চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

ব্যাংকব্যবস্থা প্যাকেজ

    সুদ হারাম কর্জে হাসানা সমাধান:---- ম্যাসেজ পাবলিকেশন কেন এই বই? সুদ হারাম, সুদের ৪টা প্রকারের নাম বলতে পারবেন? আপনি যদি না জানেন কী কী কারণে ও কীভাবে লেনদেন করলে সুদ হয়, তাহলে সুদ থেকে বাঁচবেন কী করে? দ্বীনের হালাল-হারামের জ্ঞান অর্জন আপনার উপর ফরজ, সেই ফরজটা কি তাহলে অর্জিত হয়েছে? কখনো টাকা ঋণ নিয়েছেন? কাউকে ঋণ দিয়েছেন? সুদ খেয়েছেন কখনো? সুদ দিয়েছেন? সুদ দিলে বা নিলে কি ক্ষতি হয় জানেন? এত মানুষ সুদে জড়িয়ে পড়ছে কেন? সুদ এত 'উপকারি', তাহলে বাড়ছে কেন 'দরিদ্রতা'? কর্জে হাসানা কী? কর্জে হাসানা দিলে কি কারো ক্ষতি হয়? কর্জে হাসানা দিলে সমাজ আর সংসারের উন্নতি কীভাবে হয়? কর্জে হাসানা দিলে কি সমাজ সুদমুক্ত হবে? শুধু টাকা দিয়েই কর্জে হাসানা হয়, নাকি সোনা-রুপা-চাল-ডাল দিয়েও হয়? দেশে হাজার কোটি টাকার কর্জে হাসানা ফান্ড থাকলে কী হত? দুনিয়াতে কি বড় কোনো কর্জে হাসানা ফান্ড আছে? কীভাবে কাজ করে তারা? উত্তরগুলো বইয়ের ভেতর... কেন এই বই? সুদ হারাম, সুদের ৪টা প্রকারের নাম বলতে পারবেন? আপনি যদি না জানেন কী কী কারণে ও কীভাবে লেনদেন করলে সুদ হয়, তাহলে সুদ থেকে বাঁচবেন কী করে? দ্বীনের হালাল-হারামের জ্ঞান অর্জন আপনার উপর ফরজ, সেই ফরজটা কি তাহলে অর্জিত হয়েছে? কখনো টাকা ঋণ নিয়েছেন? কাউকে ঋণ দিয়েছেন? সুদ খেয়েছেন কখনো? সুদ দিয়েছেন? সুদ দিলে বা নিলে কি ক্ষতি হয় জানেন? এত মানুষ সুদে জড়িয়ে পড়ছে কেন? সুদ এত 'উপকারি', তাহলে বাড়ছে কেন 'দরিদ্রতা'? কর্জে হাসানা কী? কর্জে হাসানা দিলে কি কারো ক্ষতি হয়? কর্জে হাসানা দিলে সমাজ আর সংসারের উন্নতি কীভাবে হয়? কর্জে হাসানা দিলে কি সমাজ সুদমুক্ত হবে? শুধু টাকা দিয়েই কর্জে হাসানা হয়, নাকি সোনা-রুপা-চাল-ডাল দিয়েও হয়? দেশে হাজার কোটি টাকার কর্জে হাসানা ফান্ড থাকলে কী হত? দুনিয়াতে কি বড় কোনো কর্জে হাসানা ফান্ড আছে? কীভাবে কাজ করে তারা? উত্তরগুলো বইয়ের ভেতর... ব্যাংকব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য (ঐতিহ্য): আপনি কি জানেন একফালি কাগজ কিভাবে এত গুরুত্বপূর্ণ হলো? অর্থনৈতিক বৈষম্য লাগামহীনভাবে বেড়ে যাচ্ছে কেন? আর কেনই বা উন্নত বিশ্ব এত ঋণগ্রস্থ হয়ে যাচ্ছে। প্রশ্নগুলো খুব তাত্ত্বিক এবং বিচ্ছিন্ন বলে মনে হতে পারে। অথবা মনে হতে পারে এগুলো জানা কি আমাদের খুব প্রয়োজন? আসলে প্রশ্নগুলো মোটেও বিচ্ছিন্ন কিংবা তাত্বিক নয়; সম্পূর্ণ জীবন ঘনিষ্ঠ এবং একই সুতোয় গাথা বাস্তবতা। আমাদের জীবনে নিয়মিত গভীর প্রভাব ফেলা এই না-দেখা বাস্তবতাগুলোকে ছোটছোট গল্পের আকারে সাজিয়ে সবার কাছে সহজভাবে তুলে ধরতে রচনা করা হয়েছে এই বই। বইটিতে গ্রন্থাকার আমাদের এই নাজানা বাস্তবতাকেই গল্পের মতো প্রাণবন্ত এবং ছবির ন্যায় রঙিন করে ফুটিয়ে তুলেছেন। ইসলামি ব্যাংকব্যবস্থার শুভংকরের ফাঁকি (ঐতিহ্য):--- সময়ের পরিক্রমায় একের পর এক নতুন নতুন কার্যক্রম পৃথিবীতে আসে। ইসলামি ব্যাংকব্যবস্থা তার একটি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বর্তমানে ইসলামি ব্যাংকিং-এর নামে অনেক সন্দেহজনক লেনদেন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। অথচ ব্যাংকিং করার জন্য দ্বীনের কিছু অংশ ছেড়ে দেয়া কাম্য হতে পারে না। বরং দ্বীনকে পুরোপুরি গ্রহণ করতে হলে ক্ষেত্র বিশেষে দুনিয়ার কিছু অংশ ছেড়ে দিতে হবে। তাই হালাল-হারাম মিশ্রিত ইসলামি ব্যাংকিংকে নির্দ্বিধায় গ্রহণ করা ইসলামি দর্শনের পরিপন্থী বলে আমি মনে করি। তাই সুদভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিপরীতে প্রকৃত ইসলামি ফাইন্যান্সিং শরিয়াহ সম্মত পদ্ধতি যথাযথভাবে সমাজে প্রচলন করতে হবে এবং সম্ভাব্য সকল পন্থায় সুদকে পরিত্যাগ করে হালাল পদ্ধতি গ্রহণ এবং ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে।যদিও ইসলামি ব্যাংকের প্রচলিত মুরাবাহা বিনিয়োগ পদ্ধতি কঠোরভাবে নিয়ম-কানুন অনুসরণ সাপেক্ষে হালাল, তবে তা যে উত্তম পদ্ধতি নয় এ বিষয়ে সকল স্কুল অব থটের ইসলামি চিন্তাবিদ একমত। সমকালীন ইসলামি অর্থনীতিবীদ এবং ইসলামি ব্যাংকিং-এর অন্যতম দিকপাল বিচারপতি মাওলানা তাকি ওসমানী সাহেবের লেখাতেও এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে। বর্তমানে প্রচলিত ইসলামি ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম যেভাবে চলছে তা পর্যালোচনা করলে এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে যে অনেক ইসলামি ব্যাংক পণ্য ক্রয়ের নাম করে কৌশলে গ্রাহকদেরকে সরাসরি অর্থ প্রদান করছে। ফলে সুদি ব্যাংকব্যবস্থার সাথে ইসলামি ব্যাংকব্যবস্থার মৌলিক পার্থক্য আছে কিনা সেই ব্যাপারে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে; বিশেষ করে মুরাবাহা, বায় মুয়াজ্জাল বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। সকল মহলে আরেকটি প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে যে, বাংলাদেশে যেসব ব্যাংক ইসলামি ব্যাংকিং করছে, সেগুলো সুদের বিপরীত ইসলামি ব্যাংকব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য করছে কিনা? তার অন্যতম প্রধান একটি কারণ হলো উক্ত ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের অনেকেই সুদি ব্যাংকগুলোর সাথে স্বাচ্ছন্দে লেনদেন চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে এই প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়া স্বাভাবিক যে ইসলামের দর্শন প্রতিষ্ঠা করার তুলনায় পুঁজি বৃদ্ধি করার প্রবণতা ও গুরুত্বই তাদের কাছে অগ্রগণ্য। বর্তমানে সিটি ব্যাংক, এইচএসবিসিএবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড -এর মালিকপক্ষ অমুসলিম হয়েও ইসলামি ব্যাংকিং করছে! তার কারণও হচ্ছে মূলত পুঁজি বৃদ্ধি। প্রকৃতপক্ষে ইসলামি ব্যাংকিং সেক্টর যাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তাদের একাংশও ইসলামি ফাইন্যান্স সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন না। এমনকি ইসলামি আদর্শ বাস্তবায়নও তাদের লক্ষ্য নয়। নিছক পুঁজিবৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের প্রবেশ। এভাবে গণহারে ইসলামি ব্যাংকিং খাতে পুঁজিপতিদের এসে পুঁজি বৃদ্ধি করা ইসলামি অর্থনীতির মূল চেতনার সাথে সংগতিপূর্ণ নয়; যেমন সংগতিপূর্ণ নয় বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বার্থ বিবেচনায় না নিয়ে গুটিকতেক বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠীকে সহজ শর্তে এবং কম মুনাফায় বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের ব্যবসায়ীদেরকে সুবিধা বঞ্চিত করা। তাই ইসলামি ব্যাংকব্যবস্থার যেসব ত্রুটি বিচ্যুতির দাবি আসছে তা আমলে নেওয়া সময়ের অপরিহার্য দাবি। অন্যথায় সমাজে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে তা নিরসন করা খুব একটা সহজ হবে না।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
t

এই লেখকের আরো বই