চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

যশোহর খুলনার ইতিহাস- ২য় খণ্ড

    যশোহর খুলনার ইতিহাস সতীশচন্দ্র মিত্রের লেখা এটি ঐতিহাসিক গ্রন্থ। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯১৪ সালে। এ পর্যন্ত বইটির তিনটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। বইটি প্রথম প্রকাশের সাথে সাথে লেখক এটি কপি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উপহার দেন। কবি তাঁর শত ব্যস্ততার মাঝেও বইটি পড়েন এবং লেখককে একটি পত্র লিখেন। সেই পত্রে কবি বলেন, “ ইতিহাস জাতির গৌরব ঘোষণার জন্য নহে-সত্য প্রকাশের জন্য। বস্তুত সেই কাজটিই লেখক অতি যত্ন সহকারে করেছে। ” বইটি দুটি খণ্ডে বিভক্ত। বইটি প্রকাশের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়। যশোহর-খুলনার ইতিহাস । নামের উৎপত্তি ।—যশোহর নামের উৎপত্তি লইয়া অনেক কথা আছে ; এখন যে সহরকে যশোহর বলে, তাহা হইতে প্রাচীন যশোহর নগরী বহুদূরে অবস্থিত। প্রাচীন সেই প্রকৃত যশোহর এখন খুলনার মধ্যে। সে যশোর এক প্রাচীন স্থান এবং সেস্থান যে রাজ্যের মধ্যে সংস্থিত, তাহারও নাম যশোর। ইহার নাম যশোর হইল কেন, তাহ নিশ্চিতরূপে বলা যায় না। আরবী জসর বা যশোর শব্দে সেতু বুঝায়। যশোর জলবহুল দেশ বলিয়া এই অর্থে তাহার নামোৎপত্তি হইয়াছে, ইহাই সুপ্রসিদ্ধ কানিংহাম সাহেবের ধারণা। ৯ কিন্তু মুসলমান অধিকারের পূর্ব হইতে যশোর নামের উল্লেখ দেখা যায়। যশোর একটি পীঠস্থান ; পীঠস্থানের তালিকায় যশোরের নাম আছে। + অন্তান্ত প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থে যেখানে যশোর রাজ্যের প্রসঙ্গ আছে, সেখানে যশোর নামই দৃষ্ট হয় ; “যশোহর” নাম নাই। প্রতাপাদিত্য এই যশোর রাজ্যের রাজা হইয়াছিলেন। বর্তমান খুলনা জেলার দক্ষিণাংশে অবস্থিত কালীগঞ্জ হইতে ১২ মাইল দক্ষিণে সুন্দরবন অঞ্চলে তাহার রাজধানী ছিল। সে রাজধানীর নামও যশোর ; এই রাজধানীর অন্তর্গত ঈশ্বরীপুর নামক স্থানে এখন যশোরেশ্বরী দেবীর পীঠমন্দির ও মূৰ্ত্তি আছে।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
t

এই লেখকের আরো বই