ইঞ্জিনিয়ার ফেরদৌস খান
সরল ও মাটির কাছাকাছি বেড়ে ওঠা ক্ষ্যাপাটে দুরন্ত কিশোর প্রথম ঘর ছাড়লেন কলেজে পড়ার সময় খুলনার বি.এল.কলেজে । তারপর একটু দূরে কর্ণফুলি নদীর পাড়ে মেরিন একাডেমি। তা র প র ...দূরে বহুদূরে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সাগর-মহাসাগরে। এ যেন এক লম্বা অভিযাত্রা। রূপকথার মতো । সাত-সমুদ্র তেরো-নদী পার হয়ে জাহাজে চলার পথে বিস্তীর্ণ জলরাশির মধ্যে খোলা আকাশের মিটিমিটি তারার আলোয় নিজেকেই যেন বারবার দেখা। জাহাজে পুরো পৃথিবী প্রদক্ষিণ, ছেলেবেলায় পাঠ্যবইয়ে পড়া প্রসিদ্ধ নানা স্থান-সুয়েজখাল, জিব্রাল্টার, ইংলিশ চ্যানেল, পানামা খাল, বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল, চীনের গ্রেট ওয়াল, বেইজিং এর ঐতিহাসিক স্থান ফরবিডেন সিটি- একেবারে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা । এ যেন অন্যরকম শিহরন ,অন্য রকম উপলব্ধি! সহজ সরল সাবলীল ভাষায় মেলে ধরা জাহাজি জীবনের ভ্রমনের অভিজ্ঞতা মূলত: জীবনেরই পাচালি। মেরিনারদের জীবন, মেরিন একাডেমির ট্রেনিং, সাগর-মহাসাগরের বিচিত্রতা সম্পর্কে জানার আগ্রহ অনেকেরই। ‘সুনীল সাগর জলে’ বইটি পড়ে আশাকরি ভ্রমণপিপাসু পাঠক খানিকটা হলেও কৌতূহলী হবেন ।