চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার

    ছাপার অযোগ্য ‘লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার’। অভিযোগের তীরটা এমনই ছিলো। ১৯৬০ সালের আগে এই বইটি ইংল্যান্ডে প্রকাশ্যে বিক্রি করার অনুমতি পাওয়া যায়নি। প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ডি এইচ লরেন্স যৌনতাকে পুঁজি করে এই উপন্যাস রচনা করেছেন, এই অভিযোগে প্রকাশনা সংস্থা ‘পেঙ্গুইন বুকস’-কে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। আমেরিকা, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, জাপান আর ভারতে দীর্ঘ সময় ধরে নিষিদ্ধ ছিলো এই বই। কিন্তু মামলায় জেতার পর লেডি চ্যাটার্লিজ লাভারের এক মিলিয়ন কপি নিঃশেষ হয়ে যায়। আলোচিত, সমালোচিত আর অভিযুক্ত সেই বইটি ১৯২৮ সালে ‘লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার’ প্রথম প্রকাশিত হয় ইতালিতে। পরের বছরই এই আগুনে বই ভূমিষ্ঠ হয় ফ্রান্স ও অষ্ট্রেলিয়ায়। আলোচকরা বলে থাকেন, ইংল্যান্ডের নটিংহ্যামশায়ার অঞ্চলের প্রেক্ষাপটে তখনকার উঁচু তলার এক নারী কন্সট্যান্স রিদ(লেডি চ্যাটার্লি) প্রেমে পড়েছিলো বাগানের মালির সঙ্গে। তার স্বামী ক্লিফোর্ড চ্যাটার্লি ইংল্যান্ডের বিত্তবান শ্রেণীর মানুষ ছিলো। কিন্তু তার চরিত্রটি ছিলো একজন পঙ্গু মানুষের। হুইলচেয়ারে বসে থাকা স্বামী আর অন্যদিকে সুদর্শন মালি-এই দুই চরিত্রের মাঝে লেডি চ্যাটার্লি। সেই সময়ে বসে লরেন্স তাঁর উপন্যাসে দেখাতে চেয়েছিলেন শ্রেণী বৈষম্য থাকলেও মালির সঙ্গে মালকিনের প্রেম হতে পারে। আর সেই প্রণয়ে শরীরই প্রধান। তিনি দেখিয়েছেন শুধু মনের কারবারেই প্রেম সীমাবদ্ধ নয়, শরীরের আকর্ষণ মনকেও ছাপিয়ে যায়। আর এখানে এসেই তৎকালীন সমাজের ছিলো যতো আপত্তি। ভাষায় অশ্লীলতার প্রকাশ এবং নারী-পুরুষের মিলনের বিশদ বিবরণ এই বইটি প্রকাশের বিরুদ্ধে ছিলো বড় বাধা। আর সেই বাধা থেকেই মামলা। ১৯৫৯ সালে ইউরোপে মানুষের চায়ের কাপে আলোচনার ঝড় হয়ে দেখা দেয় এই বই। ৯ জুন জুরি এই বইয়ের মামলায় লরেন্স আর তার অমর উপন্যাসের পক্ষেই শেষ রায় দেন। ১০৬১ সালে ইংল্যান্ডে বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। লেখা শেষ করার পর ডি. এইচ লরেন্স তাঁর উপন্যাসের নাম দিতে চেয়েছিলেন ‘টেন্ডারনেস’। এই নামে তিনি উপন্যাসটির কিছু জায়গায় সংশোধনের কলম টানেন। সেই সংশোধিত উপন্যাসটিও পরে প্রকাশিত হয়। তবে শেষ পর্যন্ত রয়ে যায় ‘লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার’। আর এটাই ছিলো লরেন্সের লেখা শেষ উপন্যাস। যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯৩০ সালে তিনি মারা যান। বইটির ওপর নিষেধের বেড়াজাল উঠে গেলে লন্ডনের বিখ্যাত বই বিক্রেতা ‘ডব্লিউ অ্যান্ড জি ফয়েল লিমিটেড ১৫ মিনিটের মাথায় ৩০০ কপি বই বিক্রি করে। লরেন্সের ৩০তম জন্মদিনে পেঙ্গুইন বুকস ২ লক্ষ বই ছাপিয়েছিলো বিক্রির জন্য। বইটিতে যৌন জীবনে অতৃপ্ত , অসুখি উচ্চবর্গের এক নারী আর তারই বেতনভোগী এক নিম্ন শ্রেনীর কর্মচারীর দেহগত ladyমিলনের ব্যাপারগুলো নিয়ে লেখা হয়েছে। ধনী কিন্তু পক্ষাঘাতগ্রস্থ স্বামী ক্লিফোর্ড চ্যাটার্লীর কাছে পার্থিব জৌলুসের সব পেয়েও একজন স্ত্রীর যে আরো কিছু চাহিদা থাকে তা পুরনের বর্ণনা কাহিনীতে । যুদ্ধের আঘাতে নিম্নাঙ্গের পক্ষাঘাত নিয়ে বেচারা ক্লিফোর্ড চ্যাটার্লী দেহগত সুখ হয়তো দিতে পারেননি স্ত্রী কন্সট্যান্স চ্যাটার্লী (লেডী চ্যাটার্লী) কে কিন্তু মনোগত সুখ দিতেও তার কার্পন্য লেডী চ্যাটার্লীকে ঠেলে দিয়েছে সেই পথে যে পথ সমাজ স্বীকৃত