চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

ইতিহাসের জানালা

    ইতিহাসের সমুদ্রতল থেকে তুলে আনা মান্না পান্না হীরা মুক্তো অমূল্য কড়ি ও নুড়ির সমাহার ইতিহাসের জানালা। মানবসভ্যতার সুদীর্ঘ অভিযাত্রার বাঁকে বাঁকে গেঁথে থাকা অনেক অনুদ্ঘাটিত রহস্যের অনুসন্ধান এতে গ্রন্থিত হয়েছে। ছোট ছোট অনেক ইতিহাসের সমন্বিত পাঠে অনন্য এক স্বাদে সমৃদ্ধ হবেন পাঠক। নিকট অতীত, সুদূর অতীত, প্রাগৈতিহাসিককাল, ইতিহাসের বিচিত্র মোড়ের ব্যক্তি, স্থান, ঘটনা, যুদ্ধ, বিজয়, বেদনা, অনেক ঘটনার অন্তরালে ঘটে যাওয়া অজানা সত্য, অতীতের হারিয়ে যাওয়া রহস্যকাহিনি, ধ্রুব বর্তমান—সব এক মলাটে একত্র হয়েছে শৈল্পিক বিন্যাসে। ইউরোপ-আরবের যুদ্ধ ইতিহাসে লায়ন অব ডেজার্ট বলে খ্যাত ওমর আল মুখতারের গেরিলাযুদ্ধ, লায়লা খালিদের দুঃসাহসিক বিমান হাইজ্যাক, আসাম ম্যাসাকারে নিহত ৬০০০ বাঙালি, চিরস্মরণীয় রেশমি রুমাল আন্দোলন, শাহবাগের ইতিহাস, ১৯৬৭ সালের আরব ইসরাইল যুদ্ধ, বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের নেপথ্যকথা, প্রাচীন মিসরের রহস্যঘেরা মমি, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, এডলফ হিটলার ও নাৎসিবাহিনী, বাগদাদে তাতার তা-বের রোমহর্ষক কাহিনি, আকাশজয়ের ইতিবৃত্ত, লর্ড ক্লাইভের করুণ মৃত্যু, মুক্তিযুদ্ধে আমেরিকা ও রিচার্ড নিক্সনের আঁতাত ও আরো অনেক ইতিহাসের চারুপাঠ এতে সমুপস্থিত। ইতিহাসের অনেক হাসি-কান্নার ধারাবিবরণী ডানা মেলেছে ‘ইতিহাসের জানালা’ বইটিতে। বিভিন্ন সূত্র ও দলিলের আলোকে রচিত গ্রন্থটি সুখপাঠ্য ঝরঝরে ও মসৃণ। একটি গ্রন্থে বিশ্বইতিহাসের সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে এনেছেন ইতিহাসসন্ধানী লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর। সাবলীল গদ্যে রচিত গ্রন্থটির পাঠে কোথাও হোঁচট খেতে হয় না, বরং নদীর স্রোতের মতো তরতর এগিয়ে নিয়ে চলে অজানা সব কৌতূহলের সন্ধানে। ইতিহাস বিচারে গ্রন্থটি রেফারেন্সের মর্যাদা অর্জন করতে সক্ষম নির্দ্বিধায়। এ কেবল এক ইতিহাস গ্রন্থ নয়, ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ের অভিনব সংযোজনা
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর
লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর বাবা মোঃ শওকত হোসেন পেশায় ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্য। শৈশবে তাই সেনানিবাসের লেফট রাইট আর স্যালুট এর শব্দ, কিংবা বিকেলবেলা বাজানো বিউগল এর করুণ সুর শুনতে শুনতেই মনের মাঝে সৈনিক হবার সুপ্ত বাসনা জেগেছিল তাঁর। এদিকে, মা জাহানারা বেগমের ইচ্ছে ছেলেকে হাফেজ বানানোর, যার জন্য রাইফেল-উর্দির স্বপ্নকে ছুটি দিয়ে তাঁকে ভর্তি হতে হয়েছিল হেফজখানায়। ঢাকা জেলার পশ্চিমে ধামরাই থানায় যে হেফজখানায় তিনি ভর্তি হয়েছিলেন, তার নাম বাসনা আমানুল্লাহ ফোরকানিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা, যে হেফজখানায় উন্মোচিত হয় তাঁর স্বপ্নের নতুন দুয়ার। হেফজখানায় বড় এক আলমারি ভর্তি ছিল নানা স্বাদের বই, যা সাধারণ ছাত্রদের পড়ার জন্য উন্মুক্ত ছিল। চেতনার বিকাশ ঘটানো বা লেখালেখির প্রথম রসদ যুগিয়েছিল সেই আলমারি। তিনি প্রাথমিক মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়েছেন ধামরাইয়ের জামিয়া ইসলামিয়া হাফিজুল উলুম ইসলামপুর থেকে। তারপর ঢাকায় আসেন ২০০২ সালে। মাধ্যমিক স্তর পড়েছেন মিরপুরে, মাদ্রাসায়ে দারুল উলুম এ। ২০০৭ সালে ধামরাইয়ের শরীফবাগ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করেন। ২০০৮ সালে দাওরায়ে হাদিস পাস করেন জামেয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ থেকে। তারপর দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরোজিতে অনার্স শেষ করে কর্মজীবনে সাংবাদিকতা এবং সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিছুদিন। বর্তমানে লেখালেখির সাথেই জড়িয়ে আছেন পুরদস্তুর। তাঁর আগ্রহের মূলবিন্দু ইতিহাস। ঐশ্বরিক যেকোনো জ্ঞান, মানবিক বিজ্ঞান, লৌকিক-অলৌকিক ধর্ম, আন্তর্জাতিক ধর্মদর্শন এবং ধর্মতত্ত্ব বিষয়েও তাঁর আগ্রহ প্রবল। সেই আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ ঘটে সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর বই সমগ্র-তে। ব্যক্তিগত পছন্দের কারণেই তিনি লেখেন মূলত ইতিহাস এবং ধর্মদর্শনের মিশেলে, যা প্রথাগত ধর্মীয় আবহের বাইরে গিয়ে নির্মাণ করেছে নতুন এক ভাষাভঙ্গি। 'প্রিয়তমা', 'মিরাতুল মামালিক : দ্য অ্যাডমিরাল', 'প্রিয় প্রেয়সী নারী', 'সেই হীরা', 'সিংহহৃদয়', 'বদরের বীর', 'ইতিহাসের জানালা', 'হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল', 'সোরাকার মুকুট' ইত্যাদি সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর বই সমূহ, যা বেশ ভালো মাত্রার পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।

এই লেখকের আরো বই