চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধু

    উপন্যাসের মূল চরিত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একাত্তরের মার্চ থেকে ডিসেম্বর সময়কালের ঘটনা নিয়ে গড়ে উঠেছে। এ-কাহিনি বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের। কাহিনির ফাকে-ফাকে যে-মুখগুলি উঁকি দিয়েছে তারাও সবাই পরিচিত : জুলফিকার আলি ভুট্টো, জেনারেল ইয়াহিয়া খান, রাও ফরমান আলি, নিয়াজি, জেনারেল টিক্কা-আরও অনেকে। জেল থেকে দূরে নিজের সরকারি কোয়ার্টারে বঙ্গবন্ধুকে নজরবন্দি করে রাখা জেলারের চরিত্রও বাদ পড়েনি। বাংলাদেশে রাজনৈতিক আন্দোলনকে ভিত্তি করে গল্প উপন্যাস রচনা যে হয়নি তা নয়; তবে সেসব রচনায় আন্দোলন থেকেছে একেবারে পশ্চাদৃভূমিতে। এত পশ্চাতে যে, অনেক সময় তার রূপচরিত্র নির্ণয় করাই খুব কঠিন হয়ে পড়ে। উপন্যাসে আন্দোলনের মূল নেতাদের দেখা তাে যায়ই না, কখনাে কখনাে উকি দেয় আন্দোলনের সাধারণ কোনাে কর্মী। সেদিক থেকে পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধু একটি ব্যতিক্রমধর্মী উপন্যাস। থম মেরে থাকা একটা পাখির ডানা রোদ লেগে যেন নড়ে উঠল। মনে হলো জানালার বাইরের জগতটা এখনো জীবিত। পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধু : ওবায়দুল কাদের, মূল গ্রন্থ – রবার্ট পেইন, বইটিতে এক অদ্ভুত আবেগী বর্ণনার মধ্য দিয়ে লেখক পাঠককে নিয়ে গিয়েছেন যেখানে পাঠক স্থির হতে পেরেছে এক মহাকালীন অজানা অধ্যায়ের দোরগোড়ায়। এবং অনুবাদকের সাহিত্য ও সদ জ্ঞান ও সমাজ পর্যবেক্ষণের আপন গুণ বইটিকে বাংলা ভাষায় করে তুলেছে প্রাণবন্ত উজ্বল ও সাহিত্যগ্রাহী ঐতিহাসিক দলিল। বুক রিভিউ থেকে: বইটির মধ্যে কোন চতুরতার স্থান নেই, নেই অযথা বর্ণনাও। এ বই কেবল চোখ খুলে দেবে কিছুটা হলেও ইতিহাসের অজানা অধ্যায়ের দিনগুলির। ক্লদেজ ছেড়ে সাখমান শাহুল্লা পর্যন্ত, গুলজার থেকে কাছাদ, বিস্তৃত কথা রাশি কখনো বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছে, কখনো আদ্র হয়ে উঠেছে গারদের দরদর ঘামে। কখনো চোখের জ্বলে মুছে গিয়েছে বাঙালির যন্ত্রণা অন্ধকারের কোণা খেয়ে খেয়ে। খোয়া ওঠা সরু পথগুলো নিশ্চিত মিশেছে যেয়ে ইতিহাসের শেষ অন্ধকারের ঠং ঠং হাড়ে, যেখানে একজন বাঙালী জেগে আছে অতন্দ্র প্রতীক্ষায় কখন সূর্যের আলোয় সবুজ ভূখন্ডটি ভেসে উঠবে পৃথিবীর মানচিত্রে। বইটির অতি সারল্যের কারনে এখানে সরাসরি কোন খুচরো ষড়যন্ত্রের বর্ণনায় মুখর হয়ে ওঠে নাই। যা সরাসরি আলাম ইতিহাসকে তুলে ধরতেই বেশি নির্ঘোষ বর্ণনার আশ্রয় নিয়েছে। নির্দোষ হয়ে উঠেছে দিনের আলো সত্যকে প্রকাশ করে দিয়ে। মূল গ্রন্থাকার রবাট পেইন ও অনুবাদক ওবায়দুল কাদের দুজনেই যেন বইটির অনেক আপন হয়ে উঠেছেন বইটির প্রকাশ যত্নে। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে একাত্তের মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের উদ্দেশে। বইটির সময়কাল ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর এবং এর পরের কিছুটা সময় পর্যন্ত। The Tortured and the Damned. বৃটিশ লেখক রবার্ট পেইনের বইটি যেন কবরের অন্ধকার থেকে খোঁড়া ইতিহাসের বর্ণনা বিচ্ছুরণ। অনুবাদক যেমন তাঁর ভূমিকায় লিখেছেন– ‘মূল বইটি পড়ার স্বাদই আলাদা।’ তরুণ প্রজন্মের এই বইটি পড়া উচিৎ। বিখ্যাত লেখক রবার্ট পেইন, পুরো নাম পিয়েরে স্টিফেন রবার্ট পেইন। ১৯১১ সালে ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালে জন্মগ্রহণ করেন। সাংবাদিকতা, সমর অফিসার, দূতাবাসে চাকরি, ইংরেজি কাব্য–সাহিত্যে অধ্যাপনা, নৌ স্থাপত্যের প্রভাষক ছিলেন। জাপানিদের সাথে যুদ্ধ শেষে ইয়েনানে ফিরে মাও–সেতুঙের সাথে সাক্ষাত করেন। বাংলাদেশে ভ্রমণকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাত করেন। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হিটলার, লেনিন, স্ট্যালিন, মাও–সেতুঙ, হেনরিচ শ্লিম্যানের জীবনী। ১৯৭৭ সালে রবার্ট পেইন এই বইটি লিখেন। এছাড়াও ‘ম্যাসাকার’ নামে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ১৯৭৩ আরো একটি বই প্রকাশ করেছিলেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ সালে বারমুদায় লেখক মৃত্যুবরণ করেন।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
রবার্ট পেইন:
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সারা বিশ্বের বিবেকবান মানুষকে তাড়িত করেছে।
সাংবাদিক, লেখকদের করেছে গভীরভাবে আলোড়িত। তাঁদেরই একজন ছিলেন মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন।
প্রথিতযশা এই লেখক স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন।
গণহত্যার তরতাজা তথ্য সংগ্রহ করেছেন সমাজের নানা স্তরের মানুষ, পেশাজীবী, কূটনীতিক, সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তিদের কাছ থেকে।

এই লেখকের আরো বই