চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

বহিপীর

    বহিপীর নাটকটি উনিশ শতকের শেষভাগ বা বিশ শতকের সূচনালগ্নের পটভূমিতে লেখা। নাটকে দেখা যায়, জমিদার হাশেম আলি সূর্যাস্ত আইনে জমিদারী হারাতে বসেছেন। সূর্যাস্ত আইন প্রণীত হয় ১৭৯৩ সালে আর এ আইনে জমিদারী হারাতে থাকে এ সময় পর্যন্ত। সে সময়ে বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে জেঁকে বসা পীরপ্রথা, অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কার ফুটে উঠেছে এ নাটকে। পীরসাহেবকে ধনী গরিব সবাই অসম্ভব ভয় করে। গ্রামের সাধারণ মানুষ পীরকে পেলে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ধন সম্পদ এমনকি নিজের কন্যাকেও দান করে দেয়। এ নাটকটি শেষ পর্যন্ত আলোর পথ দেখায় ও এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দেয়। বহিপীর নামটির একটি প্রতীকী তাৎপর্যও রয়েছে। মূলত মুসলমান সমাজে পীরপ্রথার সৃষ্টি হয় কুসংস্কার ও ধর্মীয় বইয়ের পাতা থেকে। মূলত ইসলাম ধর্মের সুফিবাদী ব্যাখ্যার সূত্র ধরেই পীর সমাজের সৃষ্টি। সে হিসেবে ধর্মীয় ব্যাখ্যা ও মাসায়েল বইয়ের পাতা থেকে মানুষের সংস্কারকে পুঁজি করে ছড়িয়ে পড়া পীরপ্রথাকে তুলে ধরতে বহিপীর নামটি সার্থক।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ (আগস্ট ১৫, ১৯২২ – অক্টোবর ১০, ১৯৭১) আধুনিক বাংলা সাহিত্যের এক স্তম্ভপ্রতিম কথাশিল্পী। কল্লোল যুগের ধারাবাহিকতায় তার আবির্ভাব হলেও তিনি ইউরোপীয় আধুনিকতায় পরিশ্রুত নতুন কথাসাহিত্য বলয়ের শিলান্যাস করেন। জগদীশ গুপ্ত, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখের উত্তরসূরি এই কথাসাহিত্যিক অগ্রজদের কাছ থেকে পাঠ গ্রহণ করলেও বিষয়, কাঠামো ও ভাষা-ভঙ্গিতে নতুন এক ঘরানার জন্ম দিয়েছেন।

এই লেখকের আরো বই