রওশন আরা লিলি।
চিকিৎসক। মানবিক অনুভবে সম্পন্ন, সুপ্রীত। জনসম্পৃক্ত সুচেতনা তার মানস গঠনে সুস্মিত। আর্তজন, দুঃস্থ জন, অভাবী জনের জন্য তিনি আস্থার অবলম্বন। বহুগুনে গুনান্বিত। সমাজকর্মী। নাট্যাভিনেত্রী। বাচিক শিল্পী। দক্ষ উপস্থাপক। সংগঠক। প্রকৃতিপ্রেমী।
জন্ম সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বলদি পাড়া গ্রামে, নানাবাড়িতে। নানা ময়দান আলী মিয়া, প্রধান শিক্ষক, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ছিলেন। পিতা প্রয়াত কে এম মশিউর রহমান, পুলিশ সুপার হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করেছেন। মা প্রয়াত হোসনে আরা রহমান বেলা ছড়াকার ও কবি হিসেবে সুখ্যাত। স্বামী প্রয়াত মোঃ আব্দুল মজিদ বাংলাদেশ রেলওয়ে ল্যাবোরটরীতে চিফ কেমিষ্ট ছিলেন।
কবি রওশন আরা লিলি’র ২ পুত্র ও এক কন্যা। বড় ছেলে রেজাউল করিম মিলন অকাল প্রয়াত। অন্য দুই সন্তান স্ব স্ব ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠ। দ্বিতীয় পুত্র প্রকৌশলী মো. রাশেদুজ্জামান লিপন এবং কন্যা রেহানা পারভিন মিতু।
কবি চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি জনসেবামূলক কাজে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে থাকেন। করোনা কালীন বৈশ্বিক দুঃসময়ে তিনি নিবেদিতভাবে জনমানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
পারিবারিক আবহ সংস্কৃতি চর্চার অনুকূল। সাহিত্য প্রয়াস অন্তর্গতভাবেই প্রোথিত। বর্তমান আবাস এবং চিকিৎসা পেশা প্রধানত নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে। তবে দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য সংগঠনের সাথে তাঁর সম্পর্ক নিবিড়।