চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

ভায়েরা আমার : ভাষণসমগ্র

    'ভায়েরা আমার : ভাষণসমগ্র', সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ পর্যন্ত প্রকাশিত বা প্রাপ্ত ভাষণের সঙ্কলন। এতে ২০০টি ভাষণ গ্রথিত হয়েছে। . বাজারে যেসব সঙ্কলন পাওয়া যায় তার কোনোটাতেই এত বেশিসংখ্যক ভাষণ গ্রন্থিত হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন একজন অসাধারণ বাগ্মী। এক অবিশ্বাস্য সম্মোহনী শক্তি ছিল--তাঁর মানুষকে আকর্ষণ করার। . যেমন ছিল তাঁর দরাজ গুরুগম্ভীর গলা, তেমনি ছিল তাঁর ভাষার প্রাঞ্জলতা এবং যথোপোযুক্ত শব্দচয়নের দক্ষতা। অনেক সময় বৃহত্তর ফরিদপুর এবং ঢাকার আঞ্চলিক ভাষা তিনি তাঁর বক্তৃতায় ব্যবহার করেছেন। সেসব আঞ্চলিক শব্দ তাঁর উপস্থাপনাকে আরও সরেস এবং প্রাণবন্ত করে তুলেছে। আবার প্রয়োজনমত তৎসম বা অর্ধতৎসম শব্দ ব্যবহার করে বক্ত্যবের গাম্ভীর্য বৃদ্ধিতে তিনি ছিলেন সমান পারদর্শী। বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই’। সোনার মানুষ হতে হলে জাতির পিতার আদর্শ, জীবনাচরণ চর্চা করা অত্যাবশ্যক। এজন্য প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু পড়া নয়, সেগুলোর মর্মার্থ অনুধাবন করে নিজ নিজ জীবনে অনুশীলন করা আবশ্যক। . ভূমিকা : শেখ হাসিনা পৃষ্ঠা : ৮৮০ ১ম প্রকাশ : ২০২৩ বিক্রয় মূল্য : ২০০০ টাকা
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একজন আদর্শ দেশনেতা ও রাজনীতিবিদই নন, তাঁর ছিলো উল্লেখযোগ্য সাহিত্য প্রতিভা। বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করতে যিনি সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যার ফলে তাঁকে অভিহিত করা হয়ে থাকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে। 

মহান এই ব্যক্তির জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। তাঁর শৈশব কেটেছে গোপালগঞ্জেই, যার ফলে শিক্ষাজীবনের সূত্রপাতও সেখানে। ১৯৪২ সালে গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। স্কুল-কলেজের লেখাপড়া শেষ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন, কিন্তু ছাত্র রাজনীতি ও বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলনের সাথে গভীরভাবে জড়িয়ে যাওয়ায় তিনি আর পড়ালেখা শেষ করতে পারেননি। 

পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার্থে তিনি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেন, যার ফলে সরকারের রোষানলে পড়েন। রাজনৈতিক কারণে তিনি দিনের পর দিন জেল খেটেছেন। এমনকি স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর প্রারম্ভে তাঁকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে জেলে আটকে রাখা হয়। এরপর দেশ স্বাধীন হলে দেশে ফিরে এসে তিনি দেশের শাসনভার গ্রহণ করেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। 

এতকিছুর পরও বঙ্গবন্ধু সাহিত্যকর্মে অংশ নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বই ২টি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বই সমূহ মূলত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ। 'কারাগারের রোজনামচা' ও 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' এই দুটি বই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বই সমগ্র এর অন্তর্ভুক্ত। এই দুটি বই-ই প্রকাশিত হয়েছে তাঁর মৃত্যুর পর, তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার উদ্যোগে। 

বঙ্গবন্ধু নিজে তেমন বই রচনা না করলেও তাঁকে নিয়ে রচিত হয়েছে অসংখ্য বই। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বই এর মধ্যে শেখ হাসিনার লেখা 'শেখ মুজিব আমার পিতা', পীর হাবিবুর রহমানের 'পোয়েট অব পলিটিক্স', ফারুক চৌধুরীর 'স্মরণে বঙ্গবন্ধু', এম আর আখতার মুকুলের 'মুজিবের রক্ত লাল', শেখ শাহাদাতের 'বিপ্লবী নেতা শেখ মুজিব' ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা কতিপয় সেনাসদস্যের হাতে নিজ বাসভবনে সপরিবারে নিহত হন।

এই লেখকের আরো বই