চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ: পূর্ণাঙ্গ ভাষণের প্রতীক্ষা শেষ হবে কবে

    ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু কী বলেছিলেন? একটি শুদ্ধ প্রতিলিপি কি আমরা তৈরী করতে পেরেছি? “আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ভাষণের ভাষাগত কী রূপ দেব সেই বিষয়টি নিয়ে। আমরা কি প্রমিত উচ্চারণ ব্যবহার করব নাকি বঙ্গবন্ধু ঠিক যেভাবে প্রতিটি শব্দ উচ্চারণ করেছেন সেভাবেই রাখব? পরিশেষে আমরা বঙ্গবন্ধু ঠিক যেভাবে উচ্চারণ করেছেন, আমরা প্রতিটি শব্দ সেভাবে কিংবা সর্বোচ্চ কাছাকাছি লিখিতরূপ দেবার চেষ্টা করেছি। এভাবে আমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব একটি শুদ্ধ প্রতিলিপি দাঁড় করানোর চেষ্টা আমরা করেছি এই ঐতিহাসিক দলিলের। সমস্যা শুরু হয় তারপরে। আমাদের তৈরি করা এই ভাষণের লিখিত রূপের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এই ভাষণের লিখিত রূপ মেলাতে গিয়ে আমরা ভীষণ বিব্রত হই। এর মধ্যে এমনকি আমাদের পবিত্র সংবিধানে যুক্ত করা সংস্করণও রয়েছে! প্রায় প্রতিটি মাধ্যমেই আমরা বিভিন্ন রূপ দেখতে পাই এই অমূল্য ভাষণের। দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই ভাষণের কোনও একক অফিসিয়াল বা সরকারি সংস্করণ নেই। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মাধ্যমে ৭ই মার্চের ভাষণের কথাগুলো এসেছে ঠিকই, কিন্তু সেই প্রকাশনাগুলো সামনে নিয়ে বসলে খুব সহজেই তাদের মধ্যে বেশ কিছু তফাৎ চোখে পড়ে। এর একটা বড় কারণ হলো সরকারিভাবে এই ভাষণের কথাগুলো সংরক্ষণ না করা। আমরা যখন বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত এই ঐতিহাসিক ভাষণের বাক্যগুলো একে অপরের সাথে মিলিয়ে দেখেছি, তখন অনেকগুলো অসামঞ্জস্যতা এবং অসঙ্গতি এর মধ্যে পেয়েছি। এই সব অসঙ্গতির মধ্যে কিছু ছিল ভাষাগত, কিছু উচ্চারণগত এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এক বা একাধিক বাক্য ছিল সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। অনেক ক্ষেত্রে এমনও দেখা গিয়েছে যে, ভাষণে এমন কিছু শব্দ যুক্ত হয়েছে যা বঙ্গবন্ধু একেবারে উচ্চারণই করেন নাই।” - লেখকবৃন্দ
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
t

এই লেখকের আরো বই