চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

মণীষা বীক্ষণ ও অন্যান্য

Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)

বঙ্গ রাখাল ।

বাংলা কবিতায় সব সময় কিছু প্রতিশ্রুতিশীল কবিদের আবির্ভাব ঘটে। বঙ্গ রাখাল সেই দলভূক্ত। কবিতার মাত্রা, নির্মাণ, চিত্রকল্প, মিথ প্রয়োগে সেই দক্ষতার কথা বলে।  তার কবিতায় স্বদেশ, নারী, প্রকৃতি, নস্টালজি, আন্দোলন, প্রতিবাদ, সহবাস করে। সময়ের প্রেক্ষাপটকে কবি বার বার ধরতে চেয়েছেন এবং সমাজ সচেতনতা তার লেখায় সুস্পষ্ট ফুটে ওঠে। তিনি মনে করেন ‘নিজেকে ভেঙে মুচড়ে আবার জন্ম দেওয়াই কবিতা’। কবিতা তাকে ‘মায়া হরিণের মত দিকবিদিক ছুটিয়ে চলে’।


বঙ্গ রাখাল মুলত কবি,প্রাবন্ধিক, গদ্যকার ও গবেষক। গবেষণা করেছেন মুক্তিযুদ্ধ ও লোকসাহিত্য নিয়ে। বঙ্গ রাখাল তার লেখক নাম হলেও সার্টিফিকেটের নাম মো. আলীনুর ইসলাম। আলীনুর রহমান নামেও কলাম লেখেন।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

বঙ্গ রাখাল ১৯৯৩ সালের ১২ জুন, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার ভাটই গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা গোলাম রসুল ছিলেন একজন ব্যবসায়ী, মা মাজেদা বেগম একজন আদর্শ গৃহিণী। চার ভাই বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বঙ্গ রাখাল ঝিনাইদহের বসন্তপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, দুঃখী মাহমুদ ডিগ্রি কলেজ (ঝিনাইদহ) থেকে এইচএসসি। সাভার গণবিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে স্নাতক (সম্মান) এবং একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিকস থেকে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ইকোনমিকস ডিগ্রি। গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র থেকে গণহত্যার ওপর পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সদস্য।

কর্মজীবন

টিউশনি দিয়ে কর্মজীবন শুরু হলেও, হাসপাতালের রিসিপশনিস্ট, পরে লক্ষ্মীপুর, ভবানীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের বাংলার প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা। বর্তমানে সমাজসেবামূলক একটা বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত।

রচনা ও প্রকাশনা

বাল্যকাল থেকেই মায়ের কাছে শুনে শুনে গ্রামের প্রবাদ-প্রবচন সংগ্রহ করতেন। স্কুলজীবনে এসে নাটক রচনা ও গ্রাম্য মঞ্চে অভিনয় করেছেন। সম্পাদনা করেছেন নিহারণ, শঙ্খধ্বনি, বঙ্গস্বর, সাঁইজি নামে পত্রিকা। কাজ করেছেন শব্দকুঠির নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে। তিনি প্রতিকথা সাহিত্য পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন।

তার প্রকাশিত গ্রন্থ-সংস্কৃতির দিকে ফেরা (প্রবন্ধ, ২০১৫), লোক মানুষের গান ও আত্ম অন্বেষণ (গবেষণা, ২০১৬), মানবতাবাদী লালন জীবন অন্বেষণ (প্রবন্ধ, ২০১৭), হাওয়াই ডাঙ্গার ট্রেন (কবিতা, ২০১৮), মনীষা বীক্ষণ ও অন্যান্য (প্রবন্ধ, ২০১৮) , অগ্রন্থিত রফিক আজাদ (সম্পাদনা, ২০১৯), পাগলা কানাই ও তাঁর তত্ত্ব দর্শন (সম্পাদনা, ২০১৯), লণ্ঠনের গ্রাম (কবিতা-২০১৯), যৈবতী কন্যা ইশকুলে (কবিতা-২০২০), কবিতার করতলে (প্রবন্ধ-২০২০), অন্ধ যাজক (কবিতা-২০২১), ছোটবোয়ালিয়া-জয়ন্তীনগর-বসন্তপুর গণহত্যা (অভিসন্দর্ভ- ২০২১), কবিতায় ঘর-বসতি (প্রবন্ধ-২০২২)।

পুরস্কার ও সম্মাননা

আবুল মনসুর আহমদ পুরস্কার (প্রবন্ধ-২০২০), ডেইলী স্টার, ঢাকা।

জলধি সাহিত্য সম্মাননা (কবিতা-২০২১), ঢাকা।

সাহিত্য সম্মাননা-২০২২ ( মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা) শেরপুর সংস্কৃতি পরিষদ, শেরপুর, বগুড়া।

এই লেখকের আরো বই