নয় বরং ধিক্কারের । দেহগত সুখ পেতে যিনি ক্ষনেকের জন্যে বেছে নিয়েছিলেন ক্লিফোর্ড ষ্টেটের গেমকীপার অলিভার মেলর্সকে । আর সেখান থেকেই শুরু । জীবনের ঈপ্সিত আর পরম আকাঙ্খিত সুখটুকুর সব পেয়েছেন অলিভার মেলর্সের কাছ থেকে । নিজেকে পূর্ণ মনে করেছেন তিনি । উপলব্ধি করেছেন সব মানুষের জীবনের পরম সত্যটি ; শুধু মন নিয়ে বেঁচে থাকা যায়না , চাই দেহগত সতেজতাও । সম্ভোগের উত্তুঙ্গ অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বুঝেছেন, শুধু মানসিক নৈকট্য নয় ভালোবাসা হতে পারে দেহের চড়াই উৎরাইয়ে সাঁতার কেটেই । শুধু এক সুরে বাঁধতে হবে দুটোকে । তাই ভালোবেসেছেন মেলরকে । সেই ভালবাসা, ভাললাগার কথা বলা হয়েছে ভিন্ন আঙ্গিকে, ভিন্ন মাত্রায়। ডি.এইচ লরেন্সের এই আলোচিত উপন্যাসের কাহিনি অবলম্বনে বড় পর্দায় একাধিক সিনেমাও নির্মিত হয়েছে।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
ডি. এইচ. লরেন্স
David Herbert Lawrence (11 September 1885 – 2 March 1930) was an influential writer, poet and literary critic. Highly controversial during his life, since his death he has gained a widespread esteem and is seen as one of the great modern novelists. He was born in a poor Nottingham-shire mining town. He was an outstanding pupil and gained a rare county council scholarship which enabled him to continue his studies at Nottingham High School. After working for a brief spell in a factory, he was able to get a teaching certificate and gained employment teaching. In 1912 he met Frieda Weekly (nee Von Richthofen), and although she was married with three children they fell in love and eloped to the French town of Metz on the border of Germany. They would remain faithful life partners for the rest of their lives. D.H.Lawrence was an unconventional thinker who could see beyond the prevailing orthodoxy of the day. For example, he was profoundly anti-militarism, and during the patriotic fervor of the First World War his pacifism made him deeply unpopular (especially because he also had a German wife) He was suspected of spying whilst living in Cornwall and forced to leave. At the end of the First World War, he began his long and frequent travels around the world. He termed this period his ‘savage exile He traveled all around the world including various scenic parts of Italy and for several years in Mexico – where he hoped to establish a utopian community. However, a period of pneumonia, which affected him throughout his life, forced him to return to Europe. In died in 1930, aged just 45. His notable works include Sons and Lovers, The Rainbow, Women in Love, and Lady Chatterley’s Lover. During the period, many commentators felt D.H.Lawrence had wasted his talents in producing ‘pornographic works for which he became renowned. At the time of his death, few save E.M.Forster, A. Huxley and a few close friends defended his reputation as a great writer. However, following his death, opinion slowly changed as people came to recognize his contribution to modernist literature and the powerful impression that his novels left on the reader.

এই লেখকের আরো বই