ন উপজেলা ও জেলায় মুনসেফ ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা জজ, সহকারী দায়রা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক, বিশেষ জজ, জেলা ও দায়রা জজের দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচার নিষ্পত্তি করেন। তিনি বাংলাদেশ আইন কমিশনের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ৪-১১-২০১১ খ্রি. তারিখে বিচার বিভাগ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অতঃপর তিনি সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। ১০-৩-২০১৬ খ্রি. তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসাবে যে দান করেন।
সামাজিক কর্মকাণ্ড
ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি তিনি খেলাধুলা ও বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মের সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সদস্য ও জীবন সদস্য। তিনি একজন ব্যতিক্রমী ও সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব। সততা, মানবতা ও ন্যায়বিচার তাঁর জীবনকে একিভূত করেছে। তিনি নড়াইল জেলার উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় এলাকার মানুষের ভালবাসা ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
পারিবারিক জীবন :
তিনি ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। তাঁর সহধর্মিনী এডভোকেট মোহসেন আরা তাহেরা। তাঁদের একমাত্র পুত্র ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম প্রতীক বর্তমানে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত আছেন। সাত ভাইবোনের মধ্যে লেখক পঞ্চম।
ভ্রমণ :
তিনি বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন। বাংলাদেশে প্রতিটি জেলা এবং আড়াইশত উপজেলা ভ্রমণ করেছেন।