চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

ভালোবাসি এই দেশটাকে

    লেখকের বক্তব্য-- 'ভালোবাসি এই দেশটাকে ' আমার লেখা সপ্তদশ গ্রন্থ। এখানে আমি স্মৃতিচারণা করেছি বসুন্ধরার বুকে জন্ম নেয়া বঙ্গমাতার প্রাচীন, মধ্য ও আধুনিক যুগের অবস্থানগত প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত। মহাকালের সাক্ষী ইতিহাস আমাকে সাহায্য করেছে এবং অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে বইটি লিখতে। উৎস খুঁজেছি জন্ম শেকড়ের, মন খুলে বলেছি আমার জন্ম পরিবেশের কথা। অবাক হচ্ছি ভেবে আমার জিয়ালতলা গ্রামের পর্ণকুটিরটি একদা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন অনেকের মত আমারও জীবনদেবতা। প্রায় দুশ' বছরের অত্যাচার-নির্যাতন -শোষণের হাত থেকে মুক্তি পেতে অখন্ড ভারতের জীবন বিসর্জনকারী তদানীন্তন বিপ্লবীরা আমার জীবনের প্রেরণার উৎস। আমার পিতৃদেবের সংক্ষিপ্ত বিপ্লবী জীবন আশীর্বাদ হয়ে আছে আমার জন্য। বাংলাদেশ স্বাধীন করতে আমার অন্তরে তাই জেগেছিল অস্ত্র ধরার ইচ্ছা; জীবন দাত্রী জননীর ঐকান্তিক ইচ্ছা পূরণ করতে পেরেছে। এখানেই নিহিত আছে আমার প্রবল ইচ্ছাশক্তি। কিন্তু আমার ইচ্ছাশক্তির পেছনে জন্মগত ইতিহাস ও ঐতিহ্য কাজ করেছে। আমার স্কুল- কলেজ-ভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ এবং পারিবারিক ও পারিপার্শ্বিক জীবনে যাদের সান্নিধ্য পেয়েছি অনুভূতির তীব্রতায় চলার পথ ও পাথেয় খুজে পেয়েছি। তাই এখনও আদর্শ জীবনের সন্ধ্যনে জীবন সাগর পাড়ি দিচ্ছি। দারুন স্বার্থপর এই দুনিয়াটা। লেখালেখির শুরু থেকেই অনুভব করেছি শ্রেণিসংঘাত,অবক্ষয়। মানুষ কি পেরেছে শ্রেণিবৈষম্য ঘুচাতে? তাই কি শেষ পর্যন্ত পরিশ্রমী, কর্মজীবী মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এলো মহামারী করোনা? যে দ্বন্দ্ব সংঘাত সমাজের মধ্যে এখনো বিরাজমান নিশ্চয়ই একদিন তা দূরীভূত হবে। জাতি ও ধর্মগত ভেদাভেদ ভুলে মর্তবাসী একদিন আনন্দ সাগরে অবগাহন করবে। রবীন্দ্রনাথ নজরুলের বাংলায়, প্রতিটা বাঙালি হৃদয়ে এবং জীবনানন্দ -লালনের জীবনাদর্শে বাংলার এই দুর্জয় ঘাঁটিতে মানুষ যেন স্বাধীন সত্তার স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকতে পারেন। ঈশ্বর আমাদের সহায়ক ও সঞ্চালক। ধন্যবাদ। লেখক। দিশা: ১. বাংলার ভূখণ্ড ও প্রশাসকগন ২. শেকড়ের সন্ধানে ৩. পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ৪. প্রেরণার মূল উৎস ৫. বাল্য ও শিক্ষাজীবন ৬. স্বাধীনতা-পূর্ব বাংলাদেশ ৭. মুক্তিযুদ্ধ-১৯৭১ ৮. কর্মজীবন-প্রথম খন্ড ৯. কর্মজীবন-দ্বিতীয় খন্ড ১০. সাহিত্যকর্মে প্রেম ভালোবাসা
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)

মেজর পরিতোষ রায় (অব.):

জন্ম: ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার জিয়ালতলা গ্রামে।

স্কুল ফাইনাল পাস করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাগদাহ হাই স্কুল থেকে।

ইন্টারমিডিয়েট এবং গ্রাজুয়েশন (অনার্স-বাংলা)সরকারি ব্রজলাল কলেজ, দৌলতপুর থেকে।

৯ নং সেক্টরের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

রেসকোর্স ময়দানে গত ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২ তারিখে অস্ত্রসমর্পণের পর সলিমুল্লাহ হল হয়ে় পিলখানায় এসে পরদিন সাবেক জাতীয় রক্ষীবাহিনীতে এবং ১৫ আগস্ট,১৯৭৫ এর পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিগন্যালস কোরে যোগ দেন।

সেনাবাহিনীতে চাকরিকালে তাঁর লেখা কয়েকটি এমএসটিপি প্রেসি  মুদ্রিত হয়।

উইং কমান্ডার, অ্যাডভান্সড ট্রেনিং উইং রাইফেলস ট্রেনিং স্কুল বাইতুল ইজ্জতে কর্মরত থাকাকালে বেশ কয়েকটি সামরিক প্রেসি লেখেন।

সেনাবাহিনী হতে অবসর গ্রহণের পর প্রায় ২০ বছর  ওপেক্স গ্রুপ, জিকিউ গ্রুপের খ্যাতনামা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যেমন জিকিউ প্লাস্টিক প্লাস্টিক, জিকিউ ইন্ডাস্ট্রিজ, নুর সিমেন্ট(নোয়াপাড়া)এ নিষ্ঠার সাথে উচ্চপদে দায়িত্ব পালন করেন।


তন্মধ্যে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান জিকিউ বলপেনের জীবনের প্রায় ২০টা বছর অতিবাহিত করেছেন। ২০১৩ সালের প্রথম থেকে তিনি মিরপুর ডিওএইচ এস এর ৪০৮ প্লটের বাসিন্দা।

আজ পর্যন্ত তাঁর ১৭ খানা গ্রন্থ প্রকাশিত হযেছে।   

এই লেখকের আরো বই