চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

কাজী নজরুল ইসলাম কলেজের ইতিবৃত্ত

    অধ্যাপক মসিউল আযম শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক হিসাবে বিশেষ খ্যাতিমান। তাঁর খ্যাতির তালিকায় আরেকটি বিশেষন যুক্ত হলো। তিনি একজন ইতিহাসবিদ। কাজী নজরুল ইসলাম কলেজের ইতিহাস গ্রন্থটি তাঁর স্বাক্ষর বহন করে। বিশিষ্ঠ শুভার্থী সমাজসেবী জনাব তাবারক হোসেন এই কাজী নজরুল ইসলাম কলেজের একজন সফল স্বপ্নদ্রষ্টা। অধ্যপক মসিউল আযম এবং অধ্যক্ষ ইব্রাহিম হোসেন বিরতিহীন অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়ে কলেজ স্থাপনের স্বপ্নটি বাস্তবায়িত করেছেন। তাদের এই কর্মযজ্ঞে উদার সহযোগীতা দিয়েছেন এবং সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন বেশকিছু রাজনীতিবিদ ও শুভার্থী সমাজসেবী ব্যাক্তিবর্গ। সংশ্লিষ্ঠ সকলের অবদান এই গ্রন্থে সবিস্তারে বর্ণনা করা হয়েছে। মানব সম্পদ উন্নয়নে কলেজের শিক্ষকদের আন্তরিক পরিচর্যা বিশেষভাবে স্বরণীয়। সংক্ষিপ্ত বর্ণনায় তা পরিবেশন করা হয়েছে। তাদের শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতির অগ্রগতিতে পালন করে চলেছে। উজ্জ্বলতর ভূমিকা। জ্ঞান বিতরনের পাশাপাশি মাদক মুক্ত প্রজন্ম গঠনে কলেজটি পালন করেছে সমুজ্জল একটি ভূমিকা। আশা করা যায় মহান আল্লাহ তা'লার অপার রহমতে কাজী নজরুল ইসলাম কলেজের সম্ভাবনাময় ইতিহাসটি আরো বিকশিত ও প্রশারিত হতে থাকবে, যা দেশ ও জাতির চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারবে।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
অধ্যাপক মো: মসিউল আযম। 
একজন আলোকিত মানুষ। একাধারে  শিক্ষকতা, সাংবাদিকতা, সাহিত্যসেবী, সমাজসেবী,  কলাম লেখক, উন্নয়নকর্মী, পরিবেশবাদী, মানবাধিকার কর্মী।  ১৯৪৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম মকছেদ আলী এবং মাতা-মরহুমা মাজেদা খাতুন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা গ্রামে। 

তিনি ১৯৬৩ সালে মুসলিম একাডেমী, যশোর থেকে এস.এস.সি,  ১৯৬৫সালে এম. এম কলেজ, যশোর থেকে এইচ.এস.সি, ১৯৬৮ এম.এম কলেজ,যশোর থেকে  বি.এ (অনার্স) এবং ১৯৬৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ (বাংলা ভাষা ও সাহিত্য) ডিগ্রী অর্জন করেন। 
১৯৭০ সালে নিজ এলাকায় প্রতিষ্ঠিত কাজী নজরুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজে বাংলা সাহিত্যের একজন প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সুদীর্ঘ ৩৩ বছর একই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতায় নিয়োজিত থাকার পরে  ২০০৪ সালে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে চাকুরী জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

ছাত্রজীবন থেকেই সাহিত্য সেবা কাজে হাতে খড়ি। কলেজ জীবনে প্রবেশের পরে  ১৯৬৫-৬৬ সালে যশোর মাইকেল মধূসুদন কলেজ থেকে প্রকাশিত দেয়াল পত্রিকা ‘শঙ্কচুড়’ এর সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭-৬৮ সালে কলেজের ছাত্র সংসদের সাহিত্য ও পত্রিকা সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন।
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি সাংবাদিকতা জীবনে প্রবেশ করেন। ১৯৬৩-৬৫ সালে যশোর জেলা পরিষদ থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক ‘জনকল্যাণ’ পত্রিকার কলেজ প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা র জগতে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি যশোর হতে প্রকাশিত মাসিক শতদল সম্পাদনা, দৈনিক স্ফুলিঙ্গ, দৈনিক ঠিকানা, গণদাবী ঢাকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পূর্বদেশ, চিত্রালী, জাতীয় দৈনিক আজাদ, দৈনিক বাংলার বাণী, দৈনিক দেশ, দৈনিক ইনকিলাব প্রভূতি পত্রিকায় যশোরস্থ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন।

সদা হাস্যময়, সদা কর্মব্যস্ত মানুষটি বার্ধক্যে উপনীত হলেও মনে প্রাণে আজও চিরতরুণ। তাঁর ভাষায় ঃ রিটায়ার্ড করেছি, কিন্তু টায়ার্ড হইনি। এখনও পর্যন্ত সময় সচেতনতা সকলের জন্য বিশেষ করে যুব সমাজের জন্য রীতিমত ঈর্ষনীয় এবং অনুসরণযোগ্য। কেলবমাত্র দলীয় রাজনৈতিক সংগঠন ছাড়া যশোর জেলার বহু সামাজিক, সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কমিটিতে একজন সম্মানিত নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর অন্তর্ভুক্তি ও পদচারনা আজও অব্যাহত। 
একজন আলোকিত মানুষ হিসেবে সমাজে অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ তিনি বিভিন্ন সময়ে অনেক পদক ও সম্মাননা লাভ করেছেন। তন্মধ্যে ১৯৯৭ সালে ১৫ জুন সমাজ সেবায় অবদানের জন্য “মাহাত্মা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড”, ১৯৯৭ সালে ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর হতে ব্যক্তি পর্যায়ে পরিবেশ পদক, ২০১৫ সালে ২৬ আগষ্ট অগ্নিবীনা প্রদত্ত “জাতীয় কবি সাদা মনের মানুষ সম্মাননা” , ২০১৫ সালে ২ জানুয়ারী জাতীয় সমাজসেবা দিবসে যশোর জেলা সমাজসেবা দপ্তর কর্তৃক “ব্যক্তি পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সমাজকর্মী পদক”, ২০১৫ সালে ৫ মার্চ প্রটেকটিং (পি.এইচ.আর) কর্তৃক মানবাধিকার চ্যাম্পিয়ন পদক, ১৯৯৫ সালে মুন্সী মেহেরুল্লাহ পদক, ২০১০ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর যশোর প্রেসক্লাব আয়োজিত বৃহত্তর যশোর জেলায় সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য সম্মাননা, ২০১০ ও ২০১১ সালে মাদক বিরোধী সচেতনতায় অবদানের জন্য সম্মাননা এবং ২০০৪ সালে জাতীয় শিক্ষক দিবসে যশোর জেলা প্রশাসন কর্তৃক কৃতি ও প্রবীন শিক্ষক হিসেবে সম্মাননা ইত্যাদি। 
২০১৯ সালে তিনি পবিত্র ওমরাহ হজ্জ পালন করেছেন। এছাড়া শিক্ষামূলক ও শুভেচ্ছা সফরে রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, নেপাল, ভারত প্রভৃতি দেশ সফর করেছেন।

এই লেখকের আরো বই