চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

১০৭৯ দিনের চুয়াডাঙ্গা

    মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রয়োজন হয় বহুমাত্রিক নিরাপত্তার। পুলিশের জন্য নির্ধারিত সকল মূল কাজের বাইরেও অনেক কাজে তাকে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে এবং বিভিন্ন সমস্যার তড়িৎ সমাধান করতে হয়। অন্যান্য এজেন্সি যেখানে ব্যর্থ হয়, পুলিশ সেখান থেকেই তার কাজ শুরু করেন। মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের সাথে সাথে অপরাধের ধরন ও প্রকৃতিতে ভিন্ন মাত্রা দেখা যায়। সুতরাং পুলিশকেও তার কাজের ধরন ও স্টাইল যেমন পরিবর্তন করতে হয় তেমনি মানুষের উন্নত সেবা এবং নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হয়। সময় ও ঘটনার প্রেক্ষাপটে চ্যালেঞ্জিং অভিজ্ঞতা নিয়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও সিদ্ধান্তের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর (অভিযোজন) প্রক্রিয়াতে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে অত্যন্ত পারদর্শী হতে হয়। থানা পরিক্রমা, অপরাধ দমনে সাফল্য, উন্নয়ন সংস্কার, জাতীয় দিবসসমূহ, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কোভিড-১৯ মোকাবেলাসহ নানা ধরনের মানবিক ও জনকল্যাণমুখী কার্যক্রম ইত্যাদি বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপারের বাস্তব অভিজ্ঞতাভিত্তিক রোজনামচা হলো ১০৭৯ দিনের চুয়াডাঙ্গা গ্রন্থটি।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
মোঃ জাহিদুল ইসলাম
মোঃ জাহিদুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা ১৯৭৮ খ্রি.. মাগুরা জেলার বেরইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তাঁর পিতা শরাফ‍ হোসেন ব্যবসায়ী, মাতা মিসেস পারুল হোসেন ছিলেন গৃহিনী।

১৯৯৩ মি. মাগুরা ভোলার বেরইল বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে স্টার মার্কসসহ (বৃত্তিপ্রাপ্ত) এসএসসি পাশ করেন। ১৯৯৫ খ্রি. সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এএ) বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হতে বৃত্তিপ্রান্ত হয়ে এইচএসসি পাশ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়োর মার্কেটিং বিভাগ থেকে ১৯৯৯ ও ২০০০ বিভিন্ন (৩.৫৩) এবং এমবিএ (৩.৬৯) ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ২০০২ খ্রি. শিক্ষা জীবনের সমাপ্তিতে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেডামেন্ট ট্রেইনি অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।

২০০৩ সালে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়োর ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে লেকচারার হিসেবে তিনি কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। ২০০৫ খ্রি. তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ২০০৫ খ্রি. ২৪তম বিসিএস-এর মাধ্যমে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে নিয়োগ লাভ করেন।

তিনি বাংলাদেশ পুলিশ দায়িত্ব যেমন সহকারী পুলিশ আপনার, ডিএমপি (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ); কারী পুলিশ সুপার, সাইবার ক্রাইম স্কোয়াড, সিআইডি, বাংলাদেশ পুলিশ, ঢাকা: সিনিয়র সহকার পুলিশ কমিশনার, সদর সার্কেল, জামালপুর: সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশন, সুদান, সরকারী পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ); অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ব্রহ্মণবাড়িয়া ও মৌলভীবাজার, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি: পুলিশ সুপার, ইস্তাসিমা পুলিশ, নারায়ণগঞ্জ, পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা সুনাম ও কৃতিত্বের সাথে পালন করেন।

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মকালে তিনি অভিমারি করোনা সংকট মোকাবেলায় ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও লোমহর্ষক মামলার রহস্য উদ্ নানা ধরনের ইনোভেটিত কার্যক্রমের মধ বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হন। ২০১৯ হতে ২০২২ খ্রি. আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমনে দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও অপরাধ দমন কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় তাঁর নেতৃত্বেজেলা পুলিশ সর্বাধিক ১৩ বার খুলনা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ জেলা হিসেবে পুরস্কার লাভ করে।

২০২১ খ্রি. পুলিশ সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীর অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক "বিপিএম-সেবা লাভ করেন

এই লেখকের আরো বই