চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

হাসান ইবনু আলি রা.

    বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি রাসুল সাঃ ও খুলাফায়ে রাশিদিনের শাসনামলের একটি পর্যালোচনা। এতে হাসান রা.-এর পূর্ণ জীবনবৃত্তান্ত আলোচনার চেষ্টা করা হয়েছে। ফাতিমা রা.-এর সঙ্গে আবু বকর রা.-এর সম্পর্ক, রাসুলের মিরাস, ফাতিমার মৃত্যু, হাসানের মর্যাদা, তাঁর সম্পর্কে রাসুলের ভবিষ্যদ্‌বাণী­; তাঁর মাধ্যমে বিবদমান দুটি দলের মধ্যে মীমাংসার বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব, তাঁর ওপর পারিবারিক শিক্ষার প্রভাব, খুলাফায়ে রাশিদিনের যুগে তাঁর জীবনধারা, আলির শাহাদাত ও হাসান-হুসাইনের প্রতি পিতার অসিয়ত, পিতার শাহাদাতের পর তাঁর বক্তব্য, মুআবিয়া রা.-এর নিকট আলির মৃত্যুসংবাদ, তাঁর হাতে লোকজনের বায়আত, বায়আতের শর্ত, তাঁর খিলাফতের ব্যাপারে নসের ভুল ব্যবহার, খলিফা নির্বাচন, খিলাফতের মেয়াদ ও খিলাফত সম্পর্কে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মতাদর্শ। তুলে ধরা হয়েছে হাসান রা.-এর খুলাফায়ে রাশিদার অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে আলিমদের বক্তব্য। খণ্ডন করা হয়েছে তাঁকে জড়িয়ে বলা কিছু ভুল বক্তব্য, ইতিহাসের কিছু বানোয়াট কাহিনি। উল্লেখ করা হয়েছে তাঁর ব্যাপারে মহান ব্যক্তিদের অভিমত। মুআবিয়া রা.-এর সঙ্গে হাসানের সন্ধি-বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা ছাড়াও সন্ধির পর তাঁর ও মুআবিয়ার সম্পর্ক কেমন ছিল, তারও আলোচনা করা হয়েছে। কিছু কিছু গ্রন্থে মুআবিয়ার প্রতি অপবাদ আরোপ করা হয়েছে, সেসবও খণ্ডন করা হয়েছে। হাসানের শেষজীবন, হুসাইনের জন্য তাঁর অসিয়ত, আল্লাহর সৃষ্টিজগৎ সম্পর্কে তাঁর চিন্তাভাবনা, শাহাদাত লাভ এবং জান্নাতুল বাকিতে তাঁর দাফন হওয়া সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়েছে। হাসানের জীবনী থেকে শিক্ষাগ্রহণকারীর সংখ্যা সমাজে একেবারেই অপ্রতুল। আমরা হাসানের কর্মপন্থা দেখে আশ্চর্য হই; অথচ সেখান থেকে শিক্ষা নিই না। তাঁর জীবনী উম্মাহর জন্য জীবন্ত শিক্ষা। তিনি সে-সকল মহান ইমামের অন্তর্ভুক্ত, যাঁদের কথা, কাজ ও জীবনী থেকে উম্মাহ শিক্ষা নিতে পারে এবং নিজেদের জীবন তাঁদের আদলে ঢেলে সাজাতে পারে।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি। ফকিহ, রাজনীতিক ও বিশ্বখ্যাত ইতিহাসগবেষক। ইসলামের ইতিহাসের উপর বিশ্লেষণধর্মী তাত্ত্বিক গ্রন্থ রচনা করে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছেন। এই মহা মনীষী ১৯৬৩ সনে লিবিয়ার বেনগাজি শহরে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা বেনগাজিতেই করেন।

যৌবনের প্রারম্ভেই গাদ্দাফির প্রহসনের শিকার হয়ে শায়খ সাল্লাবি আট বছর বন্দি থাকেন। মুক্তি পাওয়ার পর উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি সাউদি আরব চলে যান। মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়া ও উসুলুদ্দিন বিভাগ থেকে ১৯৯৩ সনে অনার্স সম্পন্ন করেন। তারপর চলে যান সুদানের উম্মু দুরমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে উসুলুদ্দিন অনুষদের তাফসির ও উলুমুল কুরআন বিভাগ থেকে ১৯৯৬ সনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ১৯৯৯ সনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল ‘ফিকহুত তামকিন ফিল কুরআনিল কারিম’।

ড. আলি সাল্লাবির রাজনৈতিক দীক্ষাগুরু বিশ্বখ্যাত ফকিহ ও রাজনীতিক ড. ইউসুফ আল কারজাবি। কারজাবির সান্নিধ্য অর্জনে তিনি ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে কাতার গমন করেন।

নতুন ধারায় সিরাত ও ইসলামি ইতিহাসের তাত্ত্বিক গ্রন্থ রচনা করে ড. আলি সাল্লাবি অনুসন্ধিৎসু পাঠকের আস্থা ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। নবিজির পুর্ণাঙ্গ সিরাত, খুলাফায়ে রাশিদিনের জীবনী, উমাইয়া খিলাফত, আব্বাসি খিলাফত, উসমানি খিলাফতের উত্থান-পতনসহ ইসলামি ইতিহাসের সাড়ে তেরোশ বছরের ইতিহাস তিনি রচনা করেছেন। তা ছাড়া ইসলামি ইতিহাসে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করা ব্যক্তিদের নিয়ে তিনি আলাদা আলাদা গ্রন্থ রচনা করেছেন।

ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবির রচনা শুধু ইতিহাসের গতানুগতিক ধারাবর্ণনা নয়; তাঁর রচনায় রয়েছে বিশুদ্ধতার প্রামাণিক গ্রহণযোগ্যতা, জটিল-কঠিন বিষয়ের সাবলীল উপস্থাপনা ও ইতিহাসের আঁকবাঁকের সঙ্গে সমকালীন অবস্থার তুলনীয় শিক্ষা। এই মহা মনীষী সিরাত, ইতিহাস, ফিকহ ও উলুমুল কুরআনের উপর আশির অধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর রচনাবলি ইংরেজি, তুর্কি, ফরাসি, উর্দু ও বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়ে পৃথিবীর জ্ঞানগবেষকদের হাতে হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। 

এই লেখকের আরো বই