ইজাজ আহমেদ মিলন:
কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক ইজাজ আহমেদ মিলন ১৯৮৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। কবিতা, সাহিত্য, গবেষণা, বই লেখা কিংবা সাংবাদিকতায় সর্বত্রই তার সুনাম। এমনকি প্রচারবিমুখ সমাজ সেবায়ও রয়েছে তার সরব উপস্থিতি।
তিনি সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কাজ করে থাকেন। শুধু তাই নয়, তার প্রকাশিত গ্রন্থ ‘১৯৭১ : বিধ্বস্ত বাড়িয়ায় শুধুই লাশ এবং’ বইটিতে প্রায় ৩ বছর অনুসন্ধানের পর উঠে এসেছে ১৯৭১ সালের ১৪ মে দুপুরে পাকিস্তানী বাহিনীর আক্রমণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া হিন্দু অধ্যুষিত গাজীপুরের বাড়িয়া। তিন দিক থেকে বেলাই বিলে ঘেরা বাড়িয়ায় নির্বিচারে চালানো হয় গণহত্যা। বিল সাঁতরে কিংবা নৌকায় চড়ে আত্মরক্ষা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন শত শত নারী-পুরুষ আর শিশু। পাকিস্তানী নরপশুদের হত্যা শিকারের উল্লাসের নিচে শহীদ হন অন্তত ২শ মানুষ। এদের কারও ঠাঁই হয়নি স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্রে।
সেইসব শহীদের নামে তালিকা ধরে দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক ইজাজ আহমেদ লিখেছেন ‘১৯৭১ : বিধ্বস্ত বাড়িয়ায় শুধুই লাশ এবং’ গ্রন্থটি। পোড়ামাটির ক্যানভাসে বিরামহীন বেদনা, স্মৃতির আখরে লেখা, নষ্ট শরীর ভিজেনা রৌদ্রোজ্জ্বলে গ্রন্থসহ তার লেখা প্রায় ১৮টি বই এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর সর্বশেষ প্রকাশিত গ্রন্থ -বীরযোদ্ধা সুবেদার রাজ্জাক আগরতলা মামলার চৌদ্দ নম্বর আসামী ।
ইজাজ আহমেদ মিলন বর্তমানে জাতীয় একটি দৈনিকের গাজীপুর প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত আছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য দুইবার পেয়েছেন বজলুর রহমান স্মৃতি পদক। কাব্যগ্রন্থের জন্য লাভ করেছেন ‘সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার’ ও আত্মজীবনী গ্রন্থ ‘বেদনা আমার জন্ম সহোদর’ গ্রন্থের জন্য পেয়েছেন দাগ সাহিত্য পুরস্কার। আমি তার হাত ধরেই এসেছিলাম সাংবাদিকতায়। এই প্রিয় মানুষটির জন্মদিনে জানাচ্ছি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা।
ইজাজ আহমেদ মিলন বর্তমানে জাতীয় একটি দৈনিকের গাজীপুর প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত আছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য দুইবার পেয়েছেন বজলুর রহমান স্মৃতি পদক। কাব্যগ্রন্থের জন্য লাভ করেছেন ‘সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার’ ও আত্মজীবনী গ্রন্থ ‘বেদনা আমার জন্ম সহোদর’ গ্রন্থের জন্য পেয়েছেন দাগ সাহিত্য পুরস্কার।