চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

স্ট্রং সাইকোলজিক্যাল প্যাকেজ (হার্ডকভার)

    ডোপামিন ডিটক্স:--- আপনি কি কোন কাজ করতে গড়িমসি করেন ? প্রায়শই নিজের ভেতরে অস্থিরতা অনুভব করেন এবং এ জন্য হাতে থাকা কোন কাজে ফোকাস করতে পারছেন না ? আপনার জীবন ইতিবাচক পরিবর্তন করতে পারে এমন গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যগুলো আপনাকে আকৃষ্ট করতে পারছে না ? যদি তাই হয় , খুব সম্ভবত আপনার প্রয়োজন হতে পারে ডোপামিন ডিটক্স । আজকের এই দুনিয়ায় আমাদেরকে বিক্ষপ্ত করার উপাদান এত বিস্তৃত যে আমাদের ফোকাস করার বা লক্ষ্যে মনস্থির করার ক্ষমতা অনেক দুষ্প্রাপ্য বস্তু হয়ে গিয়েছে । মনের অজান্তেই আমরা প্রভাবিত হচ্ছি অথবা অস্থির হয়ে পড়ছি । আমাদের গোল বা লক্ষ্য অর্জনের জন্য যখন আমাদের মূল কাজে ফোকাস হবার দরকার তখন আমরা প্রায়ই দেখতে পাই অপ্রয়োজনীয় অন্য কাজ করার ইচ্ছা আমাদেরকে পেয়ে বসে । আমাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য যেসব করা দরকার তার বদলে আমরা হয় হাঁটতে বেড়িয়ে পড়ি, অথবা কফি নিয়ে বসি ,বা তখনি আমাদের ইমেইলগুলো চেক করবার কথা অথবা ফাইলগুলো সাজানোর কথা মনে পড়ে যায়। আমাদের যা একান্তভাবে সেসময় করা দরকার ছিল সেটা ছাড়া বাকি সব কিছু করাকে আমাদের চমৎকার আইডিয়া বলে মনে হয়। প্রতিদিন এই একই ধারা চলতে থাকার কারনে আমাদের জন্য যা সবচেয়ে বড় লক্ষ্য বা আজীবন দেখে আসা স্বপ্ন ছিল সেটি হাত ফসকে যেতে থাকে । আমরা যতটুকুর যোগ্য তার চেয়ে অনেক কম অর্জন করি, যতটুকু দরকার তারচেয়ে অনেক কম পারফর্ম করতে পারি । ভেতর থেকে আমরা এই অবস্থাটা বুঝতে পারি এবং আমাদের আত্মসম্মান ক্ষয়ে যেতে থাকে । ফলশ্রুতিতে আমাদের ভেতরে জন্ম নেয় হতাশা , নিরাশা , উদাসীনতা , হিংসা এমনকি রাগের । কিন্তু ব্যপারটা এমন হবার ছিল না । পাওয়ারফুল ফোকাস:--- মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা হল সব থেকে মূল্যবান সম্পদগুলোর মধ্যে একটি যা আপনি কখনও বিকাশ করবেন। আপনি যখন আপনার সব থেকে উত্তেজনাপূর্ণ লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য এটি ব্যবহার করেন, তখন আপনি সাফল্যের এইরকম স্তরে পৌঁছাতে পারেন যা আপনি কখনই কল্পনা করেননি। প্রায়শই, একজন গড় ব্যক্তি এবং একজন অত্যন্ত সফল ব্যক্তির মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে তাদের মনোযোগের স্তর। সফল ব্যক্তিরা জানেন যে তারা কী চান এবং তাদের লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য মনোযোগ সব জায়গায় রাখেন।দীর্ঘ সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে এটি করার কারণে, তারা তাদের উত্পাদনশীলতাকে নির্দেশ করে এবং তাদের বেশিরভাগ লক্ষ্যগুলো অর্জন করে। আপনার খবর কি? আপনি কি আপনার মনোযোগের গুরু নাকি বিক্ষিপ্ততার দাস? গভীর মনোযোগ দেয়ার মাধ্যমে, আপনি কীভাবে বিক্ষিপ্ত থেকে লেজার-শার্প মনোযোগে যেতে হয় তা মাত্র সাত দিনের মধ্যে শিখবেন। প্রতিদিন, আপনার মনোযোগ শক্তিশালী করার জন্য আপনাকে ব্যায়াম দেওয়া হবে। সাত দিন শেষে, আপনি ফোকাস কি সে সম্পর্কে আপনি গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন, কিভাবে মনোযোগ কাজ করে এবং আপনি আপনার পরিচিত সবচেয়ে মনোযোগী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হয়ে উঠবেন। ১ম অংশে, স্পষ্টতা অর্জন করতে, আমরা আপনার দৃষ্টি সংশোধন করার জন্য কাজ করব। আপনি একটি পরিষ্কার দৃষ্টিভঙ্গি বিকাশ করার মাধ্যমে, আপনি আজ, এই সপ্তাহে, এবং এই মাসে কাজ করার জন্য মূল কাজগুলিকে আরও ভালভাবে সনাক্ত করতে সক্ষম হবেন। আপনি যত বেশি স্পষ্টতা অর্জন করবেন, মনোযোগ দেয়া আপনার জন্য তত সহজ হবে। ১-১৫ দিনের প্রশ্নগুলো আপনি কি চান তা চিহ্নিত করার জন্য ২য় দিন -আপনি কি চান তার স্পষ্টতা অর্জন করা ৩য় দিন- আপনার কি করা প্রয়োজন সেই বিষয়ে স্পষ্টতা অর্জন করা ৪থ দিন- এটা কিভাবে