ফাতেমা রব।
জন্ম চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বড়ালী গ্রামে ॥ বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। বাবা প্রয়াত আবদূর রহমান। মা প্রয়াত জুলেখা রহমান। বর্তমান স্থায়ী বসবাস ঢাকায়। তবে শিকড়ের সাথে অচ্ছেদ্য সম্পর্ক তাঁর। গ্রাম জীবনের সাথে নিবিড় আত্মিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেন। সাধারণ মানুষের যাপিত জীবনের দুঃখ বেদনা, হতাশা, আর্তিকে ধারণ করেন অন্তরানুভবে। সাধ্যমত সহায়তায় এগিয়ে আসেন।
সমাজ সচেতন তিনি। সম্পৃক্ত রয়েছেন নানাবিধ সমাজকর্মে। করোনাধ্বস্ত দুর্বিষহ অবস্থায় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দুর্বিপাকে সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে যাওয়া তাঁর স্বভাবজ প্রবণতা। নিজ উদ্যোগে নিজেরই একটি আবাসে শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে নিয়মিতভাবে আহার ও কর্মমুখী শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করে তুলছেন শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতায়। এছাড়াও নিজ গ্রামের দুঃস্থজনের সহায়তায় অকৃপণ সাহায্যের হাত প্রসারিত রেখেছেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধ তাঁকে প্রবলভাবে আলোড়িত করে। স্বাধীনতার মূল্যবোধকে হৃদয়ে ধারণ ও লালন করেন। একটি জনস্মিত কল্যাণময় সুবাসিত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন তিনি। বঙ্গবন্ধু তাঁর আত্মিক প্রেরণা।
নিবেদিত রয়েছেন অনলস কবিতা চর্চায়। সামাজিক সংগঠনে সময় দেন। এটি কবি’ ফাতেমা রব’এর দ্বিতীয় প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ। ইতোপূর্বে বেশ ক’টি যৌথ কাব্যগ্রন্থে তাঁর লেখা প্রকাশিত ও সমাদৃত হয়েছে। পত্র পত্রিকায় নিয়মিত লিখে চলেছেন তিনি। উত্তরোত্তর মানোন্নত হচ্ছে তাঁর লেখা।