চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

জ্ঞান বিজ্ঞান অজ্ঞান

    ‘জ্ঞান বিজ্ঞান অজ্ঞান’ আস্তিক-নাস্তিক বিতর্কের আনুষ্ঠানিক শুরুটাও ব্লগকেন্দ্রিক। মাঠ পর্যায়ে এটার ইফেক্ট অনেক দেরিতে পড়লেও এ দ্বন্দ্ব নতুন নয়। ব্লগপাড়ায় এ নিয়ে দেন-দরবার চলে আসছিলো অনেক আগে থেকেই। তখনো শাহবাগ জাগেনি। তখনো হেফাজত মাঠে নামেনি। দুহাজার নয়/দশ-এর কথা। বাংলা ব্লগপাড়া মাঝেমাঝেই উত্তপ্ত হয়ে উঠতো আস্তিক-নাস্তিক দ্বন্দ্বে। কথা হত, তর্ক হত, বিতর্ক হত। তেমনি একটি তুলনামূলক শালীন বিতর্কের কাগুজে প্রকাশনা ‘জ্ঞান বিজ্ঞান অজ্ঞান। প্রসঙ্গত, ব্লগে যারা লেখালেখি করে, তারা হল ব্লগার। সুতরাং লেখক রশীদ জামীলও একজন ব্লগারই ছিলেন। কুরআন এবং বিজ্ঞান নিয়ে তিন পর্বের ধারাবাহিক একটি লেখা ছিল তার। লেখাটিকে কেন্দ্র করে অ্যান্টি ইসলাম ব্লগাররা ঝাঁপিয়ে পড়ল লেখকের উপর। পুরো পাঁচদিন পাঁচরাত ধরে চলতে থাকল এই বিতর্ক। পুরো ব্লগপাড়ার চোখ ছিল এদিকে। জয়-পরাজয়ের ব্যাপার ছিল না; কিন্তু অবচৈতনিক একধরনের প্রতিযোগিতা ছিল। ফলাফল… ‘জ্ঞান বিজ্ঞান অজ্ঞান’।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
রশীদ জামীল
এই প্রজন্মের শক্তিমান লেখক রশীদ জামীল। যাকে তরুণ লেখকদের আইডলও বলা যায়। তরুণদের অনেকেই যার লেখার স্টাইল ফলো করে। রশীদ জামীল লেখালেখি করছেন ১৯৯৬ সাল থেকে। দেশবিদেশের পত্রিকা-জার্নালে লিখেছেন তিন শতাধিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও কলাম। ঘুরেছেন ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার অনেকগুলো দেশ।


কঠিন কথা সহজ ভাষায় লিখতে পারা কঠিন একটি কাজ। কিন্তু এই কঠিন কাজটি রশীদ জামীল সহজভাবে করে থাকেন। সুখের মতো কান্না, হুমুল্লাজিনা, বিশ্বাসের বহুবচন, জ্ঞান বিজ্ঞান অজ্ঞান, আহাফি, মমাতি, পাগলের মাথা খারাপ, চেতনার আস্তিন-সহ ৩৭টি পাঠকপ্রিয় বইয়ের রচয়িতা এই লেখক ২০০৮ সালে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ তরুণ কলামিস্ট হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন।


দীর্ঘ দুই দশক ধরে কাছে থেকে দেখা এই লেখকের একটি বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি যা ভাবেন এবং বিশ্বাস করেন—তা-ই অকপটে লিখে ফেলেন। এতে কেউ খুশি হয় কেউ করে গালিগালাজ। তখন তিনি তাঁর অন্যতম আরেকটি বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগান। সেটি হলো তিরষ্কার এবং তোষামোদ—দুটোকেই পাশ কাটিয়ে চলা।

এই লেখকের আরো বই