চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

আলোর ফেরিওয়ালা

    মুসলিম: এ নেশন অব দ্যা বুক আলোর ফেরিওয়ালা খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দিতে চীনা সমাজে প্রথম কাগজ তৈরি শুরু হয়। তারা গাছ, ঘাস, গুল্ম ও তুলার আঁশ দিয়ে এক ধরনের মন্ড তৈরি করে তা দিয়ে কাগজ তৈরি করত। আঞ্চলিক চীনা ভাষায় এর নাম ছিল গু জি বা গু ঝি। রাজা বাদশাদের রাষ্ট্রীয় কাজে গু জি ব্যবহৃত হতাে। চীনের উত্তর পশ্চিমাংশে তাং রাজবংশের সাথে মুসলিমদের ঐতিহাসিক তালাস যুদ্ধে চীনারা পরাজয় বরণ করে। চীনা যুদ্ধবন্দিদের মধ্যে একজন কাগজ তৈরিতে দক্ষ ছিল। বন্দী চীনা সৈনিকের কাছ থেকে মুসলিমরা এই গু জি তৈরির কৌশলটা শিখে নেয়। অষ্টম শতাব্দির শেষ দশকে সমরখন্দে মুসলিম বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম গু জি তৈরির কল প্রতিষ্ঠিত হয়। মুসলিমদের হাতে এই দক্ষতা ও কৌশল হস্তগত হওয়াটা ইতিহাসের মােড় পরিবর্তনকারী ঘটনা। আরবরা চীনাদের গু জি কে বলত ‘কা আল গু জি’ যার অর্থ ‘গু জি-র মতাে’। এই ‘কা আল গু জি’-ই পরিবর্তিত হয় কাল গুজি’তে। অষ্টম শতাব্দির প্রথম থেকেই মুসলিম সাম্রাজ্যে আরবরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়তে শুরু করে। এক পর্যায়ে আব্বাসীয় সাম্রাজ্যে ফার্সীভাষী ইরানিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যায়। ফার্সী ভাষায় আরবি ‘আল’ নেই। পারসিক ইরানিরা ‘কালগুজি’ শব্দ থেকে আরবি ‘আল’ শব্দটি বাদ দেয়। কালগুজি’ থেকে পারসিকদের ‘আল’ শব্দটি বর্জিত হয়ে পণ্যটি কাগুজি হিসেবে অভিহিত হতে থাকে। আর সেই কাগুজি থেকেই কাগজ হিসেবে নামকরণ। এভাবেই ‘কাগজ’ শব্দটি ফার্সী ও বাংলাসহ উপমহাদেশীয় ভাষার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বরিত হয়ে গেছে।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
t

এই লেখকের আরো বই