চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

সুলতান ইমাদুদ্দিন জিনকি (দ্য লিজেন্ড)

    খলিফা মনসুর, হারুনুর রশিদ, মামুনুর রশিদ ও মুতাসিম বিল্লাহের পর খেলাফতে আব্বাসিয়ার প্রতিটি স্তম্ভ ও কড়িকাঠে পতনের যে ঘুনপোকা লেগেছিল, তা নিঃসাড় ও নিষ্প্রাণ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় খেলাফতের কাঠামো। তখন সাত সমুদ্দুর পাড়ি দিয়ে এশিয়ায় আসতে চাইছিল মাংসাসী ক্রুসেডীয় শৃগালের পাল। কিন্তু সুলতান মালিকশাহ সালজুকি নামক এক মুসলিম সিংহের ভয়ে সাহস করে উঠতে পারেনি তখন। মালিকশাহের অন্তর্ধানের পর মুসলিম সাম্রাজ্য গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে খণ্ডবিখণ্ড হয়ে যায়। তখনই ক্রুসেডাররা কামড় বসায় ইসলামি সাম্রাজ্যের কলিজায়। একে একে দখল করে নেয় বিশাল মুসলিম এলাকা। একপর্যায়ে ৪৯২ হিজরির রজব মাসে দখল করে নেয় মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মাকদিস। সেই ঘনঘোর সময়ে সুলতান মালিকশাহের একসময়ের প্রধান সেনাপতি, পরবর্তীকালে হালাবের শাসক আক সুনকুর ওরফে কাসিমুদ্দৌলাহর ঔরসে জন্ম নেন মহান সেনাপতি আবুল মুজাফ্ফার ইমাদুদ্দিন জিনকি। সেই ইমাদুদ্দিনই সুলতান মওদুদের সাথে মিলে ক্রুসেডারদের উপর হানেন প্রথম আঘাত। কিন্তু পরবর্তীকালে টানা ১০ বছর তাঁকে জড়িয়ে থাকতে হয় গৃহযুদ্ধের কাদায়। তবে গৃহযুদ্ধ থেকে একটু অবকাশ পেতেই তিনি পুনরায় একের পর এক আঘাত হানতে থাকেন ক্রুসেডারদের কলিজায়। উদ্ধার করতে থাকেন একের পর এক রাজ্য। উদ্ধার করেন শক্তিশালী দুর্গ ও তাদের শক্তিকেন্দ্র ‘আর-রাহা’। ‘দ্য লিজেন্ড’ গ্রন্থে রয়েছে মহান বীর ইমাদুদ্দিন জিনকির শিহরণ জাগানিয়া তৎপরতার বর্ণনা। গ্রন্থটি পাঠ করলে মনে হবে আপনিও যেন ইমাদুদ্দিন জিনকির একজন সিপাহি হয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সেইসব জিহাদের ময়দান।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
t

এই লেখকের আরো বই