চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

ড. ইয়াদ কুনাইবি প্যাকেজ

    নারী স্বাধীনতার স্বরূপ নারী ! ওরা তোমাকে স্বাধীনতার প্রলোভন দেখায়। মুক্তির কথা বলে। স্বাবলম্বিতার স্বপ্ন দেখায়। ওরা বলতে চায়, তুমি পরাধীন। তোমার ঘর তোমার কারাগার। তোমার স্বামী তোমার মনিব। তোমার সন্তান তোমার বোঝা। ওরা চায় তুমি ঘর থেকে বেরিয়ে যাও। পরিবারের মায়ার বাঁধন ছিঁড়ে ফেলো। কর্মাঙ্গণে গিয়ে পুরুষের পাশে দাঁড়াও। মাস শেষে কয়েকটি মুদ্রার মালিক হয়ে নিজেকে সফল ভাবতে থাকো। আসলেই কী তুমি পরাধীন? তাহলে ওরা কেন তোমাকে স্বাধীন করতে চায়? ওরা চায় তুমি তোমার স্নেহশীল পিতা ও দায়িত্ববান স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাও। তাদের নিরাপত্তা ও দায়িত্বের ছায়া থেকে বেরিয়ে যাও। তারপর কর্পোরেট জগতের আলো আঁধারীতে ওরা তোমাকে খুবলে খুবলে খাবে। সামান্য কিছু মুদ্রার বিনিময়ে ওরা কিনে নিতে চাইবে তোমার স্বাধীনতা, ব্যক্তিত্ব, পবিত্রতা, চরিত্র, দেহ সবকিছু। নারী স্বাধীনতার চটকদার সব শ্লোগানের আঁড়ালে ওরা লুকিয়ে রাখে ওদের দূরভিসন্ধি। প্রতারিত হয়ো না নারী!। আস্থা রাখো তোমার রবের প্রতি। আস্থা রাখো তোমার রবের বিধানের প্রতি। তোমাকে স্বাধীনতার বুলি শুনিয়ে ওরা আসলে কী হাসিল করতে চায়? কোথায় নিয়ে ওরা তোমাকে দাঁড় করাতে চায়? তোমার প্রকৃত স্বাধীনতা আসলে কোথায়? তোমার রব তোমাকে কী বিধান দিয়েছেন? তিনিই কি তোমার জন্য যথেষ্ট নন। এসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বর্তমান সময়ের খ্যাতিমান স্কলার ডক্টর ইয়াদ কুনাইবী হাফিজাহুল্লাহ। তার প্রাঞ্জল বর্ণনা আর তথ্যপূর্ণ বক্তব্যে ফুটে উঠেছে তথাকথিত নারী স্বাধীনতার স্বরূপ। তার জনপ্রিয় সিরিজ ‘সিলসিলাতুল মারআহ’ এর শ্রুতি অনুবাদ বাংলাভাষী পাঠকের হাতে তুলে দিচ্ছে শব্দতরু। নিফাক থেকে বাঁচুন ঈমান ও নিফাক দুটি বিপরীতমুখী জিনিস। মুমিন আর মুনাফিক কখনো বন্ধু হতে পারে না—দুনিয়াতেও না আর পরকালে তো মুনাফিকের আবাস হবে জাহান্নামের অতলে। নিফাক একটি দ্বিচারী স্বভাব। ভিতরে এক রূপ আর বাইরে আরেক রূপ। আল্লাহর কাছে এটা অত্যন্ত ঘৃণিত স্বভাব। পবিত্র কুরআন এবং হাদিসে নববীতে নিফাক ও মুনাফিক সম্পর্কে বিশদ আলোচনা এসেছে। মুনাফিকদের সম্পর্কে কুরআনে স্বতন্ত্র সূরা অবতীর্ণ করা হয়েছে। হাদিসে নববীতে তাদের আচার-বৈশিষ্ট্যের বিবরণ এসেছে। মুনাফিকরা মুসলমানদের ঘরের শত্রু। এরা কোনকালেই উম্মাহর কল্যাণকামী ছিল না। ইসলামের শুরুলগ্ন থেকে হাজার বছরের ইতিহাস থেকে আমরা এর সত্যতা পাই। এতো নাযুক একটি বিষয় সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতা আর উদাসীনতা যারপরনাই হতাশাজনক। ড. ইয়াদ কুনাইবী একজন গবেষক মানুষ। আমাদের জানামতে বাংলা ভাষায় এটাই তাঁর প্রথম কোন রচনা অনূদিত হচ্ছে। লেখকের শক্তিমান লেখনি আর আপোষহীন সততা তাঁর রচনার ছত্রে ছত্রে ফুটে ওঠেছে। আল্লাহ তাআলার কাছে দুআ করি, তিনি যেন আমাদের এই প্রচেষ্টাকে উম্মাহর কল্যাণকামনা হিসেবে কবুল করে নেন। আমিন। ইসলাম প্রতিষ্ঠা ড. ইয়াদ কুনাইবী সে সমস্ত বিশ্লেষকদের অন্তর্ভুক্ত, যারা আরব বসন্তের সময়ে ইসলামপন্থীদের আচরণ খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। তার এই সিরিজ তিনি শুরু করেন ২০১২ সালে। যে সময় মিসরের শাসনক্ষমতায় ছিল ইসলামপন্থী দল ইখওয়ানুল মুসলিমীন। তিনি তাদেরকে মূল উদ্দেশ্যে রেখে সংশোধনীমূলক একের পর এক বার্তা দিতে থাকেন এই সিরিজের মাধ্যমে। কিন্তু গণতন্ত্রের স্রোতে ভেসে যাওয়া উম্মাহ, দূরদর্শী চোখের এই সতর্কবার্তায় কর্ণপাত করেনি। তাই সে সময় সিরিজটি খুব একটা পরিচিতি পায়নি।br কিন্তু ১৩-তে যখন মুরসির পতন ঘটল, তারপর একে একে ইসলামপন্থীদের ভুলগুলো স্পষ্ট হতে লাগল তখন এই সিরিজটি প্রসিদ্ধি পেয়ে যায়। কয়েক বছর আগের ভিডিওগুলো যেন তখন জীবন্ত হতে থাকল, দিনে দিনে এর প্রাসঙ্গিকতা বাড়তে লাগল। এই ঘটনা নিশ্চয় সিরিজটির প্রয়োজনীয়তা ও প্রাসঙ্গিকতা কতটুকু তা বুঝতে সহায়তা করবে মোডারেট ইসলামের দৌরাত্ম্যে প্রতারিত আজকের যুবকশ্রেণিকে বইটি ইনশাআল্লাহ সঠিক পথ দেখাবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বুনতে থাকা প্রতিটি অন্তরকে প্রচলিত ভ্রান্তি থেকে রক্ষা করবে। এই বইয়ের উদ্দেশ্য হলো: ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হোক বা না-হোক, আমরা যেন আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করতে পারি, যে অবস্থায় আমাদের অন্তরে শরীয়াহর প্রতি বিন্দু পরিমাণের বিকৃত মনোভাব থাকবে না। আল্লাহর প্রতি সুধারণা ড. ইয়াদ কুনাইবী কে আল্লাহ তাআলা মানুষের মনস্তত্ত্ব উপলব্ধি করার যোগ্যতা দিয়েছেন। সাথে কুরআন-হাদিসের নিগূঢ় রহস্য ও যোগসূত্র উদ্ধার করার অভাবিত ইলমি যোগ্যতাও আল্লাহ তাকে দিয়েছেন। যে বিষয়ে কলম ধরেন, তাতে অভিনবত্ব সৃষ্টি করেন। বলেন ও লেখেন অনেকেই; আর প্রত্যেকেরই নিজস্বতা রয়েছে। তবে ড. ইয়াদ কুনাইবীর স্বকীয়তা অনন্য সাধারণ। জটিল কোনো বিষয়ও পাঠককে একেবারে জলবৎ তরলং করে বোঝানোর সক্ষমতা আল্লাহ তাকে দিয়েছেন। এই গ্রন্থেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। এই বিষয়ে আরো অনেকেই বলেছেন, লিখেছেন; তবে তাঁর চিন্তা ও কুরআন-হাদিসের গবেষণালব্ধ মর্মের নির্যাস পাঠককে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। বিপদে ধৈর্যধারণ কেনো করবো? কিভাবে পাহাড়সম মুসিবত মাথায় নিয়েও শান্ত-স্থির থাকতে পারবো? বিপদে পড়ে আমরা হতাশায় ভুগি, এ থেকে কিভাবে বাঁচতে পারবো? সর্বোপরি এই বিপদকে রবের নিয়ামত হিসেবে উপভোগ করবো কিভাবে? এইসব বিষয়সহ আরও নানান বিষয়ের সমাধান দারুণভাবে আলোচনা করেছেন তিনি। এই বই পড়তে গিয়ে মনে হবে, আপনি এমন একজন শাইখের আলোচনা শুনছেন, যিনি কখনো আত্মশুদ্ধির নসিহত করছেন তো কখনো ঈমান জাগানিয়া হৃদয়গ্রাহী বয়ান করছেন। কখনো মোটিভেশনাল লেকচার দিচ্ছেন। আর এইসব আলোচনাকে তিনি যেনো একসূত্রে গেঁথে দিচ্ছেন। আর তা হচ্ছে, রবের সাথে আপনার বন্ধন। এই বন্ধন যতো দৃঢ় হবে, রবের প্রতি সুধারণা ততো সংহত হবে। আর আপনি এর স্বর্গীয় স্বাদ উপভোগ করে ধন্য হবেন। তখন দুনিয়ার এইসব বিপদ-মুসিবতকে থোড়াই মনে হবে। * বইটি কনেো পড়বনে? কিভাবে আপনি পরীক্ষাকে পুরস্কারে পরিবর্তন করবেন? বিপদের নিয়ামত থেকে কিভাবে উপকৃত হবেন? যেকোনো পরিস্থিতিতে কিভাবে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে সফলভাবে জীবনযাপন করবেন? পরিস্থিতি যা-ই হোক সবকিছুতে পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি কিভাবে পোষণ করবেন? কিভাবে আল্লাহর সাথে নিখাদ সম্পর্ক তৈরি করবেন; যার ফলে তাকেই শুধু ভয় করবেন, তাঁর কাছেই প্রার্থনা করবেন? কিভাবে দৃঢ় মনোবল ও অনমনীয় প্রাণশক্তির অধিকারী হবেন? তাকদিরের বিষয়ে অযাচিত মন্তব্য করা থেকে কিভাবে নিজের অন্তরকে পবিত্র করবেন; যে নির্ভেজাল অন্তর নিয়ে আপনি রবের সাথে মিলিত হওয়ার কামনা করতে পারবেন? সর্বোপরি আপনার রবকে কিভাবে নিঃশর্ত ভালোবাসবেন; যে ভালোবাসায় কোনো ভেজাল নেই, যে ভালোবাসা অপরিবর্তনীয় অম্লান? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর এবং আরও বহু বিষয়ের সমাধান আশা করি পাঠক এই বইয়ে পাবেন।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
t

এই লেখকের আরো বই