চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

কাপুুরুষ

    বছর দেড়েক আগে একটা সাহিত্য গ্রুপে 'পুরুষ' ইভেন্টে লেখা চলছিল। আমি তখনও গ্রুপগুলোতে খুব একটা লিখি না, শুধু পড়ি। তো ঐ গ্রুপের একজন এডমিন 'কেমন পুরুষ চাই' শিরোনামে একটা লেখা দিয়েছেন। লেখাটা খুব ভালো লাগলো এবং সেটা মন্তব্যে জানালাম। উত্তরে লেখক বললেন, আপনিও এটা নিয়ে লেখেন না! অতঃপর দুতিন দিন সময় নিয়ে একটা গল্প লিখে ফেললাম। যেহেতু গল্পের মূল পুরুষ চরিত্রটি নেতিবাচক, বা কেমন পুরুষ দেখতে চাই না সেটা দেখানো হয়েছে গল্পে, তাই পুরুষ শব্দটার সাথে মিল রেখে নাম দিলাম 'কাপুরুষ'। গল্পটা ওখানে বেশ প্রশংসিত হলে পেন্সিল'এ পোস্ট করি। এবং এই প্রথম আমার কোন গল্পে ভালো সাড়া পাওয়া গেলো। শুধু রিয়াকশন নয়, কয়েকশো পাঠক মন্তব্যে তাদের ভালোলাগা জানান এবং অনেকেই তাদের নিজেদের বা পরিচিত কারো জীবনের সাথে গল্পটির মিল খুঁজে পান। বেশিরভাগ পাঠকই গল্পের সমাপ্তিটাকে এপ্রিশিয়েট করেন। কোন গল্প যখন পাঠকের সাথে মিলে যায় এবং তাদের পছন্দের তালিকায় স্থান পায়, লেখকের লেখাটা তখন সার্থক মনে হয়। যদিও ফেসবুকের পাঠক রিয়াকশনকে অনেকেই খুব একটা মূল্যায়ন করেন না। কিন্তু আমার মতো নবীন, অপরিচিত একজন, খুব নিভৃতে যার একটামাত্র বই এর আগে প্রকাশিত হয়েছে, তার জন্য পাঠক প্রতিক্রিয়া অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমার অবজারভেশন হচ্ছে পৃথিবীতে প্রকৃত মানুষের সংখ্যা খুবই নগন্য, বেশিরভাগ মানুষই কাপুরুষ। 'কাপুরুষ' শব্দটা পুরুষবাচক হলেও যেহেতু এর কোন নারীবাচক শব্দ নেই, তাই উভয় অর্থেই আমি শব্দটা ব্যবহার করতে চাই। বেশিরভাগ পুরুষেরাই একটা সুপিরিয়র কমপ্লেক্সে ভোগেন। শিক্ষা, মনুষ্যত্ব এবং উদারতার একটা মুখোশ পরে থাকেন তারা। কিন্তু তাদের কাছে নারীরা প্রয়োজন ছাড়া কিছু নয়। নারীর অগ্রগতির প্রতিটি পদক্ষেপকেই তারা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন। আর বেশিরভাগ নারীই তাদের অধিকারহীনতা, অসম্মান এবং অবিচারকে চুপ করে হজম করেন। তাদের নারীজন্মকে আজন্মের পাপ ভেবে মুখ বুজে সব মেনে নেন। অনেক সময় নিজেরাও একই ধরণের আচরণ করে থাকেন। আমার দৃষ্টিতে এরা প্রত্যেকেই কাপুরুষ। -শায়লা শবনম
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
শায়লা শবনম:
শায়লা শবনমের দ্বিতীয় প্রকাশিত গ্রন্থ 'কাপুরুষ'। প্রথম গ্রন্থ 'আমার মুক্তি আলোয় আলোয়' উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়েছে ২০১৫ সালে। উপন্যাসটি প্রকাশ পাওয়ার পরে ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায় এবং সুধীমহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। এরপর মুখবইয়ে, বিভিন্ন সাহিত্য গ্রুপে এবং কিছু পত্রিকায় লিখে গেছেন একের পর এক গল্প, কবিতা। এবারে চৌদ্দটি গল্প নিয়ে তিনি প্রকাশ করলেন গ্রন্থ 'কাপুরুষ'। 

জন্ম ১০ই ডিসেম্বর, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়ি গ্রামে। মিশনারী স্কুলের সময়টা ছিল সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য উর্বর ক্ষেত্র। কবিতা দিয়ে লেখালেখির হাতেখড়ি। দশম শ্রেণিতে পড়াকালীন নিজের লেখা নাটক পরিচালনা এবং বন্ধুদের নিয়ে মঞ্চস্থ করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। দীর্ঘ বিরতি শেষে সাম্প্রতিককালে আবার ফিরেছেন ভালোবাসার আপন ভুবন লেখালেখির জগতে। পাশাপাশি শিক্ষকতাকে বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। 
এছাড়াও বই পড়া, ছবি তোলা, আবৃত্তি এবং ভ্রমণ রয়েছে পছন্দের তালিকায়।

এই লেখকের আরো বই