চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

রুদাবা

    ভুমিকা--- গল্প লেখার পিছনে সবসময় একটা গল্প থাকে। আমার "রুদাবা" উপন্যাসটি লেখার পিছনেও একটি গল্প রয়েছে। ২০১৮ সালের শেষের দিকে। আমার প্রথম উপন্যাস "হেডিসের রাজ্যে" পেন্সিল থেকে প্রকাশিত হয়েছে। যদিও আমি তখনো বইটি চোখে দেখিনি। এরপর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে দেশে এসে পড়লাম বইমেলায় উপস্থিত থাকবার জন্য। লেখালেখি শুরু করেছিলাম হঠাত করে, কাকতালীয়ভাবে। আমার আত্মীয়স্বজন কাউকে জানাইনি। দুইএকজন জানত, কারণ তারা আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড ছিল, সে থেকে পেন্সিলেও এসে পড়েছিল। দেশে এসে জানতে পারলাম আমার চাচা ফুফু অনেকে আমার বইটি পড়েছে, খুব খুশিও হয়েছে। জেনে অবাক খুশি দুইটাই হয়েছিলাম। সবচাইতে আশ্চর্য হলাম আমার নব্বই বছর বয়সী মেঝকাকুর সাথে দেখা করতে গিয়ে। উনি আমাকে একপাশে ডেকে বই নিয়ে অনেক আলোচনা করলেন, আমার অন্য আরেকটা বই নিয়ে অনুযোগ করলেন --- এত ছোট কেন! আমি হেসে ফেললাম।--- কাকু, এটা তো বাচ্চাদের বই। তারপর বললেন--- তুমি বিদেশের জীবন নিয়ে লিখো। আমি বললাম--- জি, কাকু। ফিরে এসে অন্য লেখা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলাম কিন্তু থেকে থেকে মনে পড়ে যেত যে আমি কাকুকে কথা দিয়ে এসেছি বিদেশের জীবন নিয়ে লিখব। কিন্তু কিভাবে? আমার জীবনের ছোট ছোট ঘটনা নিয়ে একটা সিরিজ বহু আগে থেকে লিখছিলাম--- জীবন যেমন। সেখানে বিদেশ জীবনের কথা বহুবার এসেছে। কাজেই নিজের জীবন নিয়ে আবার লিখবার ইচ্ছা শুরু থেকেই বাতিল করে দিলাম। তারপর একেবারে হুট করে এ প্লটের আউটলাইন আমার মাথায় এল। যত একে নিয়ে ভাবি, নাড়াচাড়া করি, তত সেটা ডালপালা ছড়ায়। লিখতে গিয়ে আরো ছড়াল। একসময় পেন্সিলে পোস্ট করতে আরম্ভ করলাম। খুব ভালো রেসপন্স পেয়েছিলাম সেসময়। ঝটপট "জামী ইশতিয়াখ ফ্যান ক্লাব" ও "আদনান হায়দার হেট ক্লাব" গড়ে উঠল। প্রতিদিন সবার সাথে মতামত আদান প্রদান, হাসি ঠাট্টা করতে অসম্ভব ভালো লাগত। উপন্যাসটিকে বই হিসেবে ছাপাবার বহু অনুরোধ আসতে থাকে। গল্প শেষ হয়ে যাবার বহুদিন পর পর্যন্ত। আশা করি বইটি সবার মন জয় করে নিতে পারবে। তাবাসসুম নাজ মে, ২০২০।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
তাবাসসুম নাজ
তাবাসসুম নাজের জন্ম ৩০ শে অক্টোবর। স্কুল কলেজ জীবনে টুকটাক লেখালেখি করতেন দেয়াল পত্রিকায়।

১৯৯৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এম বি বি এস পাশ করবার পর প্রবাস জীবন যাপন করছেন, বাংলা লিখবার আর সুযোগ হয়নি।

হঠাৎ ২০১৭ সাল থেকে নিজের ভেতরে প্রচন্ড তাগিদ অনুভব করতে থাকেন ফের কলম ধরবার। সে তাগিদ থেকে নিজের জীবনের ছোট ছোট ঘটনা নিয়ে রম্য রচনা লিখতে আরম্ভ করেন ফেসবুকে নিজের ওয়ালে।

একসময়ে সন্ধান পান ফেসবুকভিত্তিক সাহিত্য গ্রুপ পেন্সিলের। নিয়মিতভাবে সেখানে লেখা দিতে থাকেন তিনি--- বিদেশী রূপকথার অনুবাদ, প্রবন্ধ, রম্য রচনা। এরপর কাকতালীয়ভাবে ঢুকে পড়েন গ্রীক মিথলজির জগতে।

গ্রীক দেবদেবীদের নিয়ে লিখতে গিয়ে হঠাৎ করে তাদের নিয়ে উপন্যাস লিখবার আইডিয়া পেয়ে যান। পরিণতিতে তার প্রথম উপন্যাস--- হেডিসের রাজ্যে। হেডিসের রাজ্যে ছিল কিশোর উপন্যাস।

এরপর বড়দের জন্য লিখবার ইচ্ছা থেকে পেয়ে যান পরবর্তী উপন্যাসের প্লট--- বিবাহ বিভ্রাট অথবা ভালোবাসা। এবারে তিনি নিয়ে এলেন বড় আঙ্গিকের উপন্যাস
--- রুদাবা।

এই লেখকের আরো বই