চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা

    "রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: প্রিয়জন হত্যার কঠিন ও নির্মম স্মৃতি ধারণ করে বাঁচতে হয় ভবিষ্যতের পানে তাকিয়ে। শােকাবিহ্বল হওয়া সত্ত্বেও মানুষ কতটা চিত্তের প্রবল শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সকল চক্রান্তের মুখে কঠিনভাবে দৃঢ়তার সাথে দাঁড়িয়ে দেশমাতকার সেবায় নিয়ােজিত হতে পারেন, দেশবাসী আজ এমনি এক মহিয়সী নারীর কথা বলছে। কিংবা বলিষ্ঠ চিত্তের, যে মানুষটিকে সম্পূর্ণ বিপরীত এবং ক্রোধ উন্মুক্ত প্রতিপক্ষের মােকাবিলায় অবিচল এবং বস্তুনিষ্ঠ মানসিকতায় দৃঢ় থাকতে দেখেছি, তাকে ডাকতে পারা যায় ‘শেখ হাসিনা' নামেই। পারিবারিক বিয়ােগ-ব্যথা যেখানে ১৫ আগস্টের মতাে এক বীভৎস নির্মম, প্রতিহিংসাপরায়ণ নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস, সেখানে পরিবারের এতগুলাে প্রিয়জন, এমনকি ছােট্টমণি রাসেলসহ হত্যাকাণ্ড ঘটনার পর থাকা দুটি বােন—শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, আজও নির্ভয়ে পরিবারের সাথে তেমনি দেশের হাল ধরতে নির্যাতন, নিপীড়ন, দুঃখ কষ্ট জয় করে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেছেন। তাই নিষ্ঠুর প্রতিপক্ষ হন্তারকগােষ্ঠী তাকেও প্রাণে মারার কত না ফন্দি এঁটেই চলেছে-যার নিকৃষ্টতম দৃষ্টান্ত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা। এরপরও শেখ হাসিনা জনগণের সম্পদ, দেশ মাতৃকার প্রবল সাহস এবং সামনে চলার পথ প্রদর্শক, শঙ্কাহীন অভিযাত্রী। তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ তার অফুরন্ত প্রাণশক্তি অমলিন দেশপ্রেম, সত চৈতন্যবােধ এবং দেশ মাতকার প্রতি আনুগত্য আর সাধারণ মানুষের উপর অগাধ বিশ্বাস। যিনি নানা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নিঃশঙ্কচিত্তে দেশপ্রেমের পরীক্ষাই দেননি কেবল, সকল বাধা অতিক্রম করে গণবিরােধী চক্রের গােপন শলা-পরামর্শে, ভয়াবহ পরিস্থিতিতে, তার বিরুদ্ধে ‘আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ানাে’ মানুষের মতন যে নারী কঠিন বিচক্ষণতা এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছিলেন, তিনিই আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। দেশপ্রেম আসাম্প্রদায়িক চেতনা যাকে নিরন্তর সামনে এগিয়ে চলার অপার শক্তি জোগান দেয়, তাকেই বলি ‘রষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা’।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
ড. আনু মাহ্‌মুদ
আনু মাহমুদ তরুণ অর্থনীতিবিদ, প্ৰবন্ধকার, কলাম লেখক ও গ্রন্থকার হিসেবে ইতোমধ্যে বেশ পরিচিতি অর্জন করে সুধী পাঠক সমাজে একটি স্থান আয়ত্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও তিনি তার কর্মপরিসরে সরকারি কর্মকর্তা ও এ্যাডমিনেস্ট্রেটিভ সার্ভিসের সদস্য হিসেবে মোঃ মাহমুদুর রহমান নামেই সমধিক পরিচিত। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সরকারের উপসচিব এবং জাতীয় গ্ৰন্থকেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আনু মাহমুদ বেশ সময় ধরে লেখা-লেখির সাথে জড়িত রয়েছেন এবং অনেক চড়াই উৎরাই করে দীর্ঘ পথ পরিক্রমার মাধ্যমে পরিস্ফুটিত হয়েছেন গ্রন্থকারের বর্তমান অবস্থানে এবং সংগ্রহের ঝুলিতে অর্জন করেছেন আর্থ-সামাজিক সমস্যা সম্পর্কিতসহ বহু বিষয় ভিত্তিক গ্রন্থের সফলতা, যা ইতোমধ্যে পাঠক সমাজে বেশ সমাদৃতও হয়েছে। তাঁর লেখালেখির শুরু হয়েছে সেই ছাত্র অবস্থা থেকে, আর তা ক্ৰমান্বয়ে শিকড় গেড়ে পত্র পল্লবে শোভিত হয়ে শাখা বিস্তার করে বর্তমানে রূপ নিয়েছে কাণ্ডে, বৃক্ষে। কিন্তু তার প্রত্যাশা রয়েছে একে ব্যাপক প্রসার ঘটিয়ে এক বিরাট বটবৃক্ষের রূপ দেয়ার। লেখালেখির জগতে যেমন জড়িযে আছেন তেমনি আর্থ-সামাজিক সংগঠনের সাথে। তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা মাহমুদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তাদের দুই সন্তান চাঁদনি ও ইযু। তিনি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য, জনাব মজিবর রহমান তালুকদারের দ্বিতীয় সন্তান।

এই লেখকের আরো বই