চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

তবুও জীবন বহমান

    “তবুও জীবন বহমান।” রওশন আরা লিলি’র প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ। পত্র পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লেখেন। বেশ কয়েকটি যৌথ কাব্যগ্রন্থ লিখেছেন। ফেসবুকে নিয়মিত কাব্যচর্চা করেন। তাঁর অনুরাগী সংখ্যা অগনন। নিজস্ব একটি পাঠক গোষ্ঠি গড়ে উঠেছে তাঁর। জনসম্পৃক্ত মানবিক চেতনার এই চিকিৎসক হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও কবিতায় নিরলস। অধ্যাবসায়ী শ্রমে তিনি নির্মাণ সাধনায় নিয়োজিত। কবিতার অত্যাধুনিকতায় তাঁর আগ্রহ নেই। যাপিত জীবনের অনুষঙ্গই তাঁর কবিতার প্রেরণা। নিরাভরণ সৌন্দর্যে সারল্যপ্রভায় কবিতা নির্মাণ করেন তিনি। মনোজ অনুভব, আবেগ, হৃদয়ানুভূতি তাঁর কবিতার অন্যতম প্রধান উপাদান। প্রেম, বিরহ, মিলন প্রত্যাশা তাঁর কবিতার মূল বিষয়। প্রকৃতি উজ্জ্বল উদ্ভাসে দীপ্যমান। পাখি, বৃক্ষ, নদী, সাগর, চন্দ্রিমা, আঁধার, আকাশ তাঁর প্রিয়তোষ শব্দ। আর দেশ, সমাজ, মানুষ এবং স্বাধীনতার চেতনাও আলো ছড়ায় তাঁর কবিতায়। নিজ জীবনের মতোই তাঁর কবিতা নিরাভরণ সৌন্দর্যের। পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়াস নেই। কাব্যিক ছন্দ, বৈয়াকরণিক জটিলতায় নিজেকে জড়াতে চান না তিনি। নিজের মত করে লিখে চলেছেন। সহজ, অনায়াস, সরলতার বিভূষিত সৌন্দর্যে আপ্লুত তিনি। “তবুও জীবন বহমান” চেনা জীবনের কাব্যিক রূপায়ন। আপনার, আমার সবার জীবনের কথকতা। কাব্যগ্রন্থটি পাঠকপ্রিয় হবে, এটাই প্রত্যাশা। Ñড. সাঈফ ফাতেউর রহমান শিক্ষা ব্যবস্থাপক, কবি ও গবেষক।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
রওশন আরা লিলি।
চিকিৎসক। মানবিক অনুভবে সম্পন্ন, সুপ্রীত। জনসম্পৃক্ত সুচেতনা তার মানস গঠনে সুস্মিত। আর্তজন, দুঃস্থ জন, অভাবী জনের জন্য তিনি আস্থার অবলম্বন। বহুগুনে গুনান্বিত। সমাজকর্মী। নাট্যাভিনেত্রী। বাচিক শিল্পী। দক্ষ উপস্থাপক। সংগঠক। প্রকৃতিপ্রেমী।

জন্ম সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বলদি পাড়া গ্রামে, নানাবাড়িতে। নানা ময়দান আলী মিয়া, প্রধান শিক্ষক, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ছিলেন। পিতা প্রয়াত কে এম মশিউর রহমান, পুলিশ সুপার হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করেছেন। মা প্রয়াত হোসনে আরা রহমান বেলা ছড়াকার ও কবি হিসেবে সুখ্যাত। স্বামী প্রয়াত মোঃ আব্দুল মজিদ বাংলাদেশ রেলওয়ে ল্যাবোরটরীতে চিফ কেমিষ্ট ছিলেন। 

কবি রওশন আরা লিলি’র ২ পুত্র ও এক কন্যা। বড়    ছেলে রেজাউল করিম মিলন অকাল প্রয়াত। অন্য দুই সন্তান স্ব স্ব ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠ। দ্বিতীয় পুত্র প্রকৌশলী মো. রাশেদুজ্জামান লিপন এবং কন্যা রেহানা পারভিন মিতু। 

কবি চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি জনসেবামূলক কাজে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে থাকেন। করোনা কালীন বৈশ্বিক দুঃসময়ে তিনি নিবেদিতভাবে জনমানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

পারিবারিক আবহ সংস্কৃতি চর্চার অনুকূল। সাহিত্য প্রয়াস অন্তর্গতভাবেই প্রোথিত। বর্তমান আবাস এবং চিকিৎসা পেশা প্রধানত নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে। তবে দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য সংগঠনের সাথে তাঁর সম্পর্ক নিবিড়।

এই লেখকের আরো বই