সালমান রুশদি
আহমেদ সালমান রুশদি (জন্ম: ১৯শে জুন, ১৯৪৭) একজন ব্রিটিশ ভারতীয় ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক। তার দ্বিতীয় উপন্যাস মিডনাইটস চিলড্রেন ১৯৮১ সালে ম্যান বুকার পুরস্কার অর্জন করেছিল। তার লেখার অনেকটা অংশ জুড়েই থাকে ভারতীয় উপমহাদেশ। বলা হয়ে থাকে যে তিনি জাদু বাস্তবতার সাথে ঐতিহাসিক কল্পকাহিনী একত্রিত করে লিখেন। পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে অসংখ্য সংযোগ, বিচ্ছিন্নতা ও অভিপ্রয়াণ তার লেখার অন্যতম বিষয়বস্তু।
১৯৮৮ সালে প্রকাশিত তার চতুর্থ উপন্যাস দ্য স্যাটানিক ভার্সেস বিশ্বব্যাপী একটি বড় আকারের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। বইটি প্রকাশের পর বেশ কয়েকটি দেশের মুসলিমরা প্রতিবাদ জানায় যা অনেক সময় সহিংস রূপ ধারণ করে। তাকে মৃত্যুর হুমকি দেয়া হয়। ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি এই বই রচনার জন্য ১৯৮৯ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেছিল।
রুশদি ১৯৯৯ সালের জানুয়ারিতে ফ্রান্সের Ordre des Arts et des Lettres-এর একজন কমান্ডার মনোনীত হন ২০০৭ সালের জুন মাসে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে নাইট ব্যাচেলর উপাধিতে ভূষিত করেন। ২০০৮ সালে দ্য টাইমস ১৯৪৫ সালের পর থেকে যুক্তরাজ্যের সেরা ৫০ জন সাহিত্যিকের তালিকায় তাকে ১৩তম স্থান প্রদান করে।
২০০০ সালের পর থেকে রুশদি মূলত নিউ ইয়র্ক সিটির ইউনিয়ন স্কোয়ার এলাকায় বাস করে আসছেন। ২০০৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় অবস্থিত ইমোরি ইউনিভার্সিটিতে ডিস্টিংগুইশড রাইটার ইন রেসিডেন্স হিসেবে ৫ বছরের জন্য কাজ শুরু করেন। ২০০৮ সালের মে মাসে তাকে অ্যামেরিকান একাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড লেটারস এর একজন সম্মানসূচক বিদেশী সদস্য পদ প্রদান করা হয়।
২০১০ সালের নভেম্বরে তার রুকা অ্যান্ড দ্য ফায়ার অফ লাইফ উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। সে বছরেরই শুরুর দিকে তিনি আত্মজীবনী রচনা শুরু করেছেন বলে ঘোষণা দেন।