চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

ব্র্যাকের ইতিহাস

    ১৯৭২ সালে সদা স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের অসহায় মানুষের সাহায্যকালে এক গণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচীর মাথামে আরমাণ করে। বিগত তিন দশকে তিনটি আননি । পতনের মাধ্যমে আয় একটি সামনে এসে দাঁড়িয়েছে, যার পরিচিতি এখন যশোর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে। দেশের যাট হাজারের বেশী থাকে ব্যাক : স্বাস্থ্য ক্ষুদ্রঋণ ও অন্যান্য উন্নয়ন কমকি ও পরিচাল। করছে। তাছাড়া বহিবিশ্বেও ঘটিয়েছে র্মক্ষেত্রের বিস্তৃতি-যার মূল উদ্দেশ্য একটি অতলানি স্বাস্থ্যোজ্জ্বল গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা। যেখানে মানুষ ধর্ম ও জাতিভেদে !, মরি অবক্ষয় ও শােষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্ত থাকেন। ব্র্যাকের মূল লক্ষ্য সমাজের দরিদ্রা, শিক্ষা, রােগব্যাধি ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কাজ করা বই: উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে দরিদ্র জনগােষ্ঠির জীবন মানের একটি ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানাে। তাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, মানবিক মর্যাদা এবং জেন্ডারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা। এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে ব্র্যাক সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তাছাড়া সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে নীতি-পরিবর্তনের লক্ষ্যে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। উন্নয়ন একটি জটিল প্রক্রিয়া। এ জন্য প্রয়ােজন শিক্ষা, অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার বিনিময় এবং দরিদ্র জনগােষ্ঠির চাহিদার প্রতি সজাগ দৃষ্টি। ব্র্যাক অভ্যন্তরীণভাবে তার সাংগঠনিক উন্নয়নের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরােপ করে। একই সাথে সমাজের সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে সামর্থ্য ও দক্ষতা বিকাশের প্রক্রিয়ায় নিজেকে নিয়ােজিত করেছে। এ জন্য কি চায় সংগঠনের সদস্য ও কর্মীদের যোগ্যতা এবং মানবিক সম্ভাবনার উন্নয়ন ও বিকাশ। পাশাপাশি ব্র্যাক লক্ষ্য অর্জনে দেশের জনগােষ্ঠি, সমমনা সংস্থা, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং দেশী-বিদেশী উন্নয়ন অংশীদারদের সহযােগিতাকে স্বাগত জানায়। ব্র্যাকের সকল কর্মকান্ডের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সমাজ থেকে দারিদ্র বিমােচন, শিক্ষা বিস্তার, স্বাস্থ্য সেবা, অবহেলিত জনগােষ্ঠির ক্ষমতায়ন। এ লক্ষ্যে অর্জনে ব্র্যাক বিভিন্ন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। পল্লীর দরিদ্র জনগণকে সংগঠিত করে তাদের সচেতন করে তােলা, সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা, ঋণ প্রদানের মাধ্যমে বিভিন্ন উপার্জনমূলক কাজে জড়িত করে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করা, দুঃস্থ মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান ইত্যাদি এ কর্মসূচীর উল্লেখযােগ্য দিক। এসব প্রচেষ্টার মূলে রয়েছে ব্র্যাকের নিবেদিত প্রাণ দক্ষ কর্মী বাহিনীর অক্লান্ত পরিশ্রম। এই গ্রন্থে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠা, বিগত তিন দশকের সাফল্য, ব্যর্থতা ও সম্ভাবনার খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। যা থেকে ব্রাকের ধারাবাহিক কর্মকান্ডের বিস্তারিত বিবরণ জানা যাবে
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)

আসাদুজ্জামান আসাদ

দেশাত্মবোধ ও দেশপ্রেমের শুদ্ধ দর্শনে লালিত বাংলাদেশের একজন বহুমাত্রিক গুণসমৃদ্ধ, নিবেদিতপ্রাণ লেখক, গবেষক ও মুক্তিযোদ্ধা। বিভিন্ন সমৃদ্ধ গবেষণা গ্রন্থের পাশাপাশি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অনেকগুলি সফল গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। ইতিহাস রচনা ও গবেষণার ক্ষেত্রে আসাদুজ্জামান আসাদ পাঠক মহলে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন। উপমহাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তাঁর লেখালেখির প্রধান বিষয়। এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৫০টি। বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী। জন্ম ১৯৬০ সালে নড়াইলে। বাবা আলী আহম্মেদ ভূঁইয়া, মা রিজিয়া বেগম। তিন বছর বয়সে পিতৃহীন। শৈশব ও কৈশাের কেটেছে লোহাগড়া থানার সারোল ও তালবাড়িয়া গ্রামে। যৌবনের শীর্ষ সময় থেকেছেন যশোর শহরে। লেখালেখি করছেন চার দশক। 

১৯৬৮ সাল থেকেই তিনি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও ৭০ সালের নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা ছিলো। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ জীবনের প্রধান ঘটনা। 

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের সঙ্গে সঙ্গে সঠিক নির্দেশনা পেয়ে এবং মুক্তি যুদ্ধের জন্য সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য ট্রেনিং নিতে আরম্ভ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে আট নং সেক্টরের অধীনে তিনি যুদ্ধ করেন। লোহাগড়া থানা আক্রমণ ও দিঘলিয়া বাজারে পাক বাহিনীর ঘাঁটি নির্মাণে কোলা গ্রামে পাক সেনা ও রাজাকারদের কঠোরভাবে প্রতিরোধ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের কঠোর প্রতিরোধের মুখে কয়েক ঘন্টা  যুদ্ধের পর পাক বাহিনী পিছু হঠতে বাধ্য হয়। এছাড়া ভাটিয়া পাড়ায় পাক বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি আক্রমণে অংশগ্রহণ করেন। যশোরের কাছে দাইতলা নামক স্থানে পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। এরপর লোহাগড়া থানার কুমড়ি গ্রামে নকশালপন্থীদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের ভয়াবহ যুদ্ধে অংশ নেন। 

চিন্তায় ও মননে লালন করেন গ্রামীণ লোকজ সংস্কৃতি । প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অসমাপ্ত। কর্মজীবন ব্যাপক বৈচিত্রময়। বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান। বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানের প্রধান। অপছন্দ কৃত্রিম অহমিকা, উগ্র আধুনিকতা, শহুরে জীবন। রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ব্যবস্থার প্রতি তীব্র ক্ষোভ। দেশপ্রেম প্রধান আদর্শ। ঘৃণা করেন। রাজনীতিকদের দল বদল । শ্রদ্ধা করেন মুক্তিযােদ্ধাদের । প্রিয় ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু, নেতাজী ও এস এম সুলতান। প্রাচীন বাংলা গান ও মঞ্চ নাটকের প্রতি প্রবল আকর্ষণ। রবীন্দ্রনাথের গান আর জীবনানন্দের কবিতায় নিজেকে খুঁজে পান। নজরুলের রচনায় উদ্দীপ্ত হন। হারিয়ে যাওয়া দিন আর পাহাড়ের প্রতি প্রচণ্ড দুর্বলতা। প্রিয় ঋতু বর্ষা। সখ রিক্সায় ঘােরা, ভ্রমণ করা ও কলম কেনা। প্রিয় অনুভূতি শীতের প্রারম্ভে আর বসন্তের আগমনে। সহ্য করতে পারেন না অবজ্ঞা ও অবহেলা। শ্রেষ্ঠ সম্পদ বাল্যকালের স্মৃতি। প্রিয় খেলা ফুটবল। ভালোবাসেন শিমুল, বকুল, অশোক আর কদম ফুল । প্রিয় খাবার পান্তাভাত ও ঝালমুড়ি। সংসার জীবনকে ভাবেন। অন্যরকম বন্দীশালা। ভাগ্য বিশ্বাস করেন না। থাকতে চান। নিভৃতে-একাকী। 

তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ:

মুক্তিযুদ্ধ ও মিত্রবাহিনী, মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবী সমাজের রাজনৈতিক ভূমিকা, স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমি, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও শরনার্থীর শিবির , একাত্তরের সন্ধানে, মুক্তিযুদ্ধ সমগ্র,যশোর জেলার ইতিহাস, সশস্ত্র সংগ্রাম ১৯৭১,একাত্তরের গণহত্যা ও নারী নির্যাতন, শিল্পী এস.এম. সুলতান, সশস্ত্র সংগ্রাম, একাত্তরের সন্ধানে, ছোটদের বাংলাদেশ, সাম্প্রদায়িক চিন্তাধারা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমি, মুক্তির সংগ্রামে বাংলা, মুক্তিযুদ্ধে যশোর, ইতিহাস নির্মাতার মৃত্যু, যুদ্ধ জয়ের প্রস্তুতি,  বিওসি: উত্তরণের ইতিহাস, অন্যরকম বাংলাদেশ ব্র্যাকের ভূমিকা (ব্র্যাকের ইতিহাস), শিল্পী নিতুন কুন্ডু ও অটবি, পুলিশ আইন ও বাংলাদেশের সংবিধান।


এই লেখকের আরো বই