করা উচিত সেই সম্পর্কে স্পষ্টতা অর্জন করা ২য় অংশে, বিক্ষিপ্ততা এবং বাঁধা দূর করে, আপনি কিভাবে আপনার চারপাশের সমস্ত বিভ্রান্তি দূর করবেন আবিষ্কার করুন এবং লেজার-তীক্ষ্ণ মনোযোগ বিকাশ করুন। আপনি সহজসাধ্য করা শিখবেন। আপনি এটি করার সাথে সাথে, আপনি আপনার দিনের নিয়ন্ত্রণ আরও বেশি উপলব্ধি করবেন। এখানে আমরা কি শেষ করব: ৫ম দিন- সহজসাধ্য করা ৬ষ্ঠ দিন- অকেজো প্রবেশ হ্রাস করা ৭ম দিন- ঘর্ষণ এবং শক্তির অপচয় দূর করা ভালো শোনাচ্ছে তাই না? যদি তাই হয়, চলুন শুরু করা যাক, আমরা কি? মাস্টার ইয়োর ইমোশনস:--- আপনি কি নিজের নেতিবাচক অনুভূতিগুলোকে দমন করতে চান? নিজেকে যথেষ্ট সামর্থ্যের অধিকারী মনে হয় না? দুশিন্তা প্রতিহত করতে আপনার কি সাহায্য দরকার? নেতিবাচক আবেগ দমনের উপায় হলো আপনার আবেগ কিভাবে কাজ করে তা বোঝা ও নির্দিষ্ট কৌশলের সাহায্য সে আবেগকে ইতিবাচক প্রভাবে কাজে লাগানো। এই বই থেকে, যা যা জানতে পারবেনঃ নিজের মনকে পুনরায় গড়ে তোলার একটি সহজ সূত্র যাতে আপনি ইতিবাচক আবেগের সাথে বেশি সম্পৃক্ত হতে পারেন। নেতিবাচক মনোভাবকে পরাজিত করার ৩১ টি কার্যকরী কৌশল। নিজের জীবনের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিতে কিভাবে উদ্দেশ্য পরিবর্তন করবেন। দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত রক্ষণশীল মনোভাব, হিংসা, ভয় ও অনান্য নেতিবাচক মনোভাব মোকাবিলা করার বাস্তবিক চর্চা। কিভাবে নিজের আবেগ ব্যবহার করে আত্ম-উন্নতি সাধন গতিশীল করবেন। এবং আরো অনেক কিছু। আপনার আবেগের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলার জন্য “মাস্টার ইউর ইমোশন” একটি বাস্তব চর্চার প্যাকেজ। তাই, যদি নেতিবাচক আবেগকে পরাজিত করতে চান, নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান এবং একটি ইতিবাচক ও শান্তিপূর্ণ জীবন কাটাতে চান তাহলে এখনি বইটি কিনে ফেলুন। স্ট্র্যাটেজিক মাইন্ডসেট:---- আপনি কি কোনো কাজে মনোযোগ দেওয়ার সব থেকে ভালো উপায় খুঁজে পেতে অক্ষমতা অনুভব করেন? সফলতা পেতে হলে অনেক বেশি কঠোর পরিশ্রম করতে হয় এই অতিকথায় কি আপনি ডুবে আছেন? জীবনের প্রতিটি কাজ, প্রতিটি পদক্ষেপ সর্বোচ্চ কার্যকরিতার সাথে সম্পন্ন করে একজন ভালো প্রোডাক্টিভ মানুষ হয়ে উঠতে চান? তাহলে বইটি আপনার জন্য। আপনার হাতে দুইটি অপশন আছে। প্রথম, লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে থাকা অথবা দ্বিতীয়, স্মার্ট মানুষের মতো সবচেয়ে কার্যকর কৌশল অবলম্বন করে স্মার্ট কাজ করা। কোনটা বেছে নিবেন? আমার মতে দ্বিতীয় অপশন বেছে নেওয়া উচিত। দ্বিতীয় অপশন কেন বেশি কার্যকর এবং কেন বেছে নেওয়া উচিত তা এই বইয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ বইয়ের কিছু গুরুত্বপুর্ণ অংশ একটি উপযুক্ত কার্যকর কৌশল ছাড়া প্রোডাক্টিভিটি বা উৎপাদনশীলতা অর্থহীন। এই কারণেই আপনাকে অবশ্যই কৌশলগতভাবে চিন্তা করতে হবে। একটি দাবা খেলায় জয়লাভ করার জন্য আপনাকে যেমন পরবর্তী চাল নিয়ে ভাবতে হয়, তেমনি উত্পাদনশীলতার খেলায় জেতার জন্য আপনাকে পরবর্তী মাস, বছর বা এমনকি দশক আগেও চিন্তা করতে হবে। আজকের সমাজে, সবাই বেশি বেশি পরিশ্রম করতে মগ্ন। ব্যস্ততা সম্মানের প্রতীক হয়ে উঠেছে। আমরা আমাদের চারপাশের লোকদের দেখাতে চাই যে আমরা কতটা উত্পাদনশীল। আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের দেখতে চাই যে আমরা অন্য সবার চেয়ে কতটা ব্যস্ত। লক্ষ্য যদি সঠিকভাবে নির্ধারণ না করেন তাহলে আপনি কখনোই সে লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন না। সম্প্রসারণের আগে সংকুচিত করুন। আপনি যদি ভুল জিনিস নিয়ে কাজ করেন তবে দক্ষ হয়ে কোনো লাভ নেই। কাজে নেমে পড়ার আগে সর্বোত্তম উপায় বিবেচনা করার জন্য মাত্র কয়েক মিনিট সময় নিলে তা দীর্ঘমেয়াদে আপনার অনেক সময় বাঁচিয়ে দিতে পারে।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
t

এই লেখকের আরো বই