চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

দ্য শাইনিং

    স্টিফেন কিং ইজ দ্য কিং অফ হরর। আজকাল হরর ঘরানার বই পড়লে হাসি আসে। মনে হয় ছেলে ভুলান গল্প পড়তেছি। সেই আগের থ্রিল বা আগের ভয় এখন আর পাই না। কিন্তু এই বই টা ব্যতিক্রম। এখন বি বাড়িয়ার এক্টা ক্লিনিকে লাইট নিভিয়ে শুয়ে শুয়ে পড়তেছিলাম। ভয় পাইছি বলব না, তবে এক্টু পরপর ইচ্ছা করেই ব্রেক নিচ্ছি। নাহলে।হয়ত লাইট জেলেই বসতে হবে। কি এমন আছে বইটাতে? আসলে তেমন কিছুই নাই। সচরাচর হরর বই এ যা থাকে - ভূত, প্রেতাত্মা, অদ্ভুত সব কান্ডকারখানা - এসব কিছুই এখানে আছে। কিন্তু ভয়ের ফিলিংসটা এগুলো থেকে আসে না, আসে লেখকে দুর্দান্ত লেখার থেকে। আসলে বইটাতে চরিত্র তিন টা। এই তিন চরিত্রের একে অন্যের সাথে interaction আর আস্তে আস্তে এদের স্বাভাবিক মানুষ থেকে অন্য রকম কিছু এক্টাতে পরিণত হওয়াটাই বইটার প্রধান ফ্যাক্টর। অসামান্য দক্ষতা ফুটে উঠেছে চরিত্র গুলার গঠন আর বিকাশে। হরর বই হলেও প্রায় পুরোটা বই আপনাকে ভাবনার খোরাক দিবে। আপনি চেষ্টা করবেন ঘটনা গুলো কে আধিভৌতিক কোন কিছুর সাহায্য ছাড়া ব্যাখ্যা করতে। আসলে অনেক কিছুই যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যাও করতে।পারবেন। ১ম ৭০-৮০ পাতায় লেখক আপনাকে চরিত্র গুলোর সাথে, তাদের ব্যাক ষ্টোরির সাথে পরিচয় করিয়ে দিবেন। এমন ভাবে যেন আপনি চেষ্টা করেন পরের ঘটনাগুলিকে যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করার। এরপরের ১০০ পাতায় আপনাকে লেখক টেনে নিয়ে যাবেন কাহিনীর মধ্যে। আসল চমক লেখক রেখে দিয়েছেন শেষ কিছু পাতায় যেখানে আপনার যুক্তি বুদ্ধি হোচট খাবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল এমন ব্যাখ্যা লেখক দিয়েছেন যে মেনে নিতেও আপনার কষ্ট হবে না। কাহিনী আর চরিত্রের অপূর্ব সমন্নয় এই বইতে পাবেন। অনুবাদের কথা আর কি বলব - তানজীম রহমানের অনুবাদ বাতিঘরের বাকি সবার চেয়ে ভাল বলে মনে হত। এখন আমার মনে হচ্ছে এর অনুবাদের তুলনায় বাকি অধিকাংশের অনুবাদই সাব স্ট্যান্ডার্ড। বাতিঘরের খুব কম অনুবাদ আমাকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছে। তার মধ্যে উনার বই ই রয়েছে তিনটা। উনার অনুবাদকর্ম চলতে থাকুক এই দুয়াই করি। হরর ঘরানার ফ্যান হন বা না হন, অসাধারন এক বই আর তার উপযুক্ত অনুবাদ পড়তে চাইলে শুরু করে দিন।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
t

এই লেখকের আরো